১১ বছর পড়ে আছে দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার

রংপুরে বাফার গুদামে ১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার প্রায় ১১ বছর থেকে পড়ে আছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওজনে কম দেওয়া, ছেঁড়াফাটা বস্তায় সার সরবরাহ করায় ওই সব সার বিতরণ করা হয়নি। সম্প্রতি ওইসব সার পুনরায় বস্তাজাত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন থেকে সারগুলো পড়ে থাকায় এর গুণগতমান বাজায় থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

 

এ বিষয়ে মামলা হলেও শেষ পরিণতি কী হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। রংপুর বাফার গুদাম সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ তিন অর্থবছরে বরাদ্দের বিপরীতে যে সার সরবরাহ করেছিল এর মধ্যে অগ্রহণযোগ্য সারের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। ১১ বছর আগে তৎকালীন চুক্তিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান ওই সার সরবরাহ করেছিল। সরবরাহের সময় কোনো বস্তায় ১০ কেজি আবার কোনো বস্তায় ২৫ কেজি থেকে ৩০ কেজি সার কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেক বস্তা ছেঁড়াফাটা ছিল। সে সময়কার বাফার ইনচার্জ ওজনে কম ও ছেঁড়াফাটা বস্তা থাকার কারণে সার সরবরাহ না করে বিষয়টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানান। কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলে তখন থেকে বাফার গোগাউনে দেড় হাজার মেটিক টন সার পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মামলাও করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিসিআইসি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শক্ত, জমাটবাঁধা ও ছেঁড়াফাটা বস্তা ক্রাশ করে নতুন বস্তায় ৫০ কেজি ওজন নিশ্চিত করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে কাজ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বস্তায় পুনরায় সার ভর্তি করছে। দীর্ঘদিন গুদামে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সারের গুণগতমান বজায় থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সারের গুণগতমান নির্ণয় করার কাজ বাফা কর্তৃপক্ষের নয়। ওই সার যদি কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয় তাহলে কৃষক কতটুকু লাভবান হবেন এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সাবেক ইনচার্জ মুকুল মিয়ার আমলে এ সার সরবরাহ করা হয়েছিল। মামলার আলামত হিসেবে এটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।

 

তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুনরায় বস্তাজাত করার অনুমতি পাওয়া গেছে এবং কাজ  শুরু হয়েছে। তবে এখনো বিক্রির অনুমতি পাওয়া যায়নি। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে – ভূমিমন্ত্রী

» বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

» ইসলামপুরে কৃষকরা পেল উন্নত মানের বীজ

» ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টোডিয়াল সার্ভিস চুক্তি

» এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

» ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

» ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম বিধ্বস্ত

» প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল

» আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

» এক শহরের মধ্যে দুই দেশ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১১ বছর পড়ে আছে দেড় হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার

রংপুরে বাফার গুদামে ১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার প্রায় ১১ বছর থেকে পড়ে আছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওজনে কম দেওয়া, ছেঁড়াফাটা বস্তায় সার সরবরাহ করায় ওই সব সার বিতরণ করা হয়নি। সম্প্রতি ওইসব সার পুনরায় বস্তাজাত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন থেকে সারগুলো পড়ে থাকায় এর গুণগতমান বাজায় থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

 

এ বিষয়ে মামলা হলেও শেষ পরিণতি কী হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। রংপুর বাফার গুদাম সূত্রে জানা গেছে, ২০১১-১২, ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ তিন অর্থবছরে বরাদ্দের বিপরীতে যে সার সরবরাহ করেছিল এর মধ্যে অগ্রহণযোগ্য সারের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন। ১১ বছর আগে তৎকালীন চুক্তিবদ্ধ একটি প্রতিষ্ঠান ওই সার সরবরাহ করেছিল। সরবরাহের সময় কোনো বস্তায় ১০ কেজি আবার কোনো বস্তায় ২৫ কেজি থেকে ৩০ কেজি সার কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া অনেক বস্তা ছেঁড়াফাটা ছিল। সে সময়কার বাফার ইনচার্জ ওজনে কম ও ছেঁড়াফাটা বস্তা থাকার কারণে সার সরবরাহ না করে বিষয়টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে জানান। কিন্তু সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিষয়টি আমলে নেয়নি। ফলে তখন থেকে বাফার গোগাউনে দেড় হাজার মেটিক টন সার পড়ে রয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মামলাও করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিসিআইসি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শক্ত, জমাটবাঁধা ও ছেঁড়াফাটা বস্তা ক্রাশ করে নতুন বস্তায় ৫০ কেজি ওজন নিশ্চিত করার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে কাজ পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বস্তায় পুনরায় সার ভর্তি করছে। দীর্ঘদিন গুদামে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় সারের গুণগতমান বজায় থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সারের গুণগতমান নির্ণয় করার কাজ বাফা কর্তৃপক্ষের নয়। ওই সার যদি কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয় তাহলে কৃষক কতটুকু লাভবান হবেন এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বাফার গুদাম ইনচার্জ মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, সাবেক ইনচার্জ মুকুল মিয়ার আমলে এ সার সরবরাহ করা হয়েছিল। মামলার আলামত হিসেবে এটি সংরক্ষণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই মামলা কোন পর্যায়ে রয়েছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।

 

তিনি বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুনরায় বস্তাজাত করার অনুমতি পাওয়া গেছে এবং কাজ  শুরু হয়েছে। তবে এখনো বিক্রির অনুমতি পাওয়া যায়নি। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com