দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টার পরও বাম দলের ডাকা হরতালে ভাংচুরসহ নাশকতার চেষ্টা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন কার্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আগামী ২৮ মার্চ সারাদেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে হরতাল ও ধর্মঘট দলগুলোর চর্চার মধ্যে পড়ে। তাদের কর্মসূচিতে কোনো ভাংচুর, দুর্ভোগ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করবে না। কিন্তু কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ভূমিকা রাখবে। আমরা আশা করব, তারা সহনশীলতার পরিচয় দেবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, দেশে অনেক কিছুর সঙ্গে তেলও আমদানি করা হয়। অনেক পণ্যই আমদানি নির্ভর। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের পরিবহন ব্যয় তিন গুণ বেড়েছে। কেবল বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে তেলের দাম বেড়েছে। কাজেই আমদানির ক্ষেত্রে দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি আরও বলেন, বাজার সহনীয় করতে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট কমানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। টিসিবির মাধ্যমে জনগণের কাছে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করছে। তেল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম কমে এসেছে। আমাদের প্রচেষ্টার কোনো অভাব নেই। তারপরও আমাদের আবেদন থাকবে, ধ্বংসাত্মক কোনো কার্যক্রম না করে তারা কর্মসূচি পালন করবে।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অনেকে অনেক ধরনের কৌশল অবলম্বন করে, যাতে নির্বাচনে আসতে না হয়। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসতে তারা বিভিন্ন কৌশল করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন।
এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নগরীর সিএমপি পুলিশ লাইনে ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে সিমএপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন আনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর মন্ত্রীকে জাদুঘরের বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘুরে দেখান। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের নেতা, স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।