এ অবস্থায় সাকিবকে জোর করে খেলানো কতটা যৌক্তিক! কিংবা বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনো ক্রিকেটার কি চাইলেই যেকোনো সময় ছুটি নিতে পারবেন? গতকাল বিসিবির টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘একজন ক্রিকেটার ছুটি চাইতেই পারে। কিন্তু সাকিব সেটা আগে বললেই পারত। আগে একটা চিঠি দিয়েছিল (টেস্ট থেকে বিরতি চেয়ে)। পরে আবার পাপন ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে রাজি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট-ওয়ানডে সব খেলতে। তারপরও কেন এ রকম বলল, এটা তো আমি বলতে পারব না। সাকিবের মনের কথা তো আমি বলতে পারব না।
তবে সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন কিনা তা এখনো চূড়ান্ত নয়। আর না খেললেও তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বিসিবি। খেলার জন্য সাকিবকে জোর করা কিংবা অনুরোধ করার পক্ষপাতী নন মাহমুদ। তিনি মনে করেন কোনো নির্দিষ্ট ফরম্যাটে সাকিব না খেললে বিষয়টি বোর্ডকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া উচিত। খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সাকিব যদি না খেলে, না খেলুক টেস্ট ম্যাচ। আই ডোন্ট কেয়ার। বিসিবি এতটা কনসার্নও না, যদি না খেলতে চায়। আপনি জোর করতে পারবেন না। আমরা চাই ও খেলুক। যতদিন পর্যন্ত ফিট থাকবে, সাকিব খেলুক। কিন্তু ও যদি উপভোগ না করে, তাহলে মনে হয় যে বলে দেওয়া উচিত আমি টেস্ট খেলব না বা ওয়ানডে খেলব না কিংবা কোনো একটা-দুইটা ফরম্যাট খেলব না। কোনো সমস্যা নেই।’
মাহমুদ মনে করেন সাকিবের বিষয়টি নিয়ে এত হইচইয়ের কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে আমরা এটা টেনে লম্বা করি। সেটা না করে যা আসবে, তা মেনে নেওয়া উচিত। সাকিব ফেরার পর (দুবাই থেকে) কথা বলে যদি সফরে যায় তো ভালো, না গেলেও সমস্যা নেই। এটা বড় ব্যাপার নয়। কারও জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বসে থাকবে, এটা ভাবা ভুল।
ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে মাহমুদ বলেন, ‘বিসিবির প্রোডাক্ট ওরা, বিসিবি ওদের প্রোডাক্ট নয়। বিসিবি কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, বিসিবির জন্যই ওরা। নিশ্চিতভাবেই ওরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার। কিন্তু এই স্টেকহোল্ডারের জন্য তো বিসিবির অনেক বিনিয়োগ ছিল। তাদের পেছনে তো বিসিবি অনেক খরচ করেছে সেই সময়। বিসিবি তো তাদের অভিভাবক। আমাদের সবার অভিভাবক বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ওপর আমরা কেউ নই। তারাও নয়।
সাকিবকে দুই দিনের সময় দিয়েছে বিসিবি। তিনি দুবাই থেকে ফিরেই সিদ্ধান্ত জানাবেন। খালেদ মাহমুদ আশা করছেন দলের সঙ্গেই সাকিব দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন