ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সভা-সমাবেশ করবে। এসব রাজনৈতিক দলের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। সরকারি সম্পত্তি ও জনগণের সম্পত্তি হেফাজত করতে হবে। সামনে আমাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
আজ সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে অনুষ্ঠিত মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশের কাজ মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা। মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্যারেডের বিকল্প নেই। ফিজিক্যাল ফিটনেস এবং মাঠ পর্যায় দুই ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশের জন্য অনেক কিছু করছেন। না চাইতেই অনেক কিছু দিচ্ছেন। এর প্রতিদান হিসেবে দুই কোটি নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে সর্বোচ্চ দক্ষতা দিয়ে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেন না ঘটে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। ঢাকা শহরের অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রণে নিরলস কাজ করতে হবে। নগরবাসীর আস্থা অর্জনে আরো সতর্ক থাকতে হবে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ১৯৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়নি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বুলেটটি ছোঁড়া হয় রাজারবাগের পুলিশের অস্ত্র থেকে। ঐ প্রতিরোধ যুদ্ধে রাজারবাগের অনেক সাহসী পুলিশ সদস্য শহিদ হন। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে হলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খ. মহিদ উদ্দিন প্রমুখ।