সরকারি নির্দেশ না মেনে বিএনপি ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ (২৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে দুই মাস ধরে সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে আটটি বিভাগে সমাবেশ শেষ করেছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১০ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
পূর্বনির্ধারিত এই কর্মসূচি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে করার বিষয়ে অনড় অবস্থানে আছে দলটি। কিন্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ঢাকার পাশে পূর্বাচল, কখনো মিরপুরের কালশীতে সমাবেশ করতে দেওয়ার কথা বলেছেন। এর মধ্যে দুই দিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য সরকার অনুমতি দেবে। দ্রুতই বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপির এমন অনড় অবস্থানের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। তাই ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার ঢাকায় এক সেমিনারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করে গণ্ডগোল করতে চায়। তাদের (বিএনপি) সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রস্তাব করা হয়েছে। তারা যদি তা না করে নয়াপল্টনে সমাবেশ করে তাহলে সরকার বসে থাকবে না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কুমিল্লায় শতাধিক গরু জবাই হয়েছে। পিকনিক করেছে বিএনপি। সেখানে ফখরুল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। ঢাকা শহরের ব্যস্ততম রাস্তা ব্যবহার করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তারা অসৎ উদ্দেশে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়। তাদের তা করতে দেওয়া হবে না।