সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

জলজ প্রাণির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মাছ। পাখনার সাহায্যে পানিতে সাঁতার কাটে এরা। এমনটাই এতদিন জেনে এসেছেন বিশ্ববাসী। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে উপকূলের অদূরে হেঁটে বেড়াতে দেখা গেছে এক প্রজাতির মাছকে।

 

বিরল প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব এই প্রথম নয় ২২ বছর আগে ১৯৯৯ সালে দেখা গিয়েছিল এই মাছেদের। পাখনার বদলে এদের রয়েছে মানুষের হাত সদৃশ পাখনা। এজন্য এর নামও পিংক হ্যান্ডফিশ। তবে গোলাপি ছাড়াও আরও কতেকটি রঙের হয় এই মাছগুলো। বিরল প্রজাতির এই পিংক হ্যান্ডফিশ এ পর্যন্ত মোট চার বার এই মাছের দেখা পাওয়া গেছে।

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

বিবিসির খবরে বলা হয়, মাছটি অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণির তালিকায় যোগ করেছে। তাসমানিয়া উপকূলে বিপুল সংখ্যায় এই মাছের দেখা মিলত। কিন্তু ক্রমে বিলুপ্তির পথে চলে যায় তারা। ২০১২ সালে এই মাছকে অতি বিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত করা হয়।

 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি সমুদ্রে গভীরে এক মেরিন পার্কে তাদের এক ক্যামেরায় মাছটি ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলদা চিংড়ি বিরক্ত করার পর ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ মাছটি পাথরের তলা থেকে বেরিয়ে আসছে।

 

আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল মাছটি অগভীর পানিতে বসবাস করে। কিন্তু এখন দেখা গেল এটি গভীর সমুদ্রেও বিচরণ করে থাকে। তাসমানিয়ার দক্ষিণ উপকূলের কাছে ৩৯০ ফুট গভীরে এর বাস।

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

ইউনিভার্সিটি অফ তাসমানিয়ার সমুদ্র জীববিজ্ঞানী নেভিল ব্যারেট বিবিসিকে বলেন, এই আবিষ্কার খুবই উত্তেজনাকর। যেহেতু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এই মাছটি ঘোরাফেরা করে, তাই পিংক হ্যান্ডফিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা কিছুটা কমেছে।

 

বিজ্ঞানীরা আরও জানান, অন্যান্য মাছের যেমন পাখনা রয়েছে তেমন এ মাছের রয়েছে দুটি বড় মাপের হাত। পিংক হ্যান্ডফিশ হাতগুলো ব্যবহার করে ঘোরাফেরা করে। তারা সাঁতারও জানে। এদের চেহারা খানিকটা গম্ভীর ধরণের। দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো মুরব্বি বাচ্চাদের কলাহল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন। তেমন গম্ভীর ভঙ্গিতেই হেঁটে চলেন।

 

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তাসমানিয়া উপকূলে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। তখনই এই মাছ দেখতে পান তারা। তাসমানিয়া উপকূলে শীতল স্রোতের মধ্যে দেখা গিয়েছে এই মাছকে। কী ভাবে বিরল প্রজাতির এই মাছ সংরক্ষণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: টাইমস নাও নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের

» নানার বাড়িতে শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ১জন আটক

» নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি আলমগীর

» অপপ্রচার রোধে ভারতের সহযোগিতা চাইলো বাংলাদেশ

» উপজেলা নির্বাচনে নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা আ.লীগের : কাদের

» ২৯ মে ভোট হবে যেসব উপজেলায়

» বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

» পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

» বিএনপির আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি : রিজভী

» কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

জলজ প্রাণির মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মাছ। পাখনার সাহায্যে পানিতে সাঁতার কাটে এরা। এমনটাই এতদিন জেনে এসেছেন বিশ্ববাসী। তবে এবার অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া রাজ্যে উপকূলের অদূরে হেঁটে বেড়াতে দেখা গেছে এক প্রজাতির মাছকে।

 

বিরল প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব এই প্রথম নয় ২২ বছর আগে ১৯৯৯ সালে দেখা গিয়েছিল এই মাছেদের। পাখনার বদলে এদের রয়েছে মানুষের হাত সদৃশ পাখনা। এজন্য এর নামও পিংক হ্যান্ডফিশ। তবে গোলাপি ছাড়াও আরও কতেকটি রঙের হয় এই মাছগুলো। বিরল প্রজাতির এই পিংক হ্যান্ডফিশ এ পর্যন্ত মোট চার বার এই মাছের দেখা পাওয়া গেছে।

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

বিবিসির খবরে বলা হয়, মাছটি অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ বিপন্ন প্রাণির তালিকায় যোগ করেছে। তাসমানিয়া উপকূলে বিপুল সংখ্যায় এই মাছের দেখা মিলত। কিন্তু ক্রমে বিলুপ্তির পথে চলে যায় তারা। ২০১২ সালে এই মাছকে অতি বিপন্ন প্রজাতির তালিকাভুক্ত করা হয়।

 

বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্প্রতি সমুদ্রে গভীরে এক মেরিন পার্কে তাদের এক ক্যামেরায় মাছটি ধরা পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গলদা চিংড়ি বিরক্ত করার পর ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ মাছটি পাথরের তলা থেকে বেরিয়ে আসছে।

 

আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল মাছটি অগভীর পানিতে বসবাস করে। কিন্তু এখন দেখা গেল এটি গভীর সমুদ্রেও বিচরণ করে থাকে। তাসমানিয়ার দক্ষিণ উপকূলের কাছে ৩৯০ ফুট গভীরে এর বাস।

সমুদ্রে হেঁটে বেড়ায় যে মাছ!

ইউনিভার্সিটি অফ তাসমানিয়ার সমুদ্র জীববিজ্ঞানী নেভিল ব্যারেট বিবিসিকে বলেন, এই আবিষ্কার খুবই উত্তেজনাকর। যেহেতু অনেক বেশি জায়গা নিয়ে এই মাছটি ঘোরাফেরা করে, তাই পিংক হ্যান্ডফিশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে আশঙ্কা ছিল তা কিছুটা কমেছে।

 

বিজ্ঞানীরা আরও জানান, অন্যান্য মাছের যেমন পাখনা রয়েছে তেমন এ মাছের রয়েছে দুটি বড় মাপের হাত। পিংক হ্যান্ডফিশ হাতগুলো ব্যবহার করে ঘোরাফেরা করে। তারা সাঁতারও জানে। এদের চেহারা খানিকটা গম্ভীর ধরণের। দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো মুরব্বি বাচ্চাদের কলাহল দেখে বিরক্ত হচ্ছেন। তেমন গম্ভীর ভঙ্গিতেই হেঁটে চলেন।

 

দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তাসমানিয়া উপকূলে বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছিলেন। তখনই এই মাছ দেখতে পান তারা। তাসমানিয়া উপকূলে শীতল স্রোতের মধ্যে দেখা গিয়েছে এই মাছকে। কী ভাবে বিরল প্রজাতির এই মাছ সংরক্ষণ করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: টাইমস নাও নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com