ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সব সংস্থাকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। সংস্থাগুলোকে নিজেদের অধীনস্থ এলাকা পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে।
আজ সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় কাওলা খাল এলাকায় মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির ১৫ দিনব্যাপী সমন্বিত মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতেই মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। এগুলোতে প্রচুর কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সব সংস্থাকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে কাজ না করলে খাল ও জলাশয় থেকে মশা নিধন খুবই দুরূহ হবে। সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে এটি সম্ভব না। আমরা বারবার বলেও ব্যর্থ হচ্ছি, কেউ কর্ণপাত করছে না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়েছে। এতে সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, রেলওয়ে, পানি উন্নয়ন বোর্ড অংশ নিয়েছে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যার যার জায়গার কচুরিপানা নিজেরা পরিষ্কার করবে। সিভিল এভিয়েশনের জায়গা তারা পরিষ্কার করতে না পারলে আমাদের দিয়ে দিক, আমরা পরিষ্কার করে নেব। যে জায়গায় কচুরিপানা নেই, সেখানে মশার ওষুধ স্প্রে করে দেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ডিএনসিসি মেয়রের উপদেষ্টা অধ্যাপক কবিরুল বাসার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম প্রমুখ।