সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজি ও তেলের দাম

প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে  ডিম, সবজি ও ভোজ‍্য তেলের। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বেড়েছে। তবে সেই হিসেবে সরবরাহ বাড়েনি। পরিবহন ব্যয়ও এখন আকাশছোঁয়া। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাটা দুষ্কর। আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ভিবিন্ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে বাজারে- প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

 

এছাড়া বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়। বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৮, পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা। গত সপ্তাহে মাংস বিক্রি হয়েছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ডিমের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। খুচরা দোকানে আরও ২ থেকে ৪ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফেরত যাবে মিয়ানমারের ২৮৫ সেনা, ফিরবে ১৫০ বাংলাদেশি

» ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক নিহত

» কৃষক লীগকে শহরে আটকে না রেখে গ্রামে নিয়ে যাওয়া ভালো: কাদের

» গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা

» হাওরে কৃষকদের বোরো ধানের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

» বাসচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

» ‌‌‘বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা’

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

» বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সবজি ও তেলের দাম

প্রতিদিনই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে  ডিম, সবজি ও ভোজ‍্য তেলের। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত টিকে থাকার লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বেড়েছে। তবে সেই হিসেবে সরবরাহ বাড়েনি। পরিবহন ব্যয়ও এখন আকাশছোঁয়া। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাটা দুষ্কর। আজ শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ভিবিন্ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে বাজারে- প্রতিকেজি সবজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৩০-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাঁজর প্রতিকেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতিপিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

 

এছাড়া বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়। বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৮, পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি।

বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২০ টাকা। গত সপ্তাহে মাংস বিক্রি হয়েছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ২৩০ টাকা কেজি। বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। ডিম বিক্রেতা আশিক বলেন, ডিমের আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। খুচরা দোকানে আরও ২ থেকে ৪ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি বাড়লে আবার দাম কমে যাবে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com