সকালে হত্যার হুমকি দিয়ে রাতেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হলো এক যুবককে।
বরিশাল নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বাঘিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম দীপু হালদার (৪০)। তিনি বাঘিয়া এলাকার রমেন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন তিনি।
হামলার সময় ডেভিড মিস্ত্রি কুডু আহত হয়েছেন। তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাসুম আহম্মেদ ও সুশান্ত বিশ্বাস নামে দুজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, কুডু মিস্ত্রি মাদকাসক্ত। তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বাঘিয়া কালিমাতা মন্দির এলাকায় সুমনের চায়ের দোকানে যান। সেখানে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন দীপুকে। গালাগাল করতে নিষেধ করে চায়ের দোকান থেকে চলে যেতে বললে কোপানোর হুমকি দেন কুডু।
এ ঘটনার পর রাতে দীপুকে একা পেয়ে পেটে ছুরিকাঘাত করেন। এতে নাড়িভুড়ি বের হয়ে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা। জরুরি বিভাগের ডা. মোফাজ্জেল আহম্মেদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের পর মূল কারণ জানা যাবে।
দীপু হালদারের ভাই সজল হালদার বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত।
এদিকে হামলার সময় কুডুকে আটক করে সেখানে উপস্থিত লোকজন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সেলিম জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।,