শ্রীমঙ্গলে শীতকালিন আগাম ফুলকপি চাষ করে সফলতা পাওয়া গেছে। ফুলকপি মূলত শীততালীন ফসল। অগ্রহায়নের শুরুতে চাষ করতে হয়। কিন্তু এই বছর উপজেলা খালিলপুর গ্রামের কৃষক রায়হান আহমেদ শীতের দুইমাস আগে আশ্বিন মাসে ফুলকপি চাষ করেন। আর প্রথম চাষেই তিনি পেয়েছেন সফালতা। শীতেই শুরুতেই তার চাষ করা কপি বিক্রয় উপযোগী হয়ে গেছে।
কৃষক রায়হান আহমেদ জানান, এ উপজেলায় তিনিই এবার প্রথম পরিক্ষামূলক হাইব্রিড সুপার তাব্বি আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করেছেন। এই জতিটি লালতীরের নিজস্ব গবেষনায় উৎপাদিত দেশের প্রথম হাইব্রিড ফুলকপির জাত। ১০ শতক জমিতে তিনি ৮৫০টি চারা রোপন করেন। ৬০ দিনে কপি বড় হয়ে গেছে। এই ১০ শতক জমি চাষ করতে তার খরচ হয়েছে ৩০০০ টাকা। এখন তিনি প্রতি কেজী কপি ৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন। জমি থেকে তিনি প্রায় ৬০০ কেজি কপি উঠাতে পাবেন। এতে তার খচর বাদে লাভ হবে ২৭ হাজার টাকা। আগামী বছর তিনি এক বিঘা জমিতে এই জাতের কপি চাষ করবেন।
জানা যায়, হাইব্রিড সুপার তাব্বি জাতের ফুলপকি আগাম থেকে মধ্য মৌসুম পর্যন্ত চাষ করা যায়। এই জাতের কপির পাতা খাড়া প্রকৃতি হয়। তাই সূর্য্যরে আলো সরাসারি কপির উপরে পড়তে পারে না। স্লো হোয়াইট রঙ্গের গম্বুজ আকৃতির এই কপি খুবই টাইট হয়। তাই পরিবহরে নষ্ট হয় না। সঠিক পরিচর্যায় চারা রোপনের ৫৫ থেকে ৬০ দিনে গছে কপি ধরে। একেকটি কপি এক থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন হয়। আর একর প্রতি ফলন হয় ২০ থেকে ২২ টন।
কৃষক রায়হান আহমেদ বলেন, এই জাতের কপি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হবেন। শীতের আগেই বাজারে তুলতে পারলে দাম বেশী পাওয়া যায়। কারন এই সময় বাজারে প্রচুর ফুল কপির চাহিদা থাকে। আমার কপির মাঠ দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও আগামী বছর আগাম কপি চাষের স্বপ্ন দেখছেন।