রক্তস্বল্পতার লক্ষণ ও প্রতিকার

রক্তস্বল্পতা মানে রক্ত কমে যাওয়া নয়। লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১৪-১৬ গ্রাম/ডি এল থাকে। যদি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে যায় তবে এই ঘাটতিকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়।

 

রক্তস্বল্পতার লক্ষণ:  ক্লান্তি বা দুর্বলতা হল রক্তাল্পতার প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও শ্বাস প্রশ্বাসের স্বল্পতা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, গায়ের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথাও রক্তাল্পতার উপসর্গ। এসব কোন লক্ষণ দেখা দিলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তখন খাবার দাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।

 

রক্তস্বল্পতা দূর করতে মাছ, মাংস, কলিজা, পালং শাক, বিট, মটরের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

 

বিটের জুস:যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, চিকিৎসকরা প্রায়ই তাদের বিটের রস পান করার পরামর্শ দেন। এতে রয়েছে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, বেটাইন এবং ভিটামিন সি-সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। বিটরুটের জুস পান করলে হলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের হয়ে যায়।

 

পালং ও পুদিনার রস: রক্তস্বল্পতার জন্য শাক সবচেয়ে ভালো প্রতিকার। এতে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি টুয়েলভ, ফলিক অ্যাসিড-এর মত পুষ্টি রয়েছে। আধা কাপ পালং শাকে প্রায় ৩৫ শতাংশ আয়রন এবং ৩৩ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এ ছাড়া আপনি এক গ্লাস পালং শাক এর রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার পান করতে পারেন।

 

ডালিমের রস: ডালিম বা বেদানর রস রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য অন্যতম উপাদান। এক কাপ ডালিমের রসে এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ  দারুচিনি গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে সঙ্গে এই মিশ্রণটি গ্রহণ করুন। আরেকটি বিকল্প হল এক গ্লাস গরম দুধে দু’চামচ শুকনো ডালিমের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে একবার বা দু’বার পান করলেও উপকার মিলবে।

 

মিক্সড ভেজিটেবল জুস: ভেজিটেবল মিক্স স্যুপ হল বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। আয়রন সমৃদ্ধ এই রস পান করতে খুবই সুস্বাদু। সূূূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

» নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ : তাপস

» বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

» চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের সড়ক অবরোধ

» ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

» থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

» ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

» রাবির ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা

» শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

» মন্ত্রী-এমপির স্বজন যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি, সময়মতো ব্যবস্থা: কাদের

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

রক্তস্বল্পতার লক্ষণ ও প্রতিকার

রক্তস্বল্পতা মানে রক্ত কমে যাওয়া নয়। লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ১৪-১৬ গ্রাম/ডি এল থাকে। যদি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কমে যায় তবে এই ঘাটতিকে রক্তস্বল্পতা বলা হয়।

 

রক্তস্বল্পতার লক্ষণ:  ক্লান্তি বা দুর্বলতা হল রক্তাল্পতার প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও শ্বাস প্রশ্বাসের স্বল্পতা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, গায়ের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, বুকে ব্যথাও রক্তাল্পতার উপসর্গ। এসব কোন লক্ষণ দেখা দিলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে তখন খাবার দাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে।

 

রক্তস্বল্পতা দূর করতে মাছ, মাংস, কলিজা, পালং শাক, বিট, মটরের মতো আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

 

বিটের জুস:যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম, চিকিৎসকরা প্রায়ই তাদের বিটের রস পান করার পরামর্শ দেন। এতে রয়েছে ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, আয়রন, বেটাইন এবং ভিটামিন সি-সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। বিটরুটের জুস পান করলে হলে লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের হয়ে যায়।

 

পালং ও পুদিনার রস: রক্তস্বল্পতার জন্য শাক সবচেয়ে ভালো প্রতিকার। এতে আয়রনের পাশাপাশি ভিটামিন বি টুয়েলভ, ফলিক অ্যাসিড-এর মত পুষ্টি রয়েছে। আধা কাপ পালং শাকে প্রায় ৩৫ শতাংশ আয়রন এবং ৩৩ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এ ছাড়া আপনি এক গ্লাস পালং শাক এর রসে দুই চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন একবার পান করতে পারেন।

 

ডালিমের রস: ডালিম বা বেদানর রস রক্তস্বল্পতা দূর করার জন্য অন্যতম উপাদান। এক কাপ ডালিমের রসে এক চামচের চার ভাগের এক ভাগ  দারুচিনি গুঁড়ো এবং দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ব্রেকফাস্টে সঙ্গে এই মিশ্রণটি গ্রহণ করুন। আরেকটি বিকল্প হল এক গ্লাস গরম দুধে দু’চামচ শুকনো ডালিমের বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে একবার বা দু’বার পান করলেও উপকার মিলবে।

 

মিক্সড ভেজিটেবল জুস: ভেজিটেবল মিক্স স্যুপ হল বিভিন্ন রকমের সবজির মিশ্রণ। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার পাওয়া যায়। আয়রন সমৃদ্ধ এই রস পান করতে খুবই সুস্বাদু। সূূূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com