যেসব উপসর্গে বুঝবেন শরীরে বেড়েছে কোলেস্টেরল

কোভিড পরবর্তী সময়ে নানা রকম সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে শরীরে। এর মধ্যে অন্যতম হল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এসব তো আছেই। একটানা বসে থাকা, কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম না করা, তেল মশলাযুক্ত খাবার এসবই কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শরীরে কোলেস্টেরল বাড়া মোটেই কাজের কথা নয়। এতে শরীরে রক্তপ্রবাহে বাধা পায়। আর এখান থেকেই আসে হার্টের নানা সমস্যা। কোলেস্টেরল বাড়লে যে কারণে থেকে যায় হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা।

 

ধমনীর দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমা হলে ধমনী সংকীর্ণ হতে পারে। এমনকি ধমনী সম্পূর্ণ ভাবে ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এতে রক্ত প্রবাহ বাধা পায়। আর রক্ত প্রবাহ বাধা পেলে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। হৃৎপিন্ড এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধা পায়। যেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। যে কারণে প্রত্যেকেরই বছরে অন্তত একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো কিন্তু ভীষণ জরুরি।

 

কোলেস্টেরল যদি সীমার মধ্যে না থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিনকার খাওয়া দাওয়া, জীবনযাপরনে আনুন পরিবর্তন। কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল বাড়লেও আমরা দ্রুত সেটি বুঝতে পারি না। শরীরে কিছু অসুবিধা হয় ঠিকই, কিন্তু অনেকেই তা এড়িয়ে যান। কোলেস্টেরল কিন্তু নীরব ঘাতক। কোনও উপসর্গ থাকে না বলেই অনেকে বিষয়টি হালকা ভাবে নেন। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই চলবেন। কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে যে সকল সমস্যা আসে তার কিছু উপসর্গ জেনে রাখুন।

 

রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমলে সেখানে রক্ত স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারণে অনেক সময় পায়ের পেশিতে ব্যথা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও কোলেস্টেরল বাড়লে চাপ পড়ে হার্টের উপর। যেখান থেকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ এর সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে তখন জোরে হাঁটা, দৌড়ানো এসব কিছুই করা যায় না। সেই সঙ্গে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। কোলেস্টেরল যদি বাড়ে তাহলে কিন্তু আভ্যন্তরীন নানা সমস্যাও আসে। এছাড়াও অনেক সময় হাতে খুব ব্যথা হয়। যার কারণ আমরা ধরতে পারি না। এর কারণও কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধি।

 

অনেক সময় চোয়ালে তীব্র ব্যথা হয়। খাবার চিবিয়ে খাওয়া খুব মুশকিলের হয়। এর কারণ কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধি। হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন বাধা পেলে তখনই কিন্তু চোয়ালে সমস্যা হয়। চোয়ালের ব্যথা থেকেও পরবর্তীতে বুকে ব্যথা বাড়ে। তাই আগেভাগেই সচেতন হন। জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন। নিয়ম মাফিক শরীরচর্চাও কিন্তু জরুরি।  বছরে একবার অবশ্যই কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ৭ আইনজীবীর আদালত অবমাননার আদেশ বুধবার

» উপজেলায় সুষ্ঠু ভোট করতে সিইসির নেতৃত্বে ইসিতে বৈঠক

» দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের

» বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

» মেহজাবীন ও সিয়ামের দ্বন্দ্ব!

» মাইক্রোবাসের ধাক্কায় রিকশাচালক যুবক নিহত

» বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপতৎপরতা সফল হবে না: নানক

» আগামীকাল ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» পারিবারিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেফতার

» আওয়ামী লীগের যৌথসভা আজ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যেসব উপসর্গে বুঝবেন শরীরে বেড়েছে কোলেস্টেরল

কোভিড পরবর্তী সময়ে নানা রকম সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে শরীরে। এর মধ্যে অন্যতম হল কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ এসব তো আছেই। একটানা বসে থাকা, কোনও রকম শারীরিক পরিশ্রম না করা, তেল মশলাযুক্ত খাবার এসবই কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শরীরে কোলেস্টেরল বাড়া মোটেই কাজের কথা নয়। এতে শরীরে রক্তপ্রবাহে বাধা পায়। আর এখান থেকেই আসে হার্টের নানা সমস্যা। কোলেস্টেরল বাড়লে যে কারণে থেকে যায় হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা।

 

ধমনীর দেওয়ালে কোলেস্টেরল জমা হলে ধমনী সংকীর্ণ হতে পারে। এমনকি ধমনী সম্পূর্ণ ভাবে ব্লকও হয়ে যেতে পারে। এতে রক্ত প্রবাহ বাধা পায়। আর রক্ত প্রবাহ বাধা পেলে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা থাকে। হৃৎপিন্ড এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাধা পায়। যেখান থেকে পরিস্থিতি জটিল হয়ে যায়। যে কারণে প্রত্যেকেরই বছরে অন্তত একবার কোলেস্টেরল পরীক্ষা করানো কিন্তু ভীষণ জরুরি।

 

কোলেস্টেরল যদি সীমার মধ্যে না থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিদিনকার খাওয়া দাওয়া, জীবনযাপরনে আনুন পরিবর্তন। কোলেস্টেরল সঠিক মাত্রায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলেস্টেরল বাড়লেও আমরা দ্রুত সেটি বুঝতে পারি না। শরীরে কিছু অসুবিধা হয় ঠিকই, কিন্তু অনেকেই তা এড়িয়ে যান। কোলেস্টেরল কিন্তু নীরব ঘাতক। কোনও উপসর্গ থাকে না বলেই অনেকে বিষয়টি হালকা ভাবে নেন। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই চলবেন। কোলেস্টেরল বাড়লে শরীরে যে সকল সমস্যা আসে তার কিছু উপসর্গ জেনে রাখুন।

 

রক্তনালিতে কোলেস্টেরল জমলে সেখানে রক্ত স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারণে অনেক সময় পায়ের পেশিতে ব্যথা কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও কোলেস্টেরল বাড়লে চাপ পড়ে হার্টের উপর। যেখান থেকে পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ এর সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে তখন জোরে হাঁটা, দৌড়ানো এসব কিছুই করা যায় না। সেই সঙ্গে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। কোলেস্টেরল যদি বাড়ে তাহলে কিন্তু আভ্যন্তরীন নানা সমস্যাও আসে। এছাড়াও অনেক সময় হাতে খুব ব্যথা হয়। যার কারণ আমরা ধরতে পারি না। এর কারণও কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধি।

 

অনেক সময় চোয়ালে তীব্র ব্যথা হয়। খাবার চিবিয়ে খাওয়া খুব মুশকিলের হয়। এর কারণ কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধি। হৃৎপিন্ডে রক্ত সঞ্চালন বাধা পেলে তখনই কিন্তু চোয়ালে সমস্যা হয়। চোয়ালের ব্যথা থেকেও পরবর্তীতে বুকে ব্যথা বাড়ে। তাই আগেভাগেই সচেতন হন। জীবনযাত্রায় আনুন পরিবর্তন। নিয়ম মাফিক শরীরচর্চাও কিন্তু জরুরি।  বছরে একবার অবশ্যই কোলেস্টেরলের পরীক্ষা করিয়ে নেবেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com