যা করলে লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ে না রোগীদের

প্রোন পজিশন’ মানে উপুড় হয়ে শোয়া। আগে প্রোন পজিশনে রাখতে বলা হতো শুধু এআরডিএস রোগীদের। কোভিড-১৯-এর রোগীদের করা হয় সেলফ প্রোনিং। মানে নিজেই তারা উপুড় হয়ে শোবে। 

 

দ্য জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে দেখা গেছে, যারা জেগে থাকা অবস্থায় কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা প্রোনিং করে তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরই লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হয়নি। রোগীর শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিলে তখনই অক্সিজেন থেরাপির পাশাপাশি রোগীকে ‘সেলফ প্রোনিং’-এর পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মাথাটা ডান দিক, বাম দিকে কাত করে রাখবে। আবার অক্সিজেনের নল ব্যবহার করলে সেটা সুবিধামতো রাখলেই হবে।

 

খাওয়ার পর প্রোনিং একটু কঠিন। সে ক্ষেত্রে খালিপেটেই করতে হবে। আমাদের ফুসফুসের নিচের অংশ অর্থাৎ লোয়ার লোব, যা পেছনের দিকে থাকে, সেটা ফুসফুসের একটা বিরাট অংশ। যদি সব সময় চিত হয়ে শুয়ে থাকি, তাহলে লোয়ার লোবের ওপর চাপ পড়ে এবং লোয়ার লোবের শ্বাসনালিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসনালিতে শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এবং কোনও জীবাণু যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ঢোকে, তবে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা থাকে। উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে, ইনফেকশনের প্রবণতাও কমে।

 

লাইফ সাপের্টে যাওয়ার পরও রোগীকে প্রোনিং করা হয়। এই প্রোনিংটা মূলত করা হয় Acute respiratory distress syndrome (ARDS)-এর ক্ষেত্রে। মারাত্মক কোভিড রোগীর একটা ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস হচ্ছে এআরডিএস। এআরডিএস-এ রোগীকে আমরা যতই অক্সিজেন দেওয়া হোক স্বল্পতা থেকেই যায়। ভেন্টিলেটেড অবস্থায় প্রোনিং করা খুবই কঠিন। এখানে লাইফ সাপোর্টে যেসব রোগীকে দেওয়া হয় সেসব রোগীকে সচরাচর কম করা হয়। কারণ যেসব টিউব ও চ্যানেল থাকে, সেগুলোকে ঠিকঠাক রেখে প্রোনিং করা কঠিন। তাই সেলফ প্রোনিংটাই সব রোগীকে করতে বলা হয়। সূত্র: কালেরকণ্ঠ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

» নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ : তাপস

» বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

» চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের সড়ক অবরোধ

» ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

» থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

» ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

» রাবির ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা

» শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

» মন্ত্রী-এমপির স্বজন যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি, সময়মতো ব্যবস্থা: কাদের

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যা করলে লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ে না রোগীদের

প্রোন পজিশন’ মানে উপুড় হয়ে শোয়া। আগে প্রোন পজিশনে রাখতে বলা হতো শুধু এআরডিএস রোগীদের। কোভিড-১৯-এর রোগীদের করা হয় সেলফ প্রোনিং। মানে নিজেই তারা উপুড় হয়ে শোবে। 

 

দ্য জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে দেখা গেছে, যারা জেগে থাকা অবস্থায় কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা প্রোনিং করে তাদের দুই-তৃতীয়াংশেরই লাইফ সাপোর্টের প্রয়োজন হয়নি। রোগীর শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দিলে তখনই অক্সিজেন থেরাপির পাশাপাশি রোগীকে ‘সেলফ প্রোনিং’-এর পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মাথাটা ডান দিক, বাম দিকে কাত করে রাখবে। আবার অক্সিজেনের নল ব্যবহার করলে সেটা সুবিধামতো রাখলেই হবে।

 

খাওয়ার পর প্রোনিং একটু কঠিন। সে ক্ষেত্রে খালিপেটেই করতে হবে। আমাদের ফুসফুসের নিচের অংশ অর্থাৎ লোয়ার লোব, যা পেছনের দিকে থাকে, সেটা ফুসফুসের একটা বিরাট অংশ। যদি সব সময় চিত হয়ে শুয়ে থাকি, তাহলে লোয়ার লোবের ওপর চাপ পড়ে এবং লোয়ার লোবের শ্বাসনালিগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শ্বাসনালিতে শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত হয় এবং কোনও জীবাণু যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ঢোকে, তবে নিউমোনিয়ার আশঙ্কা থাকে। উপুড় হয়ে শোয়ার ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বাড়ে, ইনফেকশনের প্রবণতাও কমে।

 

লাইফ সাপের্টে যাওয়ার পরও রোগীকে প্রোনিং করা হয়। এই প্রোনিংটা মূলত করা হয় Acute respiratory distress syndrome (ARDS)-এর ক্ষেত্রে। মারাত্মক কোভিড রোগীর একটা ক্লিনিক্যাল ডায়াগনসিস হচ্ছে এআরডিএস। এআরডিএস-এ রোগীকে আমরা যতই অক্সিজেন দেওয়া হোক স্বল্পতা থেকেই যায়। ভেন্টিলেটেড অবস্থায় প্রোনিং করা খুবই কঠিন। এখানে লাইফ সাপোর্টে যেসব রোগীকে দেওয়া হয় সেসব রোগীকে সচরাচর কম করা হয়। কারণ যেসব টিউব ও চ্যানেল থাকে, সেগুলোকে ঠিকঠাক রেখে প্রোনিং করা কঠিন। তাই সেলফ প্রোনিংটাই সব রোগীকে করতে বলা হয়। সূত্র: কালেরকণ্ঠ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com