যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কাদের

দু’ধরনের যমজ সন্তান হয়। এক যারা একই রকম দেখতে। এদের বলা হয় ‘আইডেন্টিকাল টুইন’। আরেক যাদের চেহারায় মিল নেই। তাদের বলা হয় ‘ফ্র্যাটার্নাল টুইন’।

 

বিশ্বে প্রতি ২৫০ জনের মধ্যে নাকি ১ জন যমজ সন্তানের জন্ম দেন। একবারেই দুই সন্তানের বাবা-মা হতে পারার আনন্দ যেমন রয়েছে, তেমন বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। মায়ের শরীরে ধকল বেশি হয়, জন্মের আগে ও পরে। খরচ অবশ্যই অনেক বেশি। দুই সন্তান বড় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নাও থাকতে পারে অনেকের। মোটের উপর, এই বিষয়ে খুব একটা ‘সারপ্রাইজ’ পেতে বাবা-মায়েরা পছন্দ করেন না।

 

বরং আগে থেকে জানা থাকলে, তাদের প্রস্তুতি নিতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। কাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তা মোটামুটি আন্দাজ করা যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে। জেনে নিন সেগুলি কী।

জিনগত:

হ্যারি পটারের প্রিয় বন্ধু রন উইজলির দু’জোড়া যমজ ভাই ছিলো। অনেকেই বলেন, আমাদের পরিবারে বেশি যমজ সন্তান হয়। কথাটা একেবারে ভুল নয়। বিশেষ করে ফ্র্যাটার্নাল যমজ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। যদি আপনার কোনও যমজ ভাই বা বোন থাকে, তা হলে আপনারও যমজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্র্যাটার্নাল যমজদের ক্ষেত্রে মায়ের শরীর ডিম্বাণু বেশি উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপারওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়েদের ডিএনএ থেকে আসতে পারে।

 

বয়স:

বেশি বয়সে মা হলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে। মেয়েরা যতো ঋতুবন্ধের দিকে এগিয়ে যান, ততোই তাদের শরীরে কিছু হরমোনের বদল আসে। এবং তাতেই যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

 

উচ্চতা:

খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে ১২৯ মেয়ে যাদের যমজ সন্তান হয় তাদের সকলেরই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির বেশি ছিলো।

ওজন:

যাদের স্থুলতাজাত রোগ বা ওবেসিটি রয়েছে, তাদেরও যমজ বা আরও বেশি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী রকম ওজন হলে আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভাল হবে, তা নিয়ে আগেই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

 

ডায়েট:

২০০৬ সালে একটি সমীক্ষা বলছে, যারা ভিগান তারা যমজ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন বেশি। মানে যারা নিরামিষাসী হওয়ার পাশাপাশি উদ্ভিদজাত দুধ খাচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে, দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু পদার্থ যায় যা শরীরের সন্তান উৎপাদন পক্রিয়ায় কিছু বদল আনতে পারে। তবে এই নিয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি।

 

আইভিএফ:

যারা আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হচ্ছেন, তারা সফল হওয়ার জন্য অনেক সময় একাধিক ভ্রুণ শরীরে প্রবেশ করান। ঠিক যে ভাবে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’ও ফিবি বুফে তিনটে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলো, একইভাবে আপনার ক্ষেত্রেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। একাধিক ভ্রুণ শরীরে প্রবেশ করালে হতেই পারেই আইভিএফ পদ্ধতিতে তার প্রত্যেকটাই সফল হল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফেরত যাবে মিয়ানমারের ২৮৫ সেনা, ফিরবে ১৫০ বাংলাদেশি

» ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক নিহত

» কৃষক লীগকে শহরে আটকে না রেখে গ্রামে নিয়ে যাওয়া ভালো: কাদের

» গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা

» হাওরে কৃষকদের বোরো ধানের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

» বাসচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

» ‌‌‘বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা’

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

» বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি কাদের

দু’ধরনের যমজ সন্তান হয়। এক যারা একই রকম দেখতে। এদের বলা হয় ‘আইডেন্টিকাল টুইন’। আরেক যাদের চেহারায় মিল নেই। তাদের বলা হয় ‘ফ্র্যাটার্নাল টুইন’।

 

বিশ্বে প্রতি ২৫০ জনের মধ্যে নাকি ১ জন যমজ সন্তানের জন্ম দেন। একবারেই দুই সন্তানের বাবা-মা হতে পারার আনন্দ যেমন রয়েছে, তেমন বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে। মায়ের শরীরে ধকল বেশি হয়, জন্মের আগে ও পরে। খরচ অবশ্যই অনেক বেশি। দুই সন্তান বড় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নাও থাকতে পারে অনেকের। মোটের উপর, এই বিষয়ে খুব একটা ‘সারপ্রাইজ’ পেতে বাবা-মায়েরা পছন্দ করেন না।

 

বরং আগে থেকে জানা থাকলে, তাদের প্রস্তুতি নিতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। কাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তা মোটামুটি আন্দাজ করা যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে। জেনে নিন সেগুলি কী।

জিনগত:

হ্যারি পটারের প্রিয় বন্ধু রন উইজলির দু’জোড়া যমজ ভাই ছিলো। অনেকেই বলেন, আমাদের পরিবারে বেশি যমজ সন্তান হয়। কথাটা একেবারে ভুল নয়। বিশেষ করে ফ্র্যাটার্নাল যমজ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। যদি আপনার কোনও যমজ ভাই বা বোন থাকে, তা হলে আপনারও যমজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্র্যাটার্নাল যমজদের ক্ষেত্রে মায়ের শরীর ডিম্বাণু বেশি উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপারওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়েদের ডিএনএ থেকে আসতে পারে।

 

বয়স:

বেশি বয়সে মা হলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে। মেয়েরা যতো ঋতুবন্ধের দিকে এগিয়ে যান, ততোই তাদের শরীরে কিছু হরমোনের বদল আসে। এবং তাতেই যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

 

উচ্চতা:

খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে ১২৯ মেয়ে যাদের যমজ সন্তান হয় তাদের সকলেরই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির বেশি ছিলো।

ওজন:

যাদের স্থুলতাজাত রোগ বা ওবেসিটি রয়েছে, তাদেরও যমজ বা আরও বেশি সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী রকম ওজন হলে আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভাল হবে, তা নিয়ে আগেই নিজের চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিন।

 

ডায়েট:

২০০৬ সালে একটি সমীক্ষা বলছে, যারা ভিগান তারা যমজ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন বেশি। মানে যারা নিরামিষাসী হওয়ার পাশাপাশি উদ্ভিদজাত দুধ খাচ্ছেন। এর একটি কারণ হতে পারে, দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু পদার্থ যায় যা শরীরের সন্তান উৎপাদন পক্রিয়ায় কিছু বদল আনতে পারে। তবে এই নিয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণা করা হয়নি।

 

আইভিএফ:

যারা আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হচ্ছেন, তারা সফল হওয়ার জন্য অনেক সময় একাধিক ভ্রুণ শরীরে প্রবেশ করান। ঠিক যে ভাবে জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’ও ফিবি বুফে তিনটে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলো, একইভাবে আপনার ক্ষেত্রেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। একাধিক ভ্রুণ শরীরে প্রবেশ করালে হতেই পারেই আইভিএফ পদ্ধতিতে তার প্রত্যেকটাই সফল হল। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com