মিশরের বন্দর নগরী আলেক্সজান্দ্রিয়ার ফ্রি জোন এলাকায় দুটি পোশাক শিল্প কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপক।
সম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশি মালিকানাধীন পোশাক শিল্প কারখানা ত্রিস্টার ও এলেক্স অ্যাপারেল পরিদর্শন করেন।
এসময় কর্মীদের ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসাইনকে দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখতে বলেন।
সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এলেক্স অ্যাপারেলসে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সঙ্গে কারখানাতেই কথা বলেন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
প্রবাসী কর্মীরা তাদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্যপদ কার্ডের সফট কপির পরিবর্তে হার্ড কপি অর্থাৎ স্মার্ট কার্ড সরবরাহ ও মিশর থেকে বাংলাদেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, নতুন করে যারা সদস্যপদ অন্তর্ভুক্তি হবেন তাদের মিশরে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং থেকে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করতে দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসাইনকে দিকনির্দেশনা দেন।
প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশে তাদের পরিবারের কাছে বৈধপথে পাঠানোর জন্য রাষ্ট্রদূতের পরামর্শক্রমে মিশরের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়।
প্রতিনিধি দলটি কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন এবং দেশটিতে শ্রমবাজারের সম্ভাবনা বিষয়ে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিশরে বাংলাদেশি শ্রম বাজারের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ও সচিবকে অবহিত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন, তৃতীয় সচিব আতাউল হক ও দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, উপ-সচিব সুষমা সুলতানা, উপ-সচিব সন্দীপ কুমার সরকার ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর এপিএস রাশেদুজ্জামান। সূএ:জাগোনিউজ২৪.কম