মারণক্ষমতা কমবে, দ্বিগুণ হবে ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীর সংখ্যা; দাবি গবেষকদের

আগামী এক দশকের মধ্যে নিরাময় অযোগ্য ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীর হার দ্বিগুণ হতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

 

ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ (আইসিআর) এবং রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন।

তাদের মতে, এই সময়ে আরও বেশি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী আরোগ্য লাভ করবে। সেই সঙ্গে বহুসংখ্যক রোগী আরও বেশি দিন বেঁচে থাকবেন।

 

বিজ্ঞানীরা তাদের ভাষায় ‘ক্যান্সার ইকোসিস্টেম’ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইমিউন সিস্টেমের পাশাপাশি অণু, কোষ এবং কাঠামো যা টিউমারকে ঘিরে থাকে এবং তাদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

 

আইসিআর এবং রয়্যাল মার্সডেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, তারা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা, রোগের সাথে লড়াই করার জন্য শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা এবং ক্যান্সার বেঁচে থাকতে সাহায্য করার জন্য সুস্থ কোষকে সুকৌশলে বন্ধ করার মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারবেন।

 

আইসিআর-এর অধ্যাপক ও রয়্যাল মার্সডেনের পরামর্শদাতা কেভিন হ্যারিংটন বলেন, “আমরা এই সত্যটি স্বীকার করি যে একজন রোগীর মধ্যে ক্যান্সারের একটি পিণ্ড কেবল ক্যান্সার কোষের একটি বল তথা টিউমার থেকে অনেক বেশি।

 

তিনি আরও বলেন, “এটি একটি জটিল ইকোসিস্টেম এবং সেই ইকোসিস্টেমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা নিজেদেরকে আরও উন্নত ধরনের লক্ষ্যবস্তু দেয়। এখান থেকে আমরা আরও রোগীদের নিরাময় করার এবং কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সাথে এটি করার জন্য বিপুল সংখ্যক সুযোগ পেতে পারি।

 

রোগটিকে আরও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে গবেষকরা ক্যান্সারের মাইক্রোস্কোপিক টুকরোগুলোকে আরও গভীরভাবে দেখবেন।

 

আইসিআর-এর ওষুধ আবিষ্কার বিষয়ক পরিচালক ডা. অলিভিয়া রোসানেস বলেছেন, আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা ইতোমধ্যেই মানুষকে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে সহায়তা করছে।  তবে রোগের এমন কিছু ধরন আছে যেগুলোর চিকিৎসা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

 

“আমরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আক্রমণের সম্পূর্ণ নতুন লাইন (পদ্ধতি) প্রবর্তনের পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ক্যান্সারের বিবর্তিত হওয়া এবং এই রোগের চিকিৎসা প্রতিরোধী (রেজিস্ট্যান্ট) হওয়ার মারাত্মক ক্ষমতাকে কাটিয়ে উঠতে পারি,” যোগ করেন তিনি।

 

তিনি বলেন, “আমরা টিউমার এবং বিস্তৃত বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে আরও ভাল লক্ষ্যগুলো আবিষ্কার করতে চাই, যা আমরা ওষুধ দিয়ে আক্রমণ করতে পারি।

 

“আমরা ক্যান্সার প্রোটিন সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার শক্তিশালী নতুন উপায় খুঁজে বের করছি এবং একাধিক ফ্রন্টে ক্যান্সারকে আক্রমণ করে এমন আরও স্মার্ট সমন্বয় চিকিৎসা আবিষ্কার করছি,” বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, “একসাথে, এই ত্রি-মুখী পদ্ধতিটি আরও স্মার্ট, ক্যান্সারের সুন্দর চিকিৎসা উদ্ভাবন করতে পারে এবং কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ রোগীদের দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করতে পারে।” সূত্র: স্কাই নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাতি হিসেবে আমাদের সকল প্রাপ্তির দ্বার উন্মোচন করে গেছে মুজিব নগর সরকার-ধর্মমন্ত্রী

» ইসলামপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

» ব্র্যাক ব্যাংক ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের দুই মাসে ২,৫০০ কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন

» চলমান বিডিএস এর আওতায় গ্রাউন্ড পয়েন্ট স্থাপনের কাজ শেষ, শীঘ্রই ম্যাপ তোরির কাজ শুরু

» ৬১ বিজিবি তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ কর্তৃক হাতীবান্ধায় অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস

» লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বৃষ্টি জন্য বিশেষ নামাজ আদায়

» পলাশে প্রেমিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার

» আরো কর্মী নিতে কাতারের আমিরের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান

» সোনার দাম ভ‌রিতে কমলো ৩১৩৮ টাকা

» বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মারণক্ষমতা কমবে, দ্বিগুণ হবে ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীর সংখ্যা; দাবি গবেষকদের

আগামী এক দশকের মধ্যে নিরাময় অযোগ্য ক্যান্সার নিয়ে বেঁচে থাকা রোগীর হার দ্বিগুণ হতে পারে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

 

ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ (আইসিআর) এবং রয়্যাল মার্সডেন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন।

তাদের মতে, এই সময়ে আরও বেশি ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী আরোগ্য লাভ করবে। সেই সঙ্গে বহুসংখ্যক রোগী আরও বেশি দিন বেঁচে থাকবেন।

 

বিজ্ঞানীরা তাদের ভাষায় ‘ক্যান্সার ইকোসিস্টেম’ সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইমিউন সিস্টেমের পাশাপাশি অণু, কোষ এবং কাঠামো যা টিউমারকে ঘিরে থাকে এবং তাদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

 

আইসিআর এবং রয়্যাল মার্সডেন বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, তারা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করা, রোগের সাথে লড়াই করার জন্য শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা এবং ক্যান্সার বেঁচে থাকতে সাহায্য করার জন্য সুস্থ কোষকে সুকৌশলে বন্ধ করার মতো ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারবেন।

 

আইসিআর-এর অধ্যাপক ও রয়্যাল মার্সডেনের পরামর্শদাতা কেভিন হ্যারিংটন বলেন, “আমরা এই সত্যটি স্বীকার করি যে একজন রোগীর মধ্যে ক্যান্সারের একটি পিণ্ড কেবল ক্যান্সার কোষের একটি বল তথা টিউমার থেকে অনেক বেশি।

 

তিনি আরও বলেন, “এটি একটি জটিল ইকোসিস্টেম এবং সেই ইকোসিস্টেমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা নিজেদেরকে আরও উন্নত ধরনের লক্ষ্যবস্তু দেয়। এখান থেকে আমরা আরও রোগীদের নিরাময় করার এবং কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সাথে এটি করার জন্য বিপুল সংখ্যক সুযোগ পেতে পারি।

 

রোগটিকে আরও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে গবেষকরা ক্যান্সারের মাইক্রোস্কোপিক টুকরোগুলোকে আরও গভীরভাবে দেখবেন।

 

আইসিআর-এর ওষুধ আবিষ্কার বিষয়ক পরিচালক ডা. অলিভিয়া রোসানেস বলেছেন, আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসা ইতোমধ্যেই মানুষকে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকতে সহায়তা করছে।  তবে রোগের এমন কিছু ধরন আছে যেগুলোর চিকিৎসা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

 

“আমরা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আক্রমণের সম্পূর্ণ নতুন লাইন (পদ্ধতি) প্রবর্তনের পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ক্যান্সারের বিবর্তিত হওয়া এবং এই রোগের চিকিৎসা প্রতিরোধী (রেজিস্ট্যান্ট) হওয়ার মারাত্মক ক্ষমতাকে কাটিয়ে উঠতে পারি,” যোগ করেন তিনি।

 

তিনি বলেন, “আমরা টিউমার এবং বিস্তৃত বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে আরও ভাল লক্ষ্যগুলো আবিষ্কার করতে চাই, যা আমরা ওষুধ দিয়ে আক্রমণ করতে পারি।

 

“আমরা ক্যান্সার প্রোটিন সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করার শক্তিশালী নতুন উপায় খুঁজে বের করছি এবং একাধিক ফ্রন্টে ক্যান্সারকে আক্রমণ করে এমন আরও স্মার্ট সমন্বয় চিকিৎসা আবিষ্কার করছি,” বলেন তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, “একসাথে, এই ত্রি-মুখী পদ্ধতিটি আরও স্মার্ট, ক্যান্সারের সুন্দর চিকিৎসা উদ্ভাবন করতে পারে এবং কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ রোগীদের দীর্ঘ দিন বেঁচে থাকতে সহায়তা করতে পারে।” সূত্র: স্কাই নিউজ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com