ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্পেনের মাদ্রিদে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উদযাপন করেছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
শনিবার (২১ মে) স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পহেলা বৈশাখের মুখোশ, ফেস্টুন ও ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গণ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্পেন প্রবাসী বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা তাদের পরিবারের সদস্যসহ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ। তিনি বলেন,বাংলা নববর্ষ বাঙালির প্রাণের উৎসব। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতির সার্বজনীন উৎসব।
‘মঙ্গল শোভাযাত্রা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। যেমনটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন।’
ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রাকে ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাঙালিদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও সম্মানের।
পরে দূতাবাসের হলরুমে আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে সারওয়ার মাহমুদ বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালির জাতীয় জীবনে পরম আনন্দের দিন। চির নতুনের বার্তা নিয়ে এটি আমাদের জীবনে বয়ে নিয়ে আসে পরম আনন্দ।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সাংস্কৃতির বিকাশ এবং জাতীয় চেতনার উন্মেষ।’
এ সময় তিনি দেশীয় ঐতিহ্যকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিদেশের মাটিতে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য আগত অতিথিদের তিনি নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মনোমুগ্ধকর বিভিন্ন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
পরে নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের জন্য বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার পরিবেশন করা হয়। সূএ:জাগো নিউজ