মাদকের অবৈধ টাকায় মাজার নির্মাণ

রাজধানীর মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা মো. আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির ও তার সহযোগীকে বিদেশি অস্ত্র, ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মনির নিজ বাড়িতে নির্মাণ করেছে কোটি টাকার স্থাপনা। সে তার বাবার কৃতী সন্তান তা সবাইকে জানানোর জন্য মাদক ব্যবসার অবৈধ টাকা দিয়ে তার বাবার কবরকে মাজার করেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব’র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ‘ভাইব্বা ল কিং’ নামক কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসী ‘কবির বাহিনী’সহ বেশ কয়েকটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সম্প্রতি র‌্যাব রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য চক্রের সন্ধান পায়। এরপর র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

 

খন্দকার আল মঈন বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল হাজারীবাগ থানায় মধুবাজারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. জুবায়ের হোসেন (৩৩) কে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে জব্দ করা হয় ২টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১৮ হাজার ৭৭০ পিস ইয়াবা, ৬ গ্রাম আইস এবং মাদক।

 

যার মূল্য ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মনির মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত পিচ্চি মনিরের পরিবার জীবিকার সন্ধানে ১৯৯৫ সালে ঢাকায় চলে আসে এবং লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকায় বসবাস শুরু করে। মনিরের পিতা জীবিকা নির্বাহের জন্য ফলের ব্যবসা শুরু করেন। মনির তাকে সহযোগিতা করতো। একসময় মনির এলাকার বখাটে ছেলেদের সঙ্গে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের মাধ্যমে তার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে সে এলাকার বখাটেদের নিয়ে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। এই চক্রটি ব্যবহার করে সে মাদক ব্যবসা শুরু করে।

 

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ২০১২ সাল থেকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সে ও তার এক বন্ধু পার্টনারশিপে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়। প্রথমে স্থানীয় মাদক ডিলারদের কাছ থেকে অল্প অল্প করে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে খুচরা মাদকসেবীদের কাছে বিক্রয় করতো। ২০১৬ সালে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার মাদক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। এরপর টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে তার নিকট নিয়মিত মাদকদ্রব্য ইয়াবা সরবরাহ করা হতো। মাঝে মধ্যে সে ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঢাকা থেকে কক্সবাজার গমন করে মাদকের চালান নিয়ে আসতো। মূলত তারা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতো। শতকরা ২০ শতাংশ হারে অ্যাডভান্স পেমেন্টের মাধ্যমে ইয়াবা ঢাকায় চলে আসতো। মাদকের ডেলিভারি ও লেনদেন মনিরের ভাড়া বাসায় বা সুবিধামত স্থানে সম্পন্ন হতো। মনির ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ভাড়াটিয়া ছদ্মবেশে মাদকের গোপন কারবার করতো।

 

মনির আরও জানায়, তার প্রতিমাসে কয়েকটি চালান টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসতো। সে মিরপুর-১৩, ইসলামবাগ, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, আজিমপুরসহ আরও কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীদের মাদক সরবরাহ করতো। প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। কৌশলগত কারণে খুচরা বিক্রেতাদের অপরিচিত রাখা হতো। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে হাতিরপুল এলাকার তার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া করা বাসা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়। সে এক একটি এলাকায় এক-দুই বছরের বেশি অবস্থান করতো না। মনির নিজ বাড়িতে কোটি টাকার স্থাপনা নির্মাণ করেছে। সে তার বাবার কৃতী সন্তান তা সবাইকে জানানোর জন্য মাদক ব্যবসার অবৈধ টাকা দিয়ে তার বাবার কবরে একটি মাজার নির্মাণ করেছে। মনির ২০১৮ সাল হতে অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। ২০১৮ সালে অবৈধ পিস্তলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং ৭ মাস কারা অভ্যন্তরীণ ছিল। ২০২০ সালে অস্ত্র ও মাদক মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। এ সময় সে ১ বছর কারাবরণ করেছে। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩টি অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কোনো সমস্যা হলে ট্রিপল নাইনে জানাতে বললেন আইজিপি

» নোয়াখালীর সেই পুকুরে এবার মিলল ৪০ রুপালি ইলিশ

» রমজানের তৃতীয় জুমায় বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল

» রাজার আমন্ত্রণে ভুটান সফরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

» কারিনা-কারিশমার রাজনীতিতে নামার গুঞ্জন

» ‘জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন’

» কবি মুক্তাদির চৌধুরী তরুণের ইন্তেকাল

» পুলিশের সোর্সকে চাকু মেরে হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামি গ্রেফতার

» ব্যবহৃত অলংকারের জাকাত দিতে হবে কি?

» ফেসবুক দীর্ঘদিন লগ আউট না করলে কী হয়?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

মাদকের অবৈধ টাকায় মাজার নির্মাণ

রাজধানীর মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা মো. আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির ও তার সহযোগীকে বিদেশি অস্ত্র, ইয়াবা ও নগদ অর্থসহ রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মনির নিজ বাড়িতে নির্মাণ করেছে কোটি টাকার স্থাপনা। সে তার বাবার কৃতী সন্তান তা সবাইকে জানানোর জন্য মাদক ব্যবসার অবৈধ টাকা দিয়ে তার বাবার কবরকে মাজার করেছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব’র লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২০২১ সালের রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাজারীবাগ এলাকা থেকে ‘ভাইব্বা ল কিং’ নামক কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসী ‘কবির বাহিনী’সহ বেশ কয়েকটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সম্প্রতি র‌্যাব রাজধানীর মোহাম্মাদপুর, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ এলাকায় বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র এবং মাদকদ্রব্য চক্রের সন্ধান পায়। এরপর র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

 

খন্দকার আল মঈন বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল হাজারীবাগ থানায় মধুবাজারের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসার অন্যতম হোতা আব্দুল্লাহ মনির ওরফে পিচ্চি মনির (৩৩) ও তার সহযোগী মো. জুবায়ের হোসেন (৩৩) কে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে জব্দ করা হয় ২টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড তাজা গুলি, ১৮ হাজার ৭৭০ পিস ইয়াবা, ৬ গ্রাম আইস এবং মাদক।

 

যার মূল্য ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মনির মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত পিচ্চি মনিরের পরিবার জীবিকার সন্ধানে ১৯৯৫ সালে ঢাকায় চলে আসে এবং লালবাগ থানার শহীদনগর এলাকায় বসবাস শুরু করে। মনিরের পিতা জীবিকা নির্বাহের জন্য ফলের ব্যবসা শুরু করেন। মনির তাকে সহযোগিতা করতো। একসময় মনির এলাকার বখাটে ছেলেদের সঙ্গে চুরি, ছিনতাই ইত্যাদি অপরাধের মাধ্যমে তার অপরাধ জগতে হাতেখড়ি হয়। ধীরে ধীরে সে এলাকার বখাটেদের নিয়ে লালবাগ, কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানা এলাকায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। এই চক্রটি ব্যবহার করে সে মাদক ব্যবসা শুরু করে।

 

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ২০১২ সাল থেকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সে ও তার এক বন্ধু পার্টনারশিপে মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়। প্রথমে স্থানীয় মাদক ডিলারদের কাছ থেকে অল্প অল্প করে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে খুচরা মাদকসেবীদের কাছে বিক্রয় করতো। ২০১৬ সালে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার মাদক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। এরপর টেকনাফ ও কক্সবাজার থেকে তার নিকট নিয়মিত মাদকদ্রব্য ইয়াবা সরবরাহ করা হতো। মাঝে মধ্যে সে ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঢাকা থেকে কক্সবাজার গমন করে মাদকের চালান নিয়ে আসতো। মূলত তারা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ লেনদেন করতো। শতকরা ২০ শতাংশ হারে অ্যাডভান্স পেমেন্টের মাধ্যমে ইয়াবা ঢাকায় চলে আসতো। মাদকের ডেলিভারি ও লেনদেন মনিরের ভাড়া বাসায় বা সুবিধামত স্থানে সম্পন্ন হতো। মনির ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় ভাড়াটিয়া ছদ্মবেশে মাদকের গোপন কারবার করতো।

 

মনির আরও জানায়, তার প্রতিমাসে কয়েকটি চালান টেকনাফ, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসতো। সে মিরপুর-১৩, ইসলামবাগ, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ, কেরানীগঞ্জ, কামরাঙ্গীরচর, আজিমপুরসহ আরও কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ীদের মাদক সরবরাহ করতো। প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতার জন্য ভিন্ন ভিন্ন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। কৌশলগত কারণে খুচরা বিক্রেতাদের অপরিচিত রাখা হতো। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে হাতিরপুল এলাকার তার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া করা বাসা থেকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়। সে এক একটি এলাকায় এক-দুই বছরের বেশি অবস্থান করতো না। মনির নিজ বাড়িতে কোটি টাকার স্থাপনা নির্মাণ করেছে। সে তার বাবার কৃতী সন্তান তা সবাইকে জানানোর জন্য মাদক ব্যবসার অবৈধ টাকা দিয়ে তার বাবার কবরে একটি মাজার নির্মাণ করেছে। মনির ২০১৮ সাল হতে অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। ২০১৮ সালে অবৈধ পিস্তলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং ৭ মাস কারা অভ্যন্তরীণ ছিল। ২০২০ সালে অস্ত্র ও মাদক মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়। এ সময় সে ১ বছর কারাবরণ করেছে। তার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩টি অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা। সূএ:মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com