ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম : ভগ্ন হৃদয়ের কথা

ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম। শুনলেই মনে হয় কোনো গল্পের তুলে দেওয়া শব্দ গুচ্ছ। আর ফেব্রুয়ারি হলে তো কথাই নেই। সঙ্গে নিউ জেনারেশনের ট্রেন্ড হলো ব্রেক আপ! কথায় কথায় ব্রেক আপ! হৃদয় ভাঙা। বিচ্ছেদের গল্প। না, এটা সেই রোমান্স ব্রেক আপ নয়, এটা হৃদয় ভাঙার গল্প নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমকে বলে stress-induced cardiomyopathy। এটির আরেকটি নাম আছে – takotsubo cardiomyopathy। কার্ডিওমায়োপ্যাথি মানে হলো হার্টের মাংসপেশির কোনো সমস্যা। অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে হার্টের মাসলে সমস্যা হলে হার্ট ঠিকমতো কাজ করে না সাময়িক! আর তাতে যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তাকে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম বলে।

 

মজার বিষয় হলো – সমস্যাটি হৃদয়ঘটিত আঘাত থেকেই বেশি হয়। প্রেমের উত্তেজনা থেকে প্রত্যাখ্যান, ভালোবাসার মানুষটি চলে যাওয়া থেকে মরে যাওয়া, এমনসব কিছু থেকেই সত্যিকারের হৃদয় ভেঙে যায়।

 

takotsubo cardiomyopathy, এই অদ্ভুত নামটি কেন হলো!
১৯৯০ সালে এটি প্রথম জাপানে আবিষ্কৃত হয়। জাপানি এক কার্ডিওলজিস্ট প্রথম এটির উল্লেখ করেন। জাপানিরা অক্টোপাস ধরতে এক ধরনের ট্র্যাপ ব্যবহার করে। নাম : ako-tsubo। টাকো সুবো দেখতে বেলুনের মতো। ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম হলে হার্টের লেফট ভেন্ট্রিকল বা বাম প্রকোষ্ঠ বেলুনের মতো লম্বা হয়ে যায় দেখতে। তাই নাম দেওয়া হয়েছিল : akotsubo cardiomyopathy বা TTC।

 

সত্তরের দশকে কার্ডিওলজিস্ট iv এটি নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন এভাবে যে – তারা দেখলেন কারও অনেক দিনের জীবনসঙ্গী মারা গেলে অন্য পার্টনারটিও এক থেকে দুই বছরের মধ্যে হার্টের কোনো সমস্যায় মারা যায়। পরবর্তীতে আশির দশকে স্ট্রেস এবং হরমোন কীভাবে হার্টকে দুর্বল করে, এসব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের সন্ধান পান। শুরুতে গত শতকে reversible LV dzsfunction precipitated by acute emotional stress নাম দিয়ে প্রকাশ করলেও একুশ শতকে এসে transient LV apical ballooning নামে ডাকতো। কালক্রমে একে কেউ apical ballooning বা Broken Heart Syndrome বলা শুরু করেন।

 

হৃদয় যেমন জোড়া লাগে, তেমনি হৃদয় ভাঙে। কোনো কিছু স্থায়ী নয়, কিন্তু মন তাতে মানে না সহজে। ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম আরেকটি মেজর কার্ডিয়াক প্রবলেম – হার্ট অ্যাট্যাকের মতোই লক্ষণ, উপসর্গ, এমনকি হার্টের ইকোকার্ডিওগ্রাফি থেকে ইসিজি।

 

ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম হলো হার্টের লেফট ভেন্ট্রিকলের পেশিগুলো কোনো কারণে সাময়িক দুর্বল হয়ে গেলে যে সমস্যার মুখোমুখি হয় শরীর। অন্যদিকে হার্ট অ্যাট্যাক হলো হার্টের রক্তনালিতে হঠাৎ রক্ত চলাচল আংশিক কিংবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে হার্ট বিকল হয়ে যাওয়া। ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে হার্টের বাম প্রকোষ্ঠ ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয়, কম করে, কিন্তু হার্টের অন্য অংশগুলো ঠিক থাকে। হার্ট অ্যাটাক হলে হার্টজুড়ে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। একটি হলো পেশির সমস্যা, আরেকটি রক্তনালির সমস্যা।

 

পেনিক অ্যাটাক আর ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের লক্ষণ উপসর্গগুলো একই। বুক ধড়ফড় থেকে বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘামঝরা থেকে হঠাৎ শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট, টান টান বুকের চাপ থেকে ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া, অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন থেকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে এমন সিমটমগুলো দেখা দিতে পারে। এটি কেন হয়, কীভাবে হয়, তার কারণ এবং প্রক্রিয়া স্পষ্ট না হলেও কিছু মুহূর্ত, ঘটনা, পরিস্থিতি, স্মৃতি ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের জন্য দায়ী। কারও মৃত্যু সংবাদ, রিলেশনশিপ  ব্রেক আপ, অতিরিক্ত ভয়, হঠাৎ কোনো উত্তেজনা, ক্রমাগত টেনশন, হঠাৎ শারীরিক কোনো অসুস্থতা, এমন সব পরিস্থিতিতে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কীভাবে হার্ট আগে থেকে কোনো অসুস্থতা ছাড়াই এমন আচরণ করে, সেটি জানতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে হঠাৎ এমন উত্তেজনায় শরীরের কিছু হরমোন বেড়ে যায়। বিশেষ করে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল এদের প্রধান। কর্টিসোল ছাড়া অতিরিক্ত স্ট্রেস মুহূর্তে নোরেপিনেফরিন, এপিনেফরিন, ডোপামিন জাতীয় হরমোনগুলোর পরিবর্তন হয়। হরমোনের এ পরিবর্তন হার্টের মাসলের ওপর হঠাৎ জেঁকে বসে। এদের মধ্যে হার্টের বাম প্রকোষ্ঠের মাসলে প্রভাব ফেললে পুরো হার্টের রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। হার্টের বাম প্রকোষ্ঠ সারা দেহে রক্ত পাম্পে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। অনেক সুখের পরিস্থিতিও এমন ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে পরিণত হতে পারে। পরীক্ষার রেজাল্ট, আশাতীত ভালো করা, লটারি জেতা। অনেক ড্রাগ ব্যবহারকারীদের মাঝে এটি দেখা যায় তাড়াতাড়ি। হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায় যেসব পরীক্ষা করা হয়, ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমেও একই পরীক্ষ।

লেখক: চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

» নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পেলে নির্মাণ কাজ বন্ধ : তাপস

» বাংলাদেশ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করল জিম্বাবুয়ে

» চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের সড়ক অবরোধ

» ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় ভারত

» থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

» ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

» রাবির ভর্তির বিভাগ পছন্দক্রম ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা

» শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

» মন্ত্রী-এমপির স্বজন যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি, সময়মতো ব্যবস্থা: কাদের

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম : ভগ্ন হৃদয়ের কথা

ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম। শুনলেই মনে হয় কোনো গল্পের তুলে দেওয়া শব্দ গুচ্ছ। আর ফেব্রুয়ারি হলে তো কথাই নেই। সঙ্গে নিউ জেনারেশনের ট্রেন্ড হলো ব্রেক আপ! কথায় কথায় ব্রেক আপ! হৃদয় ভাঙা। বিচ্ছেদের গল্প। না, এটা সেই রোমান্স ব্রেক আপ নয়, এটা হৃদয় ভাঙার গল্প নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমকে বলে stress-induced cardiomyopathy। এটির আরেকটি নাম আছে – takotsubo cardiomyopathy। কার্ডিওমায়োপ্যাথি মানে হলো হার্টের মাংসপেশির কোনো সমস্যা। অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে হার্টের মাসলে সমস্যা হলে হার্ট ঠিকমতো কাজ করে না সাময়িক! আর তাতে যে সমস্যাটি দেখা দেয়, তাকে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম বলে।

 

মজার বিষয় হলো – সমস্যাটি হৃদয়ঘটিত আঘাত থেকেই বেশি হয়। প্রেমের উত্তেজনা থেকে প্রত্যাখ্যান, ভালোবাসার মানুষটি চলে যাওয়া থেকে মরে যাওয়া, এমনসব কিছু থেকেই সত্যিকারের হৃদয় ভেঙে যায়।

 

takotsubo cardiomyopathy, এই অদ্ভুত নামটি কেন হলো!
১৯৯০ সালে এটি প্রথম জাপানে আবিষ্কৃত হয়। জাপানি এক কার্ডিওলজিস্ট প্রথম এটির উল্লেখ করেন। জাপানিরা অক্টোপাস ধরতে এক ধরনের ট্র্যাপ ব্যবহার করে। নাম : ako-tsubo। টাকো সুবো দেখতে বেলুনের মতো। ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম হলে হার্টের লেফট ভেন্ট্রিকল বা বাম প্রকোষ্ঠ বেলুনের মতো লম্বা হয়ে যায় দেখতে। তাই নাম দেওয়া হয়েছিল : akotsubo cardiomyopathy বা TTC।

 

সত্তরের দশকে কার্ডিওলজিস্ট iv এটি নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন এভাবে যে – তারা দেখলেন কারও অনেক দিনের জীবনসঙ্গী মারা গেলে অন্য পার্টনারটিও এক থেকে দুই বছরের মধ্যে হার্টের কোনো সমস্যায় মারা যায়। পরবর্তীতে আশির দশকে স্ট্রেস এবং হরমোন কীভাবে হার্টকে দুর্বল করে, এসব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের সন্ধান পান। শুরুতে গত শতকে reversible LV dzsfunction precipitated by acute emotional stress নাম দিয়ে প্রকাশ করলেও একুশ শতকে এসে transient LV apical ballooning নামে ডাকতো। কালক্রমে একে কেউ apical ballooning বা Broken Heart Syndrome বলা শুরু করেন।

 

হৃদয় যেমন জোড়া লাগে, তেমনি হৃদয় ভাঙে। কোনো কিছু স্থায়ী নয়, কিন্তু মন তাতে মানে না সহজে। ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম আরেকটি মেজর কার্ডিয়াক প্রবলেম – হার্ট অ্যাট্যাকের মতোই লক্ষণ, উপসর্গ, এমনকি হার্টের ইকোকার্ডিওগ্রাফি থেকে ইসিজি।

 

ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম হলো হার্টের লেফট ভেন্ট্রিকলের পেশিগুলো কোনো কারণে সাময়িক দুর্বল হয়ে গেলে যে সমস্যার মুখোমুখি হয় শরীর। অন্যদিকে হার্ট অ্যাট্যাক হলো হার্টের রক্তনালিতে হঠাৎ রক্ত চলাচল আংশিক কিংবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে হার্ট বিকল হয়ে যাওয়া। ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে হার্টের বাম প্রকোষ্ঠ ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয়, কম করে, কিন্তু হার্টের অন্য অংশগুলো ঠিক থাকে। হার্ট অ্যাটাক হলে হার্টজুড়ে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। একটি হলো পেশির সমস্যা, আরেকটি রক্তনালির সমস্যা।

 

পেনিক অ্যাটাক আর ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের লক্ষণ উপসর্গগুলো একই। বুক ধড়ফড় থেকে বুকে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘামঝরা থেকে হঠাৎ শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট, টান টান বুকের চাপ থেকে ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া, অনিয়মিত হৃদ স্পন্দন থেকে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে এমন সিমটমগুলো দেখা দিতে পারে। এটি কেন হয়, কীভাবে হয়, তার কারণ এবং প্রক্রিয়া স্পষ্ট না হলেও কিছু মুহূর্ত, ঘটনা, পরিস্থিতি, স্মৃতি ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের জন্য দায়ী। কারও মৃত্যু সংবাদ, রিলেশনশিপ  ব্রেক আপ, অতিরিক্ত ভয়, হঠাৎ কোনো উত্তেজনা, ক্রমাগত টেনশন, হঠাৎ শারীরিক কোনো অসুস্থতা, এমন সব পরিস্থিতিতে ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কীভাবে হার্ট আগে থেকে কোনো অসুস্থতা ছাড়াই এমন আচরণ করে, সেটি জানতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে হঠাৎ এমন উত্তেজনায় শরীরের কিছু হরমোন বেড়ে যায়। বিশেষ করে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল এদের প্রধান। কর্টিসোল ছাড়া অতিরিক্ত স্ট্রেস মুহূর্তে নোরেপিনেফরিন, এপিনেফরিন, ডোপামিন জাতীয় হরমোনগুলোর পরিবর্তন হয়। হরমোনের এ পরিবর্তন হার্টের মাসলের ওপর হঠাৎ জেঁকে বসে। এদের মধ্যে হার্টের বাম প্রকোষ্ঠের মাসলে প্রভাব ফেললে পুরো হার্টের রক্ত সঞ্চালনে বাধা সৃষ্টি হয়। হার্টের বাম প্রকোষ্ঠ সারা দেহে রক্ত পাম্পে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। অনেক সুখের পরিস্থিতিও এমন ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমে পরিণত হতে পারে। পরীক্ষার রেজাল্ট, আশাতীত ভালো করা, লটারি জেতা। অনেক ড্রাগ ব্যবহারকারীদের মাঝে এটি দেখা যায় তাড়াতাড়ি। হার্ট অ্যাটাকের সমস্যায় যেসব পরীক্ষা করা হয়, ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোমেও একই পরীক্ষ।

লেখক: চিকিৎসক, ইংল্যান্ড। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com