ব্যয় বাড়ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের

সরকারের মেগা প্রকল্প লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’তে নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ ও ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্নভাবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এটি ২০২৪ সালের জুন মাসের       মধ্যে শেষ হওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ আছে বলে জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সিডিএ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন প্রকল্প এক্সপ্রেসওয়ের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ, টোল প্লাজা নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণ, বিভিন্ন পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, সাউন্ডপ্রুফ ব্যারিয়ার স্থাপন এবং বৈদ্যুতিক পোল স্থানান্তরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারণার চেয়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প ব্যয় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকল্পের শুরুতে বিষয়গুলো না রাখায় নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সিডিএকে। এর বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন করে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায়ও খরচ বাড়ছে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এরই মধ্যে ৬২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অবশ্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর নির্দেশনা রয়েছে।

 

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান  বলেন, বর্তমানে এই প্রকল্পের প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রকল্প ব্যয় না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। ডিজাইন পরিবর্তনসহ নতুন বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য খরচ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সময়ও। সব মিলে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়বে। তবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার আশপাশ আরও সুন্দর এবং সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী হিসেবে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কাঠগড় থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর থেকে নানা ধরনের বিপত্তির মুখে পড়ে। বন্দর এলাকায় প্রকল্পটি রাস্তার মাঝ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবর্তন করা হয় অ্যালাইনমেন্ট। এতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ বেড়ে যায়। সব মিলে বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। শুরুতেই ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোচালকসহ দুজন নিহত

» আবারও রেকর্ড গড়েছে স্বর্ণের দাম

» পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

» টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ডাবল সেঞ্চুরি

» ছেলের বন্ধুরা আমাকে ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

» কিছু আসনের লোভে জাতীয় স্বার্থের বাইরে গিয়ে কেউ পিআর চাইছে: সালাহউদ্দিন

» গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন

» বিশেষ অভিযানে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আরও ১১২৬ জন আসামি গ্রেফতার

» ফখরুল-আব্বাসসহ ৬৭ জনকে অব্যাহতি দিলো আদালত

» জামায়াতের আন্দোলন সরকারবিরোধী না : ব্যারিস্টার ফুয়াদ

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ব্যয় বাড়ছে চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের

সরকারের মেগা প্রকল্প লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন ‘এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’তে নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ ও ক্ষতিপূরণসহ বিভিন্নভাবে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত ব্যয় হবে। এটি ২০২৪ সালের জুন মাসের       মধ্যে শেষ হওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবে। এরই মধ্যে এ প্রকল্পের প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে অপেক্ষমাণ আছে বলে জানান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সিডিএ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্মাণাধীন প্রকল্প এক্সপ্রেসওয়ের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন, নতুন করে ভূমি অধিগ্রহণ, টোল প্লাজা নির্মাণ, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণ, বিভিন্ন পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, সাউন্ডপ্রুফ ব্যারিয়ার স্থাপন এবং বৈদ্যুতিক পোল স্থানান্তরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধারণার চেয়ে খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রকল্প ব্যয় ৩৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকল্পের শুরুতে বিষয়গুলো না রাখায় নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধির মুখোমুখি হতে হচ্ছে সিডিএকে। এর বাইরে বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন করে কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায়ও খরচ বাড়ছে। সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের কাজ এরই মধ্যে ৬২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। অবশ্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে বিভিন্ন খাতে খরচ কমানোর নির্দেশনা রয়েছে।

 

সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুর রহমান  বলেন, বর্তমানে এই প্রকল্পের প্রায় ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নতুন করে প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। কারণ প্রকল্প ব্যয় না বাড়িয়ে উপায় ছিল না। ডিজাইন পরিবর্তনসহ নতুন বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য খরচ বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সময়ও। সব মিলে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়বে। তবে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার আশপাশ আরও সুন্দর এবং সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী হিসেবে এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম শহরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কাঠগড় থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ শুরুর পর থেকে নানা ধরনের বিপত্তির মুখে পড়ে। বন্দর এলাকায় প্রকল্পটি রাস্তার মাঝ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে বন্দরের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবর্তন করা হয় অ্যালাইনমেন্ট। এতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ বেড়ে যায়। সব মিলে বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৫৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। শুরুতেই ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com