বিয়ে শেষে বর-কনের গায়ে থুতু ছিটানোই যাদের রীতি

হাজারটা রীতি মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। আমাদের দেশে তো বটেই সামাজিক এই উৎসব নিয়ে পুরো বিশ্বেই আছে নানান সংস্কৃতি। হলুদ, মেহেদি, বিয়ে, বৌভাত কত আয়োজন এক বিয়েকে কেন্দ্র করে। আত্মীয়-স্বজনে বাড়ি গমগম করে বাঙালি বিয়েতে।

বিয়ে সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শুধু বর কনেই নয় দুটি পরিবারের মিল বন্ধনের মাধ্যম বিয়ে। তবে এই দিনটিকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে নানান রীতিনীতি, যা নতুন দম্পতির জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি কোথাও নেই।

এমনই কয়েকটি দেশের বিয়ের বিচিত্র রীতি নিয়েই আজকের আয়োজন। গ্রীসে বর বিয়ের দিন সকালে হয়ে যান নাপিত। বাড়ির সব আত্মীয় এবং বন্ধুদের শেভ করে দিতে হয় তাকে। গ্রীকরা বিশ্বাস করেন এই কাজ করা শুভ। বরের সবার শেভ করানো হয়ে গেলে নিজে আবার দাড়ি শেভ করে নেয়। এরপর নিয়ম হচ্ছে নতুন শাশুড়ি বরকে মধু এবং বাদাম খাওয়াবেন।

এছাড়াও নানান রীতি পালন করেন গ্রিকরা। বিয়ের তারিখ নিয়েও রয়েছে তাদের বিশেষ সংস্কৃতি। বছরের যে কোনো দিন বা মাসে তারা বিয়ে করতে পারেন না। কেবল জানুয়ারি এবং জুনেই বিয়ে করেন এই দেশের মানুষ। এছাড়াও বর-কনের বাসর ঘরের বিছানা সাজানোরও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। তারা মনে করেন বিছানা সাজানোর নিয়মের উপর নির্ভর করে নবদম্পতির প্রথম সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে।

তবে সবচেয়ে মজার রীতি হচ্ছে, গ্রিকরা বিয়ে শেষে বর-কনের শরীরে থুতু ফেলেন। এটিকে তারা সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে। যদিও এখন থুতু ছেটান না তারা, মুখ থেকে থুতু দেওয়ার মতো ভঙ্গি করেন মাত্র। তবে এই রীতি শুধু গ্রিকরাই নন পালন করেন আরও অনেক জাতি। যেমন- কেনিয়ার এক উপজাতি বিয়ের দিন কনের গায়ে থুতু ছেটান। তবে এই কাজটি করেন মেয়ের বাবা। তিনি মেয়ের মাথায় এবং স্তনে থুতু ছিটিয়ে আশির্বাদ করেন।

আরও একটি জিনিসকে গ্রিকরা সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করেন, সেটি হচ্ছে চিনির তৈরি বল। বিয়ের দিন বরের পকেটে থাকে চিনির বল। বিয়ের পর বর-কনে একটি কাপ থেকে ওয়াইন পান করেন। মনে করা হয় এতে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

গ্রিকরা বিয়েতে বিজোড় সংখ্যক অতিথিকে দাওয়াত করেন। সেই সঙ্গে বিজোড় সংখ্যক পরচারিকাও রাখেন ঘরে। তারা জোড় সংখ্যাকে মনে কনে করেন বর-কনের দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে। এজন্য বিয়ের আয়োজনের সব কিছুই থাকে বিজোড় সংখ্যায়। পুরো বিয়ের ভেন্যু সাজানো হয় মোমবাতি দিয়ে। কারণ আগুনকে গ্রিকরা সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে করেন।    সূত্র: ওয়েডা ওয়েস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» এমপি-মন্ত্রীর স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা রাজনৈতিক : ইসি আলমগীর

» রেললাইনে মোবাইলফোনে কথার সময় ট্রেনের ধাক্কায় রেল কর্মচারীর মৃত্যু

» ১৭ বছর বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি, এখন তিনি কয়েকশো কোটি টাকার মালিক

» তীব্র গরমে উচ্চ আদালতে আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না

» নিবন্ধন ও আবেদনের বাইরে থাকা পোর্টালগুলো বন্ধ করা হবে : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

» জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে যেতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান আইজিপির

» ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে মুখে কুলুপ বাইডেন প্রশাসনের

» দেশীয় অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী গ্রেফতার

» দুইটি অভিযানে ১৮ কেজি গাঁজাসহ দুইজন গ্রেফতার

» তাপপ্রবাহের কারণে স্কুল-কলেজে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিয়ে শেষে বর-কনের গায়ে থুতু ছিটানোই যাদের রীতি

হাজারটা রীতি মেনেই বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়। আমাদের দেশে তো বটেই সামাজিক এই উৎসব নিয়ে পুরো বিশ্বেই আছে নানান সংস্কৃতি। হলুদ, মেহেদি, বিয়ে, বৌভাত কত আয়োজন এক বিয়েকে কেন্দ্র করে। আত্মীয়-স্বজনে বাড়ি গমগম করে বাঙালি বিয়েতে।

বিয়ে সবার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। শুধু বর কনেই নয় দুটি পরিবারের মিল বন্ধনের মাধ্যম বিয়ে। তবে এই দিনটিকে নিয়ে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে নানান রীতিনীতি, যা নতুন দম্পতির জন্য সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলেই মনে করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি কোথাও নেই।

এমনই কয়েকটি দেশের বিয়ের বিচিত্র রীতি নিয়েই আজকের আয়োজন। গ্রীসে বর বিয়ের দিন সকালে হয়ে যান নাপিত। বাড়ির সব আত্মীয় এবং বন্ধুদের শেভ করে দিতে হয় তাকে। গ্রীকরা বিশ্বাস করেন এই কাজ করা শুভ। বরের সবার শেভ করানো হয়ে গেলে নিজে আবার দাড়ি শেভ করে নেয়। এরপর নিয়ম হচ্ছে নতুন শাশুড়ি বরকে মধু এবং বাদাম খাওয়াবেন।

এছাড়াও নানান রীতি পালন করেন গ্রিকরা। বিয়ের তারিখ নিয়েও রয়েছে তাদের বিশেষ সংস্কৃতি। বছরের যে কোনো দিন বা মাসে তারা বিয়ে করতে পারেন না। কেবল জানুয়ারি এবং জুনেই বিয়ে করেন এই দেশের মানুষ। এছাড়াও বর-কনের বাসর ঘরের বিছানা সাজানোরও রয়েছে বিশেষ নিয়ম। তারা মনে করেন বিছানা সাজানোর নিয়মের উপর নির্ভর করে নবদম্পতির প্রথম সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে হবে।

তবে সবচেয়ে মজার রীতি হচ্ছে, গ্রিকরা বিয়ে শেষে বর-কনের শরীরে থুতু ফেলেন। এটিকে তারা সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করে। যদিও এখন থুতু ছেটান না তারা, মুখ থেকে থুতু দেওয়ার মতো ভঙ্গি করেন মাত্র। তবে এই রীতি শুধু গ্রিকরাই নন পালন করেন আরও অনেক জাতি। যেমন- কেনিয়ার এক উপজাতি বিয়ের দিন কনের গায়ে থুতু ছেটান। তবে এই কাজটি করেন মেয়ের বাবা। তিনি মেয়ের মাথায় এবং স্তনে থুতু ছিটিয়ে আশির্বাদ করেন।

আরও একটি জিনিসকে গ্রিকরা সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করেন, সেটি হচ্ছে চিনির তৈরি বল। বিয়ের দিন বরের পকেটে থাকে চিনির বল। বিয়ের পর বর-কনে একটি কাপ থেকে ওয়াইন পান করেন। মনে করা হয় এতে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

গ্রিকরা বিয়েতে বিজোড় সংখ্যক অতিথিকে দাওয়াত করেন। সেই সঙ্গে বিজোড় সংখ্যক পরচারিকাও রাখেন ঘরে। তারা জোড় সংখ্যাকে মনে কনে করেন বর-কনের দুর্ভাগ্য বয়ে আনবে। এজন্য বিয়ের আয়োজনের সব কিছুই থাকে বিজোড় সংখ্যায়। পুরো বিয়ের ভেন্যু সাজানো হয় মোমবাতি দিয়ে। কারণ আগুনকে গ্রিকরা সৌভাগ্যের প্রতীক বলেই মনে করেন।    সূত্র: ওয়েডা ওয়েস

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com