বিমানবন্দরে যা বললেন সাকিব আল হাসান

বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে রোববার (৬ মার্চ) রাতে দুবাইয়ে উড়াল দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কথা বলেছেন আফগানিস্তান সিরিজ এবং সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে। 

 

বক্তব্যে সাকিব সাফ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক ও মানসিক কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কথা চিন্তা করতে পারছেন না তিনি। এজন্য তার বিরতি প্রয়োজন। কতদিনের বিরতি তাও নিশ্চিত করেননি। কীভাবে বিরতি চান সেটাও তার অজানা। প্রায় বারো মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব আরো অনেক কিছু নিয়েই কথা বলেছেন। হুবহু তা দেওয়া হল:

ভাই কেমন আছেন?

 

সাকিব: ভালো।

কোথায় যাচ্ছেন সাকিব?

 

সাকিব: দুবাই।

দুবাই কেন? দল যাবে ১২ তারিখ। আপনি আগে কেন?

সাকিব: তো কী হয়েছে…এটা কি কোনো প্রশ্ন? (হাসি)

 

আসলে কী কাহিনী? দলের সঙ্গে যেতে পারতেন!

সাকিব: আমি আসব তো। দেশে ফিরে আবার দলের সঙ্গে যাব।

 

শুটিং আছে নাকি শাহরুখ খানের সঙ্গে?

সাকিব: ওরকমই একটা। দেখতে পারবেন….

 

দুবাইয়ে বিশ্বকাপ খেলার সময় রাজপরিবারের একজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আপনাকে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চাচ্ছে…

সাকিব: আমি তো ভাবছিলাম আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে কথা হবে… (হাসি)। আসলে দেখা তো হয়। আলাপ আলোচনাও হয়। সামনেরটা আসলে সামনেই দেখা যাবে। যদি হয় কিছু সামনে জানা যাবে।

আফগানিস্তান সিরিজ আসলে কেমন কাটল? নিজের মূল্যায়ন যদি করেন…

সাকিব: স্বাভাবিকভাবে আমার ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে অবশ্যই হতাশাজনক। আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, বিসিবি যেভাবে প্রত্যাশা করে অবশ্যই ওভাবে করতে পারেনি। এজন্য অবশ্যই আমি হতাশ।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে যেটা বলতে হয়…মানসিক ও শারীরিক যে অবস্থায় আছি আমার কাছে মনে হয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব খুব একটা। এই কারণে আমার মনে হয়, যদি আমি একটা বিরতি পাই, আমি যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই তাহলে আমার খেলাটা সহজ হবে। কারণ আফগানিস্তান সিরিজে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি একজন যাত্রী যেটা হয়ে আমি কখনোই থাকতে চাই না। আমি খেলাটা একদমই উপভোগ করতে পারিনি। পুরো সিরিজটাই, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু হয়নি। আমার মনে হয় না এরকম মন মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ খেলাটা ঠিক হবে। আমি এই কথা জালাল ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। জালাল ভাই বলেছেন, দুদিন উনিও চিন্তা করবেন।

 

আমাকে চিন্তা করার সময় দিয়েছে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বা উচিত বলে আমি মনে করি। যেটা বললাম, এখন পর্যন্ত যেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে এরকম যদি আমার মন মানসিকতা থাকে, ফিজিক্যাল কন্ডিশন থাকে, মেন্টাল কন্ডিশন থাকে এটা দলের জন্যই ক্ষতি হবে। যেটা আগেও বললাম আমি যেটা নিজে মনে করি… আমার নিজের প্রতি নিজের যে সম্মান, মানুষ যেটা প্রত্যাশা করে, যে ধরনের পারফরম্যান্স সেটা যদি আমি করতে না পারি সেখানে আসলে যাত্রী হয়ে থাকাটা খুবই দুঃখজনক হবে। সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই একটা ব্যাপার হবে বলে মনে করি।

তাহলে কি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে চাচ্ছেন না?

সাকিব: এটা আসলে সিদ্ধান্তের ব্যাপার। পাপন ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান) সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পুরো সিরিজটাই খেলতে যাব। এজন্যই আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আমার মেন্টাল ও ফিজিক্যাল কন্ডিশন যেভাবে দেখছি বা আমার কিছু সময় দরকার বলে মনে করি। সেটা এমন হতে পারে ওয়ানডে সিরিজটা বিরতি নিয়ে যদি টেস্ট সিরিজটা খেলতে পারি তাহলে ভালো মানসিক ও শারীরিক কন্ডিশনে থাকতে পারব। এগুলো আসলে সবকিছুর আলোচনার ওপর নির্ভর করবে কী করলে ভালো হয়। আমার বর্তমান পরিস্থিতি এটা।

 

যদি এই পরিস্থিতিতে খেলতে যাই সতীর্থ ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো বিষয় হবে। যেই জিনিসটা অবশ্যই আমি চাই না। আমি চাই যে, যখন আমি খেলব, মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, দল আমাকে যেভাবে চিন্তা করে সেভাবে যেন পারফর্ম করতে পারি সেই অবস্থায় গিয়ে। হ্যাঁ কোনো গ্যারান্টি নেই যে যখন খেলতে নামব তখন পারফর্ম করতে পারব ভালো পরিস্থিতিতে থাকলেও। অন্তত আমি জানতে পারব যে আমি আমার সেরা সময়ে আছি দেশের হয়ে পারফর্ম করতে। কিন্তু আমি যদি জানিই যে, আমার কোনো সম্ভাবনা নেই সেখানে সময় নষ্ট করা, অন্য একটা জায়গা নষ্ট করা এবং দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে গাদ্দারি করার মতো বিষয় বলে মনে করি।

 

আসলে কি টানা খেলার কারণে এটা হচ্ছে?

সাকিব: টানা খেলাটা বলব না… বর্তমানে আমার ক্যারিয়ার যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে আমার লম্বা একটা পরিকল্পনা দরকার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টও খেলতে চান না…

সাকিব: এটা নিয়ে আরেকটা বিষয় আছে… মিডিয়া থেকেই জেনেছি, বোর্ডে আমি যে চিঠিটা দিয়েছি ছয় মাসের জন্য… এটা কখনোই ছয় মাসের ছিল না। এটা এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মাঝ নভেম্বর পর্যন্ত। আমি এই সময়ে কোনো টেস্ট খেলব না। আমি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোযোগ দেব। কারণ পরপর দুইটা বিশ্বকাপ আছে। ওই জায়গায় আমি মনোযোগ দিতে চাচ্ছিলাম। আমার কাছে বিশ্বাস ছিল এই দুইটা বিশ্বকাপে বড় কিছু করা সম্ভব। এই কারণে পুরোটা মনোযোগ সেদিকে দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এটার মানে এই না যে আমি টেস্ট ক্রিকেট একবারেই ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। যেহেতু টেস্ট ক্রিকেটে দলের একটা ভারসাম্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে এখন আমার কাছে মনে হয়েছে আমি যদি এই মুহূর্তে সাদা বলে মনোযোগ দেই সবকিছু চিন্তা করে আমার বয়স, ক্যারিয়ার, কিছু ফিজিক্যাল ফিটনেস নিয়ে তাহলে হয়তো বেটার করতে পারতাম।

 

একটা সমস্যা হচ্ছে আমি জানি না যে আমার সামনে কী আছে। সিরিজ বাই সিরিজ আমার জন্য পরিকল্পনা করা কঠিন। আমি যদি পুরো বছরের পরিকল্পনা জেনে যেতে পারতাম বা জেনে যেতে পারি আমার জন্য অবশ্যই সেটা ভালো হবে। আমি আমার মতো করে পরিকল্পনা করতে পারব। আমার নিজস্ব পরিকল্পনা, পারিবারিক পরিকল্পনা, অন্য যে কোনো কিছু আমার ব্যক্তিগত জীবনও কিংবা ক্রিকেট ক্যারিয়ার দুইটা দিক থেকেই ভালো হতো। এই বিষয়গুলো পরিষ্কার থাকাটা খুব জরুরি। আবারো বলছি ওইটা ছয় মাসের কখনোই ছিল না। যদি চিঠিটা আপনাদের কাছে আসে অবশ্যই দেখতে পারবেন। খুব সম্ভবত ২২ নভেম্বর বা বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত টেস্ট খেলব না এমন কিছু।

 

আপনি বললেন চিঠি দিয়েছেন… তারপরও যোগাযোগে ঘাটতি… ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হতে পারত। কথা হতে পারত…

সাকিব: কথা হয়েছে। নিয়মিতই কথা হয়েছে। কোনটা খেলব না খেলব। আসলে এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েই বেশি কথা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে এত বেশি কথা হয়নি। আমার জন্য গুরুত্বপূ্র্ণ যে, জানা জরুরি সামনের একমাস বা ছয় মাস কী করছি। সব সময় এরকম ক্যালেন্ডারই তো তৈরি হয়। সেটা জানতে পারলে আমার জন্য পরিকল্পনা করতে সহজ হতো।

দক্ষিণ আফ্রিকায় আপনি টেস্ট খেলতে যাবেন সেটা কি আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে?

সাকিব: এটা আসলে সিদ্ধান্তের ব্যাপার। পাপন ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পুরো সিরিজটাই খেলতে যাব। এজন্যই আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে… গতকাল সিরিজ শেষ হওয়ার পর অনেক চিন্তা করেছি… এর আগেও তো পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে সেটা অন্য বিষয়। আমি যখন ক্রিকেটটা উপভোগ করতে না পারি সেটা আমার জন্য দুঃখজনক। সেটা আমি কখনোই চাই না। এটা আমার সতীর্থদের ঠকানো। সেটা আমি কখনোই চাই না।

 

চিঠি দিয়েছেন বললেন… আনুষ্ঠানিক কোনো কথা কি হয়েছে?

সাকিব: আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু বলিনি যে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে না বা টেস্ট খেলব না। আপনাকে যেভাবে পরিস্থিতিটা বললাম সেটাই আমি নিজের অবস্থান আসলে জানিয়েছি জালাল ভাইকে (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান) । উনি বলেছেন, ‘তুমিও দুদিন চিন্তা করো।’ উনারাও করুক। তারপর হয়তো আলোচনা করে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

 

আপনি কি তাহলে ওয়ানডে খেলতে চাচ্ছেন না?

সাকিব: আমি আসলে যেটা বললাম, আমি খুব খোলা মনে আছি। এখন আমি ক্রিকেট খেলার পরিস্থিতিতে নেই। আমি ওই পরিস্থিতিতে যখন আসব তখন অবশ্যই চাইব ক্রিকেট খেলব। সবকিছুই নির্ভর করছে বিসিবি ও আমার দুই জায়গা থেকে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর পরিস্থিতি তৈরি করা, যেখানে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আমার জন্যও ভালো হবে।

একটু পরিষ্কার হওয়ার জন্য জানতে চাওয়া… আপনি বললেন যে প্রস্তুত হওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এটা তো দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। এটা কি শ্রীলঙ্কা সিরিজেও হতে পারে?

সাকিব: শ্রীলঙ্কা সিরিজ… আসলে আমার জন্য বলা কঠিন। আসলে দুই মাস পর কী চিন্তা হবে সেটা এখন বলাটা কঠিন। এমনও হতে পারে আমি ওয়ানডে সিরিজটা বিরতি দিয়ে টেস্ট সিরিজটাও খেলতে পারি। ১৫-২০ দিনের বিরতি আমার জন্য অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। দুই মাস পরেরটা আমার বলা কঠিন, যে আমি কোন মানসিকতায় থাকব বা ফিটনেসে কোন অবস্থায় থাকব। কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ যে বোর্ডকে জানানো আমি কোন অবস্থায় আছি।

 

বিপিএল নিয়ে নাজমুল হাসান বলেছেন, বিপিএল তিন নম্বরে…

সাকিব: আসল কথা হচ্ছে, এটা কি কোনো প্রশ্ন করার জিনিস? বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমি কি বলেছি তাকে জানাতে? একজনের মতামত থাকতেই পারে। এটা নিয়ে আবার পাপন ভাইকে জিজ্ঞেস করা… এটাই তো হাস্যকর মনে হয়।

আপনার মতো অনেকেই ফেস করছে, লম্বা সময় খেলা, বায়ো-বাবল থাকছে। এখন কি সবার সঙ্গে কথা বলা জরুরি কি না যে কে কোনটা খেলবে?

সাকিব: অনেকেরই হতে পারে। আমাদেরকে দিয়ে দিতো যে কার কোনো ফরম্যাটে খেলার ইচ্ছা আছে, ইচ্ছা নেই। যেমন আপনি দেখেন, মোস্তাফিজ বলেছে যে টেস্ট খেলবে না, বিরতিতে আছে যতদিন বায়োবাবল থাকছে। ওরটা ও আরো ভালো বলতে পারবে। এরকম যদি সবার কাছে অপশনটা দিয়ে দেওয়া যায়, সবার মতামত নেওয়া হয় কিংবা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার জন্য মনে হয় এটা সবার জন্য ভালো।

গতবার তো সবার জন্য করা হয়েছিল?

সাকিব: এবার আসলে হয়নি এখনো। ওই লেটার, ফর্মটা পাইনি যেখানে জানাব যে, আমি অ্যাভেইলেভল ফর টেস্ট, ওডিআই বা অন্যকিছু।

কবে নাগাদ আপনার সিদ্ধান্তটা আসতে পারে?

সাকিব: জালাল ভাই বলেছেন যে, ‘তুমি দুদিন চিন্তা করো।’ উনিও চিন্তা করবেন। উনিও হয়তো কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর হয়তো আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে হলে কি আবার ফিরে আসবেন?

সাকিব: যেতে হলে তো যেতে হবে। আমি সব কিছুর জন্য খোলা আছি। আমার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা সেরা পারফর্ম করা মতো অবস্থায় নেই। এই জিনিসিটা বোর্ডকে জানিয়েছে।

আপনি দেশের ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।এসব কর্থাবার্তা যখন হয়, আপনি কি ঠিক সম্মানটা পান?

সাকিব: যেটা হচ্ছে যে, আমি পরিষ্কার থাকতে চাই। অনেক সময় দেখা যায় আগাম ধারণার থেকে, ভুলভাবে কিছু তথ্য মানুষের কাছে যায়। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আমি পরিষ্কার থাকতে চাই, এজন্য পরিষ্কার করে গেলাম। সূএ:রাইজিংবিডি.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসলামপুরে কৃষকরা পেল উন্নত মানের বীজ

» ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টোডিয়াল সার্ভিস চুক্তি

» এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

» ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

» ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম বিধ্বস্ত

» প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল

» আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

» এক শহরের মধ্যে দুই দেশ

» ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে খেলে রোজা শুদ্ধ হবে?

» মশার কামড়ে গায়ে চাকা চাকা দাগ হলে কী করবেন?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

বিমানবন্দরে যা বললেন সাকিব আল হাসান

বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে রোববার (৬ মার্চ) রাতে দুবাইয়ে উড়াল দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কথা বলেছেন আফগানিস্তান সিরিজ এবং সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে। 

 

বক্তব্যে সাকিব সাফ জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শারীরিক ও মানসিক কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার কথা চিন্তা করতে পারছেন না তিনি। এজন্য তার বিরতি প্রয়োজন। কতদিনের বিরতি তাও নিশ্চিত করেননি। কীভাবে বিরতি চান সেটাও তার অজানা। প্রায় বারো মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব আরো অনেক কিছু নিয়েই কথা বলেছেন। হুবহু তা দেওয়া হল:

ভাই কেমন আছেন?

 

সাকিব: ভালো।

কোথায় যাচ্ছেন সাকিব?

 

সাকিব: দুবাই।

দুবাই কেন? দল যাবে ১২ তারিখ। আপনি আগে কেন?

সাকিব: তো কী হয়েছে…এটা কি কোনো প্রশ্ন? (হাসি)

 

আসলে কী কাহিনী? দলের সঙ্গে যেতে পারতেন!

সাকিব: আমি আসব তো। দেশে ফিরে আবার দলের সঙ্গে যাব।

 

শুটিং আছে নাকি শাহরুখ খানের সঙ্গে?

সাকিব: ওরকমই একটা। দেখতে পারবেন….

 

দুবাইয়ে বিশ্বকাপ খেলার সময় রাজপরিবারের একজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। আপনাকে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চাচ্ছে…

সাকিব: আমি তো ভাবছিলাম আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে কথা হবে… (হাসি)। আসলে দেখা তো হয়। আলাপ আলোচনাও হয়। সামনেরটা আসলে সামনেই দেখা যাবে। যদি হয় কিছু সামনে জানা যাবে।

আফগানিস্তান সিরিজ আসলে কেমন কাটল? নিজের মূল্যায়ন যদি করেন…

সাকিব: স্বাভাবিকভাবে আমার ব্যক্তিগত দিক থেকে চিন্তা করলে অবশ্যই হতাশাজনক। আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, বিসিবি যেভাবে প্রত্যাশা করে অবশ্যই ওভাবে করতে পারেনি। এজন্য অবশ্যই আমি হতাশ।

দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে যেটা বলতে হয়…মানসিক ও শারীরিক যে অবস্থায় আছি আমার কাছে মনে হয় না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা সম্ভব খুব একটা। এই কারণে আমার মনে হয়, যদি আমি একটা বিরতি পাই, আমি যদি ওই আগ্রহটা ফিরে পাই তাহলে আমার খেলাটা সহজ হবে। কারণ আফগানিস্তান সিরিজে আমার কাছে মনে হয়েছে আমি একজন যাত্রী যেটা হয়ে আমি কখনোই থাকতে চাই না। আমি খেলাটা একদমই উপভোগ করতে পারিনি। পুরো সিরিজটাই, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে। আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু হয়নি। আমার মনে হয় না এরকম মন মানসিকতা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ খেলাটা ঠিক হবে। আমি এই কথা জালাল ভাইয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। জালাল ভাই বলেছেন, দুদিন উনিও চিন্তা করবেন।

 

আমাকে চিন্তা করার সময় দিয়েছে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বা উচিত বলে আমি মনে করি। যেটা বললাম, এখন পর্যন্ত যেটা আমার কাছে মনে হচ্ছে এরকম যদি আমার মন মানসিকতা থাকে, ফিজিক্যাল কন্ডিশন থাকে, মেন্টাল কন্ডিশন থাকে এটা দলের জন্যই ক্ষতি হবে। যেটা আগেও বললাম আমি যেটা নিজে মনে করি… আমার নিজের প্রতি নিজের যে সম্মান, মানুষ যেটা প্রত্যাশা করে, যে ধরনের পারফরম্যান্স সেটা যদি আমি করতে না পারি সেখানে আসলে যাত্রী হয়ে থাকাটা খুবই দুঃখজনক হবে। সতীর্থদের সঙ্গে প্রতারণা করার মতোই একটা ব্যাপার হবে বলে মনে করি।

তাহলে কি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ খেলতে চাচ্ছেন না?

সাকিব: এটা আসলে সিদ্ধান্তের ব্যাপার। পাপন ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান) সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পুরো সিরিজটাই খেলতে যাব। এজন্যই আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আমার মেন্টাল ও ফিজিক্যাল কন্ডিশন যেভাবে দেখছি বা আমার কিছু সময় দরকার বলে মনে করি। সেটা এমন হতে পারে ওয়ানডে সিরিজটা বিরতি নিয়ে যদি টেস্ট সিরিজটা খেলতে পারি তাহলে ভালো মানসিক ও শারীরিক কন্ডিশনে থাকতে পারব। এগুলো আসলে সবকিছুর আলোচনার ওপর নির্ভর করবে কী করলে ভালো হয়। আমার বর্তমান পরিস্থিতি এটা।

 

যদি এই পরিস্থিতিতে খেলতে যাই সতীর্থ ও দেশের সঙ্গে প্রতারণা করার মতো বিষয় হবে। যেই জিনিসটা অবশ্যই আমি চাই না। আমি চাই যে, যখন আমি খেলব, মানুষ যেভাবে প্রত্যাশা করে, আমার নিজের প্রতি নিজের যে প্রত্যাশা, দল আমাকে যেভাবে চিন্তা করে সেভাবে যেন পারফর্ম করতে পারি সেই অবস্থায় গিয়ে। হ্যাঁ কোনো গ্যারান্টি নেই যে যখন খেলতে নামব তখন পারফর্ম করতে পারব ভালো পরিস্থিতিতে থাকলেও। অন্তত আমি জানতে পারব যে আমি আমার সেরা সময়ে আছি দেশের হয়ে পারফর্ম করতে। কিন্তু আমি যদি জানিই যে, আমার কোনো সম্ভাবনা নেই সেখানে সময় নষ্ট করা, অন্য একটা জায়গা নষ্ট করা এবং দেশের ক্রিকেটের সঙ্গে গাদ্দারি করার মতো বিষয় বলে মনে করি।

 

আসলে কি টানা খেলার কারণে এটা হচ্ছে?

সাকিব: টানা খেলাটা বলব না… বর্তমানে আমার ক্যারিয়ার যেখানে দাঁড়িয়ে সেখানে আমার লম্বা একটা পরিকল্পনা দরকার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টও খেলতে চান না…

সাকিব: এটা নিয়ে আরেকটা বিষয় আছে… মিডিয়া থেকেই জেনেছি, বোর্ডে আমি যে চিঠিটা দিয়েছি ছয় মাসের জন্য… এটা কখনোই ছয় মাসের ছিল না। এটা এই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। মাঝ নভেম্বর পর্যন্ত। আমি এই সময়ে কোনো টেস্ট খেলব না। আমি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোযোগ দেব। কারণ পরপর দুইটা বিশ্বকাপ আছে। ওই জায়গায় আমি মনোযোগ দিতে চাচ্ছিলাম। আমার কাছে বিশ্বাস ছিল এই দুইটা বিশ্বকাপে বড় কিছু করা সম্ভব। এই কারণে পুরোটা মনোযোগ সেদিকে দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এটার মানে এই না যে আমি টেস্ট ক্রিকেট একবারেই ছেড়ে দিতে চাচ্ছিলাম। যেহেতু টেস্ট ক্রিকেটে দলের একটা ভারসাম্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে এখন আমার কাছে মনে হয়েছে আমি যদি এই মুহূর্তে সাদা বলে মনোযোগ দেই সবকিছু চিন্তা করে আমার বয়স, ক্যারিয়ার, কিছু ফিজিক্যাল ফিটনেস নিয়ে তাহলে হয়তো বেটার করতে পারতাম।

 

একটা সমস্যা হচ্ছে আমি জানি না যে আমার সামনে কী আছে। সিরিজ বাই সিরিজ আমার জন্য পরিকল্পনা করা কঠিন। আমি যদি পুরো বছরের পরিকল্পনা জেনে যেতে পারতাম বা জেনে যেতে পারি আমার জন্য অবশ্যই সেটা ভালো হবে। আমি আমার মতো করে পরিকল্পনা করতে পারব। আমার নিজস্ব পরিকল্পনা, পারিবারিক পরিকল্পনা, অন্য যে কোনো কিছু আমার ব্যক্তিগত জীবনও কিংবা ক্রিকেট ক্যারিয়ার দুইটা দিক থেকেই ভালো হতো। এই বিষয়গুলো পরিষ্কার থাকাটা খুব জরুরি। আবারো বলছি ওইটা ছয় মাসের কখনোই ছিল না। যদি চিঠিটা আপনাদের কাছে আসে অবশ্যই দেখতে পারবেন। খুব সম্ভবত ২২ নভেম্বর বা বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত টেস্ট খেলব না এমন কিছু।

 

আপনি বললেন চিঠি দিয়েছেন… তারপরও যোগাযোগে ঘাটতি… ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা হতে পারত। কথা হতে পারত…

সাকিব: কথা হয়েছে। নিয়মিতই কথা হয়েছে। কোনটা খেলব না খেলব। আসলে এই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েই বেশি কথা হয়েছে। বাকিগুলো নিয়ে এত বেশি কথা হয়নি। আমার জন্য গুরুত্বপূ্র্ণ যে, জানা জরুরি সামনের একমাস বা ছয় মাস কী করছি। সব সময় এরকম ক্যালেন্ডারই তো তৈরি হয়। সেটা জানতে পারলে আমার জন্য পরিকল্পনা করতে সহজ হতো।

দক্ষিণ আফ্রিকায় আপনি টেস্ট খেলতে যাবেন সেটা কি আপনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে?

সাকিব: এটা আসলে সিদ্ধান্তের ব্যাপার। পাপন ভাইয়ের (বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন) সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পুরো সিরিজটাই খেলতে যাব। এজন্যই আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে… গতকাল সিরিজ শেষ হওয়ার পর অনেক চিন্তা করেছি… এর আগেও তো পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে সেটা অন্য বিষয়। আমি যখন ক্রিকেটটা উপভোগ করতে না পারি সেটা আমার জন্য দুঃখজনক। সেটা আমি কখনোই চাই না। এটা আমার সতীর্থদের ঠকানো। সেটা আমি কখনোই চাই না।

 

চিঠি দিয়েছেন বললেন… আনুষ্ঠানিক কোনো কথা কি হয়েছে?

সাকিব: আমি চিঠি দিয়েছি কিন্তু বলিনি যে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে না বা টেস্ট খেলব না। আপনাকে যেভাবে পরিস্থিতিটা বললাম সেটাই আমি নিজের অবস্থান আসলে জানিয়েছি জালাল ভাইকে (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান) । উনি বলেছেন, ‘তুমিও দুদিন চিন্তা করো।’ উনারাও করুক। তারপর হয়তো আলোচনা করে কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে।

 

আপনি কি তাহলে ওয়ানডে খেলতে চাচ্ছেন না?

সাকিব: আমি আসলে যেটা বললাম, আমি খুব খোলা মনে আছি। এখন আমি ক্রিকেট খেলার পরিস্থিতিতে নেই। আমি ওই পরিস্থিতিতে যখন আসব তখন অবশ্যই চাইব ক্রিকেট খেলব। সবকিছুই নির্ভর করছে বিসিবি ও আমার দুই জায়গা থেকে আলোচনার মাধ্যমে সুন্দর পরিস্থিতি তৈরি করা, যেখানে গেলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে। আমার জন্যও ভালো হবে।

একটু পরিষ্কার হওয়ার জন্য জানতে চাওয়া… আপনি বললেন যে প্রস্তুত হওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। এটা তো দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। এটা কি শ্রীলঙ্কা সিরিজেও হতে পারে?

সাকিব: শ্রীলঙ্কা সিরিজ… আসলে আমার জন্য বলা কঠিন। আসলে দুই মাস পর কী চিন্তা হবে সেটা এখন বলাটা কঠিন। এমনও হতে পারে আমি ওয়ানডে সিরিজটা বিরতি দিয়ে টেস্ট সিরিজটাও খেলতে পারি। ১৫-২০ দিনের বিরতি আমার জন্য অনেক বড় পরিবর্তন আনতে পারে। দুই মাস পরেরটা আমার বলা কঠিন, যে আমি কোন মানসিকতায় থাকব বা ফিটনেসে কোন অবস্থায় থাকব। কিন্তু এটা গুরুত্বপূর্ণ যে বোর্ডকে জানানো আমি কোন অবস্থায় আছি।

 

বিপিএল নিয়ে নাজমুল হাসান বলেছেন, বিপিএল তিন নম্বরে…

সাকিব: আসল কথা হচ্ছে, এটা কি কোনো প্রশ্ন করার জিনিস? বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমি কি বলেছি তাকে জানাতে? একজনের মতামত থাকতেই পারে। এটা নিয়ে আবার পাপন ভাইকে জিজ্ঞেস করা… এটাই তো হাস্যকর মনে হয়।

আপনার মতো অনেকেই ফেস করছে, লম্বা সময় খেলা, বায়ো-বাবল থাকছে। এখন কি সবার সঙ্গে কথা বলা জরুরি কি না যে কে কোনটা খেলবে?

সাকিব: অনেকেরই হতে পারে। আমাদেরকে দিয়ে দিতো যে কার কোনো ফরম্যাটে খেলার ইচ্ছা আছে, ইচ্ছা নেই। যেমন আপনি দেখেন, মোস্তাফিজ বলেছে যে টেস্ট খেলবে না, বিরতিতে আছে যতদিন বায়োবাবল থাকছে। ওরটা ও আরো ভালো বলতে পারবে। এরকম যদি সবার কাছে অপশনটা দিয়ে দেওয়া যায়, সবার মতামত নেওয়া হয় কিংবা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আমার জন্য মনে হয় এটা সবার জন্য ভালো।

গতবার তো সবার জন্য করা হয়েছিল?

সাকিব: এবার আসলে হয়নি এখনো। ওই লেটার, ফর্মটা পাইনি যেখানে জানাব যে, আমি অ্যাভেইলেভল ফর টেস্ট, ওডিআই বা অন্যকিছু।

কবে নাগাদ আপনার সিদ্ধান্তটা আসতে পারে?

সাকিব: জালাল ভাই বলেছেন যে, ‘তুমি দুদিন চিন্তা করো।’ উনিও চিন্তা করবেন। উনিও হয়তো কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর হয়তো আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে হলে কি আবার ফিরে আসবেন?

সাকিব: যেতে হলে তো যেতে হবে। আমি সব কিছুর জন্য খোলা আছি। আমার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা সেরা পারফর্ম করা মতো অবস্থায় নেই। এই জিনিসিটা বোর্ডকে জানিয়েছে।

আপনি দেশের ক্রিকেটের বিজ্ঞাপন। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।এসব কর্থাবার্তা যখন হয়, আপনি কি ঠিক সম্মানটা পান?

সাকিব: যেটা হচ্ছে যে, আমি পরিষ্কার থাকতে চাই। অনেক সময় দেখা যায় আগাম ধারণার থেকে, ভুলভাবে কিছু তথ্য মানুষের কাছে যায়। এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। আমি পরিষ্কার থাকতে চাই, এজন্য পরিষ্কার করে গেলাম। সূএ:রাইজিংবিডি.কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com