বিপিএল-এর শেষ মুহূর্তে এসে গ্যালারিতে দর্শক ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমায় সরকারের পক্ষ থেকেও মিলেছে অনুমতি। তবে সাধারণ দর্শকের হাতে টিকিট পৌঁছবে, সেই নিশ্চয়তা নেই।
ঢালাওভাবে সমর্থকরা গ্যালারিতে বসার সুযোগ পাচ্ছেন না। প্রতিদিন তিন-চার হাজার দর্শক খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। তবে সেই টিকিট যাবে ফ্রাঞ্চাইজিদের হাত দিয়ে। আসরের এলিমিনেটর ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ মাঠে গড়াচ্ছে আগামীকাল। সন্দেহ নেই, টিকিট হবে সোনার হরিণ!
রোববার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমাদের বোর্ড সভাপতির আন্তরিক চেষ্টায় কিছু সংখ্যক দর্শককে মাঠে প্রবেশাধিকার দেয়ার অনুমতি পেয়েছি।
৩-৪ হাজার দর্শক মাঠে খেলা দেখতে আসতে পারবেন। যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এজন্য সরাসরি টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের মাধ্যমে আমরা টিকিটগুলো দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেবো।’ টিটু বলেন, ‘টিকিটগুলো আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অকশনে দিব যার যার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাবে। তাদের সমর্থনে যেসব দর্শক আছে তাদের হয়তো সেভাবে তারা প্রোভাইড করবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আমাদের কাছ থেকে টিকিট কিনে নিচ্ছে আমরা সেভাবে ডিস্ট্রিবিউট করছি। আমরা যদি ওপেন সেল এ যাই তাহলে কোভিড প্রটোকল মেইনটেইন করা কষ্ট হবে।’
অর্থাৎ বিপিএলে দর্শক ফেরাতে টিকিট ছাড়লেও সেটি বিসিবি সরাসরি বিক্রয় করবে না। টুর্নেমেন্টে টিকে থাকা বাকি ৪ দলের সঙ্গে বাদ পড়া ২ দল আর বিসিবির স্টেক হোল্ডারদের খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে ৩-৪ হাজার টিকিট ছাড়বে বোর্ড। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা টিকিটগুলো কোথায় বিক্রি করবে বা কাদের হাতে উঠবে এই টিকিট, এ নিয়ে অবশ্য ভাবনা নেই বোর্ডের। সে হিসেবে সব সমর্থকদের কাছে টিকিট যে পৌঁছাবে না সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানা যায়, বিসিবি থেকে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সব মিলিয়ে ৩০০টি করে টিকিট দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এসব টিকিট দলগুলোর স্পন্সর আর ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন এমন দর্শকদের দিতেই শেষ হয়ে যাবে। বাইরে টিকিট বিক্রয়ের সুযোগ নেই।