মেজর আখতার (অব.):চামচামির সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইলাম না! আমরা যারা রাজনীতি করি বিশেষ করে দ্বিতীয় বা নিচের সারির তাদের চামচামি করা ছাড়া কোনো রাজনীতি নেই বলেই অনেকে বলে থাকেন! একসময় শোনা যেত কেউ মস্কো বা চীন পন্থি। বলা হতো মস্কোয় বরফ পড়লে ঢাকায় তারা ওভারকোট পরতেন! আবার পিকিং বা বেইজিংয়ে বৃষ্টি হলে অনেকে নাকি ঢাকায় মাথার ওপর ছাতা ধরতেন! এখন অনেকে ভারত বা পাকিস্তান পন্থি বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে! আবার কেউ শেখ হাসিনার লোক, কেউ খালেদা জিয়ার লোক বা ভাইয়ার লোক- যা অনেকের কাছে গর্বের পরিচয়! আমাদের সবার বলা-কওয়ার মধ্যে কোথায় যেন ব্যক্তিস্বার্থ বা কিছু পাওয়ার সুপ্ত বাসনা থেকে যায়! তাই আমরা নির্মোহভাবে কিছু বলা বা করার সাহস হারিয়ে ফেলছি! তবে সম্প্রতি ভারতের পদ্মভূষণ পদক নিতে পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ও বাংলা গানের কিংবদন্তি ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের অস্বীকৃতি অনেককেই মাথা তুলে কথা বলতে অনুপ্রাণিত করবে। এজন্যই চামচামির কথাটি আগেই বলে নিলাম।
আমার ব্যক্তিগত মতে, এযাবৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুধু সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি একজন চৌকস ও সব বিষয়ে পারদর্শী রাজনৈতিক খেলোয়াড়ও। তিনি একাই ১১ জনের বিপক্ষে খেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সঠিক সময়ে তিনি সঠিক বলটিও খেলতে পারেন এবং চালটিও দিতে পারেন। সবাই নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছে, আইন নেই বলে চারদিকে হইচই করে বেড়াচ্ছিল। সবার ভাবখানা যেন এ আইন করার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর নেই! এখন তিনি ১৫ দিনের মধ্যে আইন করে দিয়ে দিলেন! আবার সে আইন পাস করানোর সংসদীয় প্রক্রিয়ায় বোকাচণ্ডী বিএনপিকেও জড়িয়ে নিলেন! বিএনপির দুই সংসদ সদস্য দিয়ে সমালোচনাও করিয়ে নিলেন! বোকাচণ্ডী বলছি এজন্য যে সংসদে আনীত কোনো আইন প্রস্তাবকে বাধা দেওয়া, ওই আইন প্রস্তাবে আলোচনা করা, সংশোধন দেওয়া বা ছাঁটাই প্রস্তাব আনা বা বিপক্ষে ভোট দেওয়া সবই আইন পাসের সঙ্গে জড়িত থাকাকেই বোঝায়। যার অর্থ হলো সরকার এককভাবে আইনটি না করে সবার মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে স্বীকৃতি আদায় করে নিল। ফলে সরকার অত্যন্ত চমৎকারভাবে জাতির সামনে তুলে ধরতে পেরেছে যে আইনটি একতরফাভাবে পাস করিয়ে নেওয়া হয়নি। আইনটি বিএনপির মতামত নিয়েই পাস করানো হয়েছে এবং বিএনপির যুক্তিসংগত বা গ্রহণযোগ্য কোনো মতামত বা প্রস্তাব না থাকায় বিএনপির কোনো সংশোধন গ্রহণ করা হয়নি! তারপর আবার বিএনপিদলীয় দুই মাননীয় সদস্যের বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে জনমত তৈরির সুযোগও দেওয়া হয়েছে কিন্তু জনগণের ভিন্ন কোনো মত না থাকায় এ আইনের বিপক্ষে কোনো জোরালো মতও দেখা যায়নি! কাজেই নির্বাচন কমিশন আইনটি সব নিয়মকানুন মেনে অত্যন্ত বৈধতার মধ্য দিয়ে এবং বিএনপি ও জনগণের মতামত নিয়েই পাস করা হয়েছে যার বিরুদ্ধে আইনত কথা বলার আর কোনো অধিকার থাকল না। কোনো আদালতেও এ আইনটি নিয়ে কারও কথা বলার অধিকারও রইল না। প্রধানমন্ত্রী আঙুল তুলে সবাইকে দেখিয়ে দিলেন তিনিই পারেন। কীভাবে সবাইকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় তা তিনি উদাহরণসহ জাতিকে বুঝিয়ে দিলেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং অবশ্যই সর্বশ্রেষ্ঠ।
এদিকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনশন আন্দোলন করতে গিয়েছিল কিন্তু তিনি দেখিয়ে দিলেন অনশন আন্দোলনের কী পরিণতি হয়! ভিসি সাহেব বহাল তবিয়তেই রয়ে গেলেন আর আরেকজন সম্মানিত শিক্ষক রাতের আঁধারে সস্ত্রীক ঢাকা থেকে ছুটে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখ রক্ষা করলেন! হঠকারী আন্দোলন করে কোনো দিন সফলতা আসে না। ভিসি পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবে- এটি নিছক হঠকারিতা ছাড়া কিছুই ছিল না। সরকারের গোপন ইঙ্গিত না থাকলে এ ধরনের অনশন শতভাগ ব্যর্থ হবে। কারণ অনশনের একটি পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে পড়বে তখন পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। তা ছাড়া কোনো অভিভাবক পদত্যাগের মতো স্থূল দাবিতে তার সন্তানদের জীবন হুমকির মধ্যে পড়তে দেবেন না। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অনশন ও তা ভাঙার নাটকের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এও প্রমাণ করে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র আন্দোলন করেও এ সরকারের টিকিটি নাড়ানো যাবে না! অতএব আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না!
ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে চাঙা করার সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই চাঙাভাব কিছুটা বেগবান হতেই ‘ওমিক্রনের’ সুযোগ নিয়ে বিএনপিকে আবার ঘরের মধ্যে বিছানায়ই শুইয়ে দিলেন! বিএনপিও অনুগত সুবোধ বালকের মতো সুড়সুড় করে ঘরে ঢুকে গেল। ভাবখানা হলো, সময় কি চলে যাচ্ছে? ওমিক্রনের পর দেখা যাবে! অফিস খোলা, মেলা খোলা, বাজার খোলা, নির্বাচন খোলা, গ্রামগঞ্জে রাতভর ওয়াজ মাহফিল খোলা, সংসদ খোলা, হাটবাজার সব খোলা- শুধু খোলা নয় জাতিকে ধ্বংস করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অধিকারবঞ্চিত করার জন্য সভা-সমাবেশ। আজ আমাদের চরম দুর্ভাগ্য এ অনিয়ম-অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার কেউ নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারারুদ্ধ করে আমাদের সবাইকে নপুংসক বানিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সামনে চ্যালেঞ্জ নিয়ে দাঁড়ানোর মতো একজন যোগ্য নেতার তীব্র অভাব আজ জনগণ বোধ করছে। তবে আমাদের যোগ্য মহাসচিব যথার্থই বলেছেন, ‘এ অবৈধ সরকারকে আর কেউ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।’ সম্প্রতি বিএনপি স্থায়ী কমিটির একটি সভা শেষে সংবাদমাধ্যমে তিনি এ কথাটি বলেন যা জনমনে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে বলে অনেকেই বলাবলি করছেন। তবে তাঁর বক্তব্যে কিছুটা রহস্যের আভাস দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘আর কেউ’ যার সরল অর্থ হলো কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি এবং তাঁর সঙ্গে নির্দিষ্ট একটি মহল বা গোষ্ঠী বা দল ‘এ অবৈধ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না’। এখানে জনগণের কথা কিন্তু বলা হয়নি। তাই জনগণ মনে করে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। কারণ বৃহৎ জনগণ মনে করে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এ সরকারের পেছনে জনসমর্থন নেই। এজন্য বৃহৎ জনগণ এ সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এজন্য একটি ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে তুলে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। ‘আর কেউ’ না বলে সরাসরি জনগণের কথা বললে জনগণ বক্তব্যটিকে লুফে নিত হয়তো এবং জনগণ বিএনপির ডাকে তখন মাঠে নামতে অনেক বেশি উৎসাহিত হতে পারত। ফলে অত্যন্ত সংগত ও যৌক্তিক কারণেই সেই কাক্সিক্ষত গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে হতো বিএনপিকেই। জনগণের প্রত্যাশিত গণআন্দোলনে বিএনপিকেই সবার আগে মাঠে থাকতে হবে এবং মাঠে থেকে সম্মুখ সংগ্রামে নেতৃত্বও দিতে হবে বিএনপি নেতা বা নেতাদেরই।
ইতোমধ্যে সরকার রটনা করে দিচ্ছে, ‘করোনায় থমকে গেছে বিএনপির কর্মসূচির গতি। সভা-সমাবেশ বন্ধ, জোট ও আন্দোলন নিয়ে নতুন ভাবনা।’ অত্যন্ত সুপরিকল্পিত প্রচার-প্রচারণায় সরকার বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দিচ্ছে। তার ওপর বিএনপি স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, ‘এক দফার আন্দোলনে নামার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি’। আরও বলা হচ্ছে, ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এক দফার আন্দোলনে নামার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।’ আবার প্রচার করা হচ্ছে, ‘রাজপথ ছেড়ে ভার্চুয়াল সভা করবে বিএনপি’। আবার স্থায়ী কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য নাম না প্রকাশ করার শর্তে একটি জাতীয় দৈনিকে বলেন, ‘সরকার তড়িঘড়ি ইসি আইন পাস করায় এখন সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের লক্ষ্যে তারা অগ্রসর হবেন।’ বিএনপি এখন দুটি রাজনৈতিক জোটে রয়েছে। ২০-দলীয় ঐক্যজোট ও জাতীয় ঐক্যজোট- এ দুই জোটকে সঙ্গে রেখে কোন প্রক্রিয়ায় বৃহত্তর আরেকটি জোট হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির আরেক নেতা। এই নেতা বলেন, ‘সরকারবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই কথা বলতে চায় বিএনপি। সবাইকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বৃহত্তর জোট গঠন করাই লক্ষ্য। কাউকে বাদ দেওয়া হবে না। যে দল যে রাজনৈতিক জোটেই থাকুক না কেন, যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখবে এক দফার সরকারবিরোধী আন্দোলনে- এমন আলোচনা হয়েছে।’ পুরো বিষয়টি জনমনে তালগোল পাকিয়ে দিচ্ছে। জনমনে জিজ্ঞাস্য, তাহলে বিএনপি চাচ্ছেটা কী? সরকার পতন না সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য!
আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, এ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। স্পষ্ট ভাষণ। কোনো বিভ্রান্তি নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান স্ফটিকের মতো পরিষ্কার। এখন এ স্পষ্ট অবস্থানের সঙ্গে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সমর্থন বা সহমতে কী পরিবর্তন আসতে পারে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে জনমনে বিভ্রান্তি বা বিভ্রাট! যদি বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান সরকারের অধীনে না যায় তাহলে হয় নির্বাচন বয়কট করতে হবে অথবা সেই নির্বাচন প্রতিহত করতে হবে। বয়কটে কোনো ঝক্কি ঝামেলা নেই এবং কোনো প্রকার ঝুঁকিও নেই। সেই নির্বাচন সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মধ্যে ফেলতে পারে। যদিও সরকার তার ভাবমূর্তি নিয়ে খুব একটা ভাবে বলে মনে হয় না! তবে বিএনপিকে যদি আগামী সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করতে হয় তাহলে সবার আগে যে প্রশ্নটি উঠবে তা হলো সেই হেডম বা মুরোদ বিএনপির আছে কি না? জনগণ মনে করে চাইলে আগামী সংসদ নির্বাচন বিএনপি একাই প্রতিহত করতে পারে। সেই শক্তি, জনবল, জনসমর্থন সবই বিএনপির আছে। এর জন্য বিএনপিকে অন্য কাউকে সঙ্গে নিতে হবে না এবং কারও সঙ্গে আলোচনা করারও প্রয়োজন পড়বে না।
আজ চরম সত্য হলো, আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে দেশের জনগণের একাংশ পছন্দ করছে না। জনগণের মনে ওই অংশটির ধারণা, তিনি অতিমাত্রায় পুলিশ ও বেসামরিক প্রশাসনকে লাই দিচ্ছেন। উন্নয়নের নামে দেশের সম্পদ অপচয়ও হচ্ছে। বিএনপির প্রতি বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তৎপুত্র তারেক রহমানের প্রতি প্রতিশোধমূলক আচরণ করতে রাষ্ট্রকে প্ররোচিত করছেন। রাষ্ট্রের অধিকারের প্রাপ্যতায় চরম দলীয়করণ প্রাধান্য পাচ্ছে। অনেক নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে ফলে অনেক যোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেকে চাকরি, ব্যবসা, রাষ্ট্রীয় ও সরকারি সুযোগ-সুবিধার প্রাপ্যতায় বঞ্চনার শিকার হচ্ছে। জনগণের এসব ধারণার সঙ্গে হয়তো অনেকের দ্বিমত আছে এবং সেই সঙ্গে ধারণাগুলোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা হয়তো নেই। তার পরও এত পরিশ্রম, চেষ্টা, নিরলস প্রচেষ্টা, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সততা, রাজনৈতিক পারদর্শিতা ও অকল্পনীয় দক্ষতা থাকার পরও বৃহৎ জনগণের এহেন বিরূপ ধারণা কেন তার অবশ্যই বিস্তারিত বিশ্লেষণ দরকার। অনেকের ধারণা, প্রধানমন্ত্রীর অর্ধেক মেধা ও প্রচেষ্টা যদি বিএনপি দেখাতে পারত তাহলে সরকারের পরিবর্তন অনেক আগেই হয়ে যেত। অনেকে এও মনে করেন, বিএনপির অদূর ভবিষ্যতে তেমন সুদিন নেই যদি না তারা তাদের নীতি ও পথ পরিবর্তন করে। তবে এর মানে এই নয় যে সরকারের বিকল্প তৈরি হবে না। পুবাকাশে আশার আলোর আভাস দেখা যাচ্ছে। অন্ধকার দূর হবেই হবে। সবাই রাষ্ট্রের তথা জনগণের মঙ্গল চায় এবং যে বা যারা জনগণের সেই মঙ্গল নিশ্চিত করতে পারবে জনগণের মধ্যে সে বা তারাই টিকে থাকবে এবং থাকে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য।সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন