কাবিটা প্রকল্প বাস্তাবায়ন ও মনিটরিং কমিটির গাফিলতি, পাউবোর দুর্নীতি ও পিআইসির উদাসীনতায় একের পর এক বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকছে। নিমেশেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। কোনো কাজেই আসছে না সরকারের ১২২ কোটি টাকার বরাদ্দ।
জামালগঞ্জ উপজেলার আছানপুরের হালির হাওরে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছিল। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আছানপুরের বাঁধ ভেঙে ওই হাওরে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত হাওরের অর্ধেক ধানও কাটা হয়নি। হালির হাওরের কৃষক সমীরণ রায়ের জমিতে আধপাকা ধান রয়েছে। তিনি মোট জমির চার ভাগের একভাগ ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। বাকিটুকু তার চোখের সামনেই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। রাত থেকেই তিনি চেষ্টা করছেন কিছু ধান কাটার।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, হালির হাওরে পাঁচ হাজার হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। সোমবার পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার হেক্টর জমির ফসল কাটা হয়ে গেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, বাঁধের কাজ সময় মতো শুরু এবং শেষ না হওয়ায় বাঁধ ভাঙছে। কাজের শুরু থেকে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটি বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তাদের ভাষ্য, হাওরডুবির দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, সোমবার রাত ১০টার দিকে আছানপুরের বাঁধ ভেঙে হালির হাওরে পানি প্রবেশ শুরু করে। ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।