বরিশালের ডাকাতির প্রস্তুতির সময় মহসিন বাহিনীর প্রধান মহসিন গাজীসহ দুজনকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে র্যাব-৮। শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে র্যাব-৮ এর সদর দফতরের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানাধীন নরকাঠী এলাকার মেহগুনি বাগান এলাকায় ১০-১২ জনের ডাকাতদল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান করছে। এ সংবাদ পেয়ে র্যাব-৮ বরিশাল সিপিএসসির একটি বিশেষ আভিযানিক দল শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ জয়নগর এলাকার বাসিন্দা কায়সার আহম্মেদ গাজীর ছেলে মো. মহসিন গাজী ও জয়নগর এলাকার সেকেন্দার কাজীর ছেলে মো. জাকির কাজী ওরফে জাহাঙ্গীর। তাদের কাছ থেকে একটি দুই নলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, একটি পিস্তল, একটি রামদা, একটি বগিদা, ওয়াান শুটারগানের ৪ রাউন্ড কার্তুজ, পিস্তলের ২টি অ্যামোনিশন ও ৩ হাজার ২৫০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানান, তারা এবং তাদের সঙ্গে থাকা পালিয়ে যাওয়া অপর ব্যক্তিরা ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল জেলার ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে একত্র হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছেন।
জলদস্যুও ডাকাত বাহিনীর প্রধান মো. মহসিন তার ৫০-৬০ জন সহযোগী নিয়ে ভোলা জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। চরাঞ্চলের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা উঠাচ্ছেন। কেউ চাঁদা না দিলে মহসিন ও তার বাহিনীর সদস্যরা বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও তাদের মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মহসিন গাজীর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র, নারী ও শিশু নির্যাতন, চুরি ও মারামারিসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। তার সহযোগী আটক জাকির কাজী জাহাঙ্গীরসহ অনান্য পলাতক অসামিদের বিরুদ্ধেও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে র্যাব-৮, বরিশাল সিপিএসসির ডিএডি সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় অস্ত্র আইনে ও ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা করেন।