ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক :ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পতনের পর কিছুটা হলেও মুক্তি এবং স্বস্তির পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, যারা এই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার বর্বরোচিত শাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছিল, তাদের অনেকেই আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। এখনো তাদের কোনো হদিস মেলেনি।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাবকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, কতজন আয়নাঘরে বন্দি ছিল, কতজন যে অকথ্য অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, তারপর কোথায় তাদের ফেলে রাখা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। কত নেতাকর্মী এবং দেশের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হারিয়ে গেছেন, তার অন্ত নেই। আমরা এদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, দীর্ঘ রক্তের স্রোত ও আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে আজ দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্ধিত সভার শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর বিক্রমকে। এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের প্রবর্তক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ন্যায়-নিষ্ঠা সততা এবং দেশপ্রেমের এক অনন্য ক্ষনজন্মা পুরুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। যখনই গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে, যখনই দেশ বিপন্ন হয়েছে, তখনই তিনি দেশের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে আপসহীন থেকে সংগ্রাম করেছেন।
রুহুল কবির রিজভী। আর বলেন, গণতন্ত্রের প্রতীক গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনা করে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মারা গেছেন, তাদের সবাইকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে আজকের বর্ধিত সভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণ করছি। এ ছাড়া আমরা দেশের বরেণ্য নেতৃত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকারসহ যাদের হারিয়েছি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।