দেখেই চমকে যাওয়ার মতো ছবিটি ২০১৬ সালের। এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর গনগনে আগুনের আঁচে বসানো চুলার ওপর তেলভর্তি পাত্রের ভেতরে ধ্যান করছেন। পুরনো এই ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই আলোচনা হয়। তবে এ নিয়ে রহস্যের কমতি নেই।
থাইল্যান্ডের এই বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর ছবি এবং ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কীভাবে বসে আছেন তিনি? তার মুখে যন্ত্রণার তিলমাত্র নেই। বরং ছড়িয়ে আছে প্রশান্তি!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে লিখেছেন, সাধুর নিতম্ব এবং কড়াইয়ের তলা ভালো দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবে কেউ এমন একটা কড়াই এ বসলে বুক পর্যন্ত ডুবে থাকার কথা। কিন্তু সে বসে আছে অনেকটাই উপরে। তার মানে কড়াইয়ের উপরে তল ও নিচের তলে অনেকটাই ফাঁকা জায়গা। যেটা হতেপারে তাপ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে বানানো।
আরেকজন লিখেছেন, এটা গ্রাফাইট পাথরের আগুন। এই আগুনের তাপ নেই, একদমই ঠান্ডা। শুধু উজ্জ্বলতা দেখা যায়। এই আগুনে শুয়ে থাকলেও সমস্যা হবে না। বিভিন্ন চলচ্চিত্রে এই আগুন ব্যবহার করা হয়।
এদিকে ভক্তদের বরাত দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট জানায়, তেল ঢালার আগে পাত্রে কিছু লতাপাতা ঔষধি দেওয়া হয়েছে। তাতেই ফুটন্ত তেলের উত্তাপ অনেকটা কমে গেছে।
২০১৬ সালের এসব ছবি ও ভিডিও দিয়ে যুক্তিবাদীরা কিছু প্রমাণ করতে পারেননি। তাই ২০২১ সালের শেষেও তর্ক আর বিশ্বাসের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রমরমিয়ে ঘুরছে সন্ন্যাসীর ফুটন্ত তেলে ধ্যানের ভিডিও ক্লিপ। সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম