ফাইল ছবি
সরবরাহ ঘাটতি না থাকলেও দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ক্রমেই বেড়ে চলছে পেঁয়াজের দাম। শুক্রবার (১৯ মে) ছুটির দিনে সকাল সকাল বাজার করতে গেছেন মহাখালীর বাজারে। বাজারে যা কিনেছেন সবই কিনেছেন বাড়তি দামে, তবে এর মধ্যেও পেঁয়াজ তাকে অবাক করেছে। ১৫ দিন আগেও তিনি ৫৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন, সেই পেঁয়াজ আজ তিনি কিনলেন ৮০ টাকায়। মহল্লার দোকানে হাকা হচ্ছে ৯০ টাকা।
এমতবস্থায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনেকে ঋণপত্র খুলেছেন, আবার অনেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে পারবেন। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সারা বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ টন হলেও প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতিসহ পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ৩৬ থেকে ৩৭ লাখ টন। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পচে যায় বা নষ্ট হয়। আবার আমদানিকৃত পেঁয়াজেও প্রক্রিয়াজাতকরণ ক্ষতি বা নষ্ট হয় ৮ থেকে ১০ শতাংশ। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে সিডি (শুল্ক কর) আরোপিত আছে।
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, আমদানি পেঁয়াজের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যদিও বাজারে আমদানি পেঁয়াজ নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তবে দামের সত্যতা রয়েছে ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে। এদিকে পেঁয়াজের দামের বিষয়কে ভোক্তারা অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক মনে করছেন। সূএ : বিডি২৪লাইভ ডট কম