পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আব্দুল কাদের নামে এক যুবকের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে আফজাল হোসেন (৪৮) নামে এক প্রতারককে আটক করেছে রাজশাহীর চারঘাট মডেল থানা পুলিশ। আটককৃত আফজাল হোসেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিলমেরামতপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।
বুধবার দিনগত গভীর রাতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে প্রতারক আফজাল হোসেনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যুবকের পিতা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে চারঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তালবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক আব্দুর রাজ্জাক আলীর ছেলে আব্দুল কাদের চলতি মাসের ১২ তারিখে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য রাজশাহী পুলিশ লাইনস মাঠে যায়। এ সংবাদ জানতে পেরে আসামি উপজেলার বিল মেরামতপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে আফজাল হোসেন তার জনৈক সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্জাক আলীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করে। দাবিকৃত টাকা পরে দেয়ার শর্তে দুটি ফাকা চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে নেয় প্রতারক আফজাল।
এরপরে গত ১৪ মার্চ আবারও টাকার জন্য চাপ দিলে প্রতারক আফজাল হোসেনকে নগদ ২ লাখ টাকা প্রদান করে রাজ্জাক আলী। এ সংবাদ রাজ্জাক আলীর ছেলে জানতে পেরে প্রতারক আফজাল হোসেনের কাছ থেকে নগদ টাকা, ফাকা স্ট্যাম্প ও ফাকা চেক ফেরত চাইলে প্রতারক আফজাল ভুক্তভোগী রাজ্জাককে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এরপর গত ২৩ মার্চ রাজ্জাক আলী চারঘাট মডেল থানায় বাদী হয়ে প্রতারক আফজাল হোসেন ও তার সহযোগীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা দায়ের পর মডেল থানা পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক আফজাল হোসেনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ থেকে বের হতে পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করেছেন। নতুন নিয়মে চাকরি প্রত্যাশী প্রতিটি ব্যক্তিকে সাতটি ধাপ সফলভাবে পাশ করতে হবে।
এই সাতটি ধাপের কোনো একটিতে অযোগ্য প্রমাণিত হলে তিনি আর নিয়োগ পাবেন না। নতুন নিয়মে টাকা নিয়েও এখন আর পুলিশে চাকরি পাওয়ার সুযোগ নেই। কোনো প্রতারক চক্র পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করবে এটা আমরা কোন ভাবেই হতে দেব না।