পুরুষের চার সমস্যায় ভেঙে যায় সম্পর্ক

পরস্পরের প্রতি আস্থা কিংবা ভরসার জায়গা তৈরি হলে দুজন মানুষ একসঙ্গে পথচলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের পুরো পথ শুরুর মতো সুন্দর ও মসৃণ নাও থাকতে পারে। এর বড় কারণ হলো, একসঙ্গে চলতে গিয়েই মানুষের আসল স্বভাব ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ নারীই তার পুরুষ সঙ্গীর খারাপ বা নেতিবাচক স্বভাবগুলোকে গুরুত্ব দিতে চান না। এতে একটি সম্পর্ক তার আসল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। 

 

হয়তো পুরুষটি মাঝেমাঝেই গায়ে হাত তোলে বা অপমান করার চেষ্টা করে, তবে আপনি সেটি বেমালুম ভুলে যান। আপনি সমস্যাকে ছোট করে দেখলেও সেটি কিন্তু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে আপনার পরবর্তী জীবনে। বিশেষজ্ঞদের মত হলো, এসব ক্ষেত্রে চুপ থাকা বা এড়িয়ে চলা যাবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

সম্পর্কে যেকোনো একজনের বা দুইজনেরই যদি আত্মসম্মানবোধ না থাকে, তবে সেটি কোনো সম্পর্কই নয়। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে তার সৌন্দর্যটুকুও ধরে রাখা জরুরি। কিছু স্বভাব থাকে যা কোনোদিনও বদলায় না, এমন বৈশিষ্ট্য যদি আপনার প্রেমিক বা স্বামীর মধ্যেও থাকে তবে সময় এসেছে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার। কারণ সেসব স্বভাবের কারণে ভাঙতে পারে সম্পর্ক। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে স্বভাবগুলো সম্পর্কে-

মতামতকে গুরুত্ব না দিলে

কিছু প্রেমিক বা স্বামী থাকেন, যাদের বৈশিষ্ট্য হলো স্বৈরাচারী ধরনের। সম্পর্কে তাদের কথাই শেষ কথা। যেকোনো বিষয়ে তারা একাই মতামত দেন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আপনার সঙ্গী কি আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেন? নাকি তিনিও স্বৈরাচারীদের দলে? প্রথম দিকে এই বিষয়কে স্বাভাবিক মনে হতে পারে, এরপর একটা সময় তার এই স্বভাব আপনার কাছে অসহ্য মনে হতে থাকবে। এমন একজন মানুষের সঙ্গে কতদিন টিকে থাকতে চান, সিদ্ধান্ত আপনার।

আপনাকে হিংসা করলে

সঙ্গী মানে পরস্পরের সুখে সুখী হতে জানা। কারণ তখন দুজন মিলেই এক। যদি আপনার সব সাফল্যে তিনি কেবল হিংসাই করেন, তবে সতর্ক হোন। ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করলে, এমনকী গায়ে হাত তুললে সেই সম্পর্ক ভাঙবেই। কারণ এমন সম্পর্কে শেষটা ভয়ঙ্কর না হয়ে উপায় নেই!

সুযোগ পেলেই আপনাকে ছোট করে

এমন অনেক মানুষ আশেপাশেই দেখতে পাবেন, যারা সুযোগ পেলেই সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলে। মানুষের সামনে ছোট করতে পারলে, আপনাকে অপমান করে কথা বলতে পারলেই যেন তার আনন্দ! সঙ্গীর মাঝে এমন স্বভাব দেখতে পেলে সতর্ক হোন। কারণ তার এই স্বভাব আপনাকে ভেতর থেকে ভেঙেচুরে দেবে। আপনার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। এমন মানুষের সঙ্গে কে আর কতদিন মানিয়ে চলতে পারে!

যদি আপনার লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা না থাকে

সঙ্গী মানে শুধু সুখের ভাগীদার নয়, দুঃখেও পাশে থাকা। আপনার স্বপ্ন, আপনার প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা কোনোকিছুই যদি তাকে স্পর্শ না করে তবে দুঃখিত, সেটি আসলে কোনো সম্পর্কই নয়। যিনি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে মোটেই ভাবছেন না, তার সঙ্গে আপনি আর কতদূর যেতে পারবেন? সঙ্গী মানে পরস্পরের পাশে থাকা। তিনি আপনার পাশে না থেকেও কীভাবে সঙ্গী হতে পারেন? আপনার দুঃসময়ে তার ভরসার হাত যদি কাঁধেই না পেলেন, তাকে বয়ে বেড়ানোর তো কোনো অর্থ নেই!

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ফেরত যাবে মিয়ানমারের ২৮৫ সেনা, ফিরবে ১৫০ বাংলাদেশি

» ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী তিন যুবক নিহত

» কৃষক লীগকে শহরে আটকে না রেখে গ্রামে নিয়ে যাওয়া ভালো: কাদের

» গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা

» হাওরে কৃষকদের বোরো ধানের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

» বাসচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

» ‌‌‘বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা’

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

» বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পুরুষের চার সমস্যায় ভেঙে যায় সম্পর্ক

পরস্পরের প্রতি আস্থা কিংবা ভরসার জায়গা তৈরি হলে দুজন মানুষ একসঙ্গে পথচলার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের পুরো পথ শুরুর মতো সুন্দর ও মসৃণ নাও থাকতে পারে। এর বড় কারণ হলো, একসঙ্গে চলতে গিয়েই মানুষের আসল স্বভাব ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। বেশিরভাগ নারীই তার পুরুষ সঙ্গীর খারাপ বা নেতিবাচক স্বভাবগুলোকে গুরুত্ব দিতে চান না। এতে একটি সম্পর্ক তার আসল সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। 

 

হয়তো পুরুষটি মাঝেমাঝেই গায়ে হাত তোলে বা অপমান করার চেষ্টা করে, তবে আপনি সেটি বেমালুম ভুলে যান। আপনি সমস্যাকে ছোট করে দেখলেও সেটি কিন্তু ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। যার প্রভাব পড়ে আপনার পরবর্তী জীবনে। বিশেষজ্ঞদের মত হলো, এসব ক্ষেত্রে চুপ থাকা বা এড়িয়ে চলা যাবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

সম্পর্কে যেকোনো একজনের বা দুইজনেরই যদি আত্মসম্মানবোধ না থাকে, তবে সেটি কোনো সম্পর্কই নয়। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হলে তার সৌন্দর্যটুকুও ধরে রাখা জরুরি। কিছু স্বভাব থাকে যা কোনোদিনও বদলায় না, এমন বৈশিষ্ট্য যদি আপনার প্রেমিক বা স্বামীর মধ্যেও থাকে তবে সময় এসেছে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার। কারণ সেসব স্বভাবের কারণে ভাঙতে পারে সম্পর্ক। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সে স্বভাবগুলো সম্পর্কে-

মতামতকে গুরুত্ব না দিলে

কিছু প্রেমিক বা স্বামী থাকেন, যাদের বৈশিষ্ট্য হলো স্বৈরাচারী ধরনের। সম্পর্কে তাদের কথাই শেষ কথা। যেকোনো বিষয়ে তারা একাই মতামত দেন বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। আপনার সঙ্গী কি আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেন? নাকি তিনিও স্বৈরাচারীদের দলে? প্রথম দিকে এই বিষয়কে স্বাভাবিক মনে হতে পারে, এরপর একটা সময় তার এই স্বভাব আপনার কাছে অসহ্য মনে হতে থাকবে। এমন একজন মানুষের সঙ্গে কতদিন টিকে থাকতে চান, সিদ্ধান্ত আপনার।

আপনাকে হিংসা করলে

সঙ্গী মানে পরস্পরের সুখে সুখী হতে জানা। কারণ তখন দুজন মিলেই এক। যদি আপনার সব সাফল্যে তিনি কেবল হিংসাই করেন, তবে সতর্ক হোন। ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করলে, এমনকী গায়ে হাত তুললে সেই সম্পর্ক ভাঙবেই। কারণ এমন সম্পর্কে শেষটা ভয়ঙ্কর না হয়ে উপায় নেই!

সুযোগ পেলেই আপনাকে ছোট করে

এমন অনেক মানুষ আশেপাশেই দেখতে পাবেন, যারা সুযোগ পেলেই সঙ্গীকে ছোট করে কথা বলে। মানুষের সামনে ছোট করতে পারলে, আপনাকে অপমান করে কথা বলতে পারলেই যেন তার আনন্দ! সঙ্গীর মাঝে এমন স্বভাব দেখতে পেলে সতর্ক হোন। কারণ তার এই স্বভাব আপনাকে ভেতর থেকে ভেঙেচুরে দেবে। আপনার আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। এমন মানুষের সঙ্গে কে আর কতদিন মানিয়ে চলতে পারে!

যদি আপনার লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা না থাকে

সঙ্গী মানে শুধু সুখের ভাগীদার নয়, দুঃখেও পাশে থাকা। আপনার স্বপ্ন, আপনার প্রত্যাশা, আকাঙ্ক্ষা কোনোকিছুই যদি তাকে স্পর্শ না করে তবে দুঃখিত, সেটি আসলে কোনো সম্পর্কই নয়। যিনি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে মোটেই ভাবছেন না, তার সঙ্গে আপনি আর কতদূর যেতে পারবেন? সঙ্গী মানে পরস্পরের পাশে থাকা। তিনি আপনার পাশে না থেকেও কীভাবে সঙ্গী হতে পারেন? আপনার দুঃসময়ে তার ভরসার হাত যদি কাঁধেই না পেলেন, তাকে বয়ে বেড়ানোর তো কোনো অর্থ নেই!

সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com