নাটোরের লালপুরে পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী, তার ছেলে ও স্বজনদের লাঠির আঘাতে খুন হন মো. কালাম ওরফে বোমা কালাম। এ ঘটনায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মো. আল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সকালে বাড়ি প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরের একটি পুকুর থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে, শুক্রবার রাতে উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউপির বড়বাদকয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত কালাম উপজেলার উদুনপুর গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে। তিনি এলাকায় বোমা কামাল নামেও পরিচিত। আটক আল আমিন একই উপজেলার বড়বাদকয়া গ্রামের মো. হারুনের ছেলে। তিনি নিহত কালামের দ্বিতীয় স্ত্রী আরজিনা খাতুনের আগের পক্ষের ছেলে।
লালপুর থানার ওসি মোহা. মনোয়ারুজ্জামান জানান, নিহত কালামের দুই স্ত্রী। গত ১০ বছর আগে বড়বাদকয়া গ্রামের জহির উদ্দিনের মেয়ে আরজিনা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই থাকতেন কালাম। দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ করছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী, তার ছেলে ও স্বজনরা ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে কালামকে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা রাতেই কালামের মরদেহ ভ্যানে করে বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে ফেলে রেখে আসেন।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আরজিনা খাতুনের আগের পক্ষের ছেলে আল আমিনকে আটক কররা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন তিনি। তার দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার সকালে ওই পুকুর থেকে কালামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহত কালামের ভাই শহিদুজ্জামান সালাম বাদী হয়ে স্ত্রী আরজিনা খাতুন ও তার আগের পক্ষের ছেলে আল আমিনসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩-৪ জনকে আসামি করে লালপুর থানায় মামলা করেন।