পাবনার সুজানগরে চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামি শামীম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি শামীম উপজেলার গাবগাছি গ্রামের শহিদ সেখের ছেলে।
পাবনা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অপারেশনাল দল গোপন সংবাদে অভিযান চালায়। এসময় ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে বুধবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, ২০০৯ সালে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করার ঘটনার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন শামীম। তাকে বুধবার দুপুরে পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৮ জানুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছি গ্রামের রাকিব আল কুদ্দুস রিকুর কন্যা ও স্থানীয় কাকিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রুবাইয়া বিনতে রাকিব (রিদি) বাড়ির পাশের একটি দোকানে খাতা কিনতে যায়। এসময় দোকানের ভেতরে জোরপূর্বক ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। সন্ধ্যার পরে দোকানের পাশের একটি ধান ক্ষেতের মাঠে মরদেহটি ফেলে পালিয়ে যায় শামীম।
এ ঘটনার পরপরই শিশুর বাবা থানায় একটি মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ এ ঘটনায় শামীমসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০০০ সাল (সংশোধনী-২০০৩) সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ কয়েক বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৭ সালে বিচার শেষে মামলার প্রধান আসামি শামীমের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অপর দুজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডের রায় দেন আদালত।