পর্যটকের ভারে যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে সেন্টমার্টিন জেটি!

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটির অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁশ আর রশির জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে চলছে পর্যটকদের ওঠানামা। স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই জেটি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন তারা। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সেন্টমার্টিন জেটির রেলিং কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে। কিছু জায়গায় বাঁশ আর রশি দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে; পিলারেও ধরেছে ফাটল। জেটির নিচের অংশের পুরো আস্তর উঠে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড। পার্কিং অংশের সিংহভাগই ধসে পড়েছে। ওই অংশে লোহা আর কাঠের জোড়াতালি দেওয়া পন্টুন এখন এক মাত্র ভরসা।

ছবি: প্রতিনিধি

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের এক কর্মকর্তা জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা ও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-০৩ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার দৈর্ধ্যের জেটিটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

 

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ইয়াসের আঘাতে জেটির পার্কিং পয়েন্ট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও দুটি গাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই জেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রতি বছর জেলা পরিষদ এই জেটি ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও স্থায়ীভাবে মেরামত কাজে হাত দেয়নি। তবে গত বছর জেটির দুই পাশে কাঠ আর লোহা দিয়ে পন্টুন স্থাপন করে।

 

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, “সেন্টমাটিন দ্বীপের একমাত্র যাতায়াতের জেটির ভাঙনে বেহাল দশা হয়েছে। তাই এখানে আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ওঠানামা করতে নতুন জেটির বিকল্প নেই।” টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে নতুন জায়গায় জেটি নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । তার আগ পর্যন্ত বর্তমান জেটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করবে জেলা পরিষদ।  সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ২২ এপ্রিল থেকে পরিত্যক্ত চিপসের প্যাকেট-ডাবের খোসা কিনবে ডিএনসিসি

» সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

» মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক বাস্তবতার দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

» অনারের মিডরেঞ্জ ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন এক্স৯বি

» ইসলামপুরে মুজিব নগর দিবস পালিত

» ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য মানা বে ওয়াটার পার্ক দিচ্ছে এক্সক্লুসিভ অফার

» গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে সন্তান রফিকুল ইসলাম মিটু

» মালয়েশিয়ায় ২৩ প্রবাসী বাংলাদেশি গ্রেফতার

» বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে : রাষ্ট্রপতি

» বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দসহ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পর্যটকের ভারে যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে সেন্টমার্টিন জেটি!

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের একমাত্র জেটির অবকাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাঁশ আর রশির জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করে চলছে পর্যটকদের ওঠানামা। স্থানীয়রা বলছেন, টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন নৌপথে ১০টি জাহাজে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সেন্টমার্টিনে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই জেটি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন তারা। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সেন্টমার্টিন জেটির রেলিং কোথাও কোথাও ভেঙে পড়েছে। কিছু জায়গায় বাঁশ আর রশি দিয়ে রেলিং তৈরি করা হয়েছে; পিলারেও ধরেছে ফাটল। জেটির নিচের অংশের পুরো আস্তর উঠে বেরিয়ে পড়েছে লোহার রড। পার্কিং অংশের সিংহভাগই ধসে পড়েছে। ওই অংশে লোহা আর কাঠের জোড়াতালি দেওয়া পন্টুন এখন এক মাত্র ভরসা।

ছবি: প্রতিনিধি

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের এক কর্মকর্তা জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাসিন্দা ও দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সুবিধার্থে ২০০২-০৩ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০০ মিটার দৈর্ধ্যের জেটিটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

 

ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ইয়াসের আঘাতে জেটির পার্কিং পয়েন্ট সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও দুটি গাডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন থেকেই জেটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রতি বছর জেলা পরিষদ এই জেটি ইজারা দিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও স্থায়ীভাবে মেরামত কাজে হাত দেয়নি। তবে গত বছর জেটির দুই পাশে কাঠ আর লোহা দিয়ে পন্টুন স্থাপন করে।

 

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, “সেন্টমাটিন দ্বীপের একমাত্র যাতায়াতের জেটির ভাঙনে বেহাল দশা হয়েছে। তাই এখানে আগত পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ওঠানামা করতে নতুন জেটির বিকল্প নেই।” টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নির্দেশ অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ’র মাধ্যমে নতুন জায়গায় জেটি নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । তার আগ পর্যন্ত বর্তমান জেটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করবে জেলা পরিষদ।  সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com