চতুর্থ দিনের সকালের সেশনটা কাজে লাগাতে পারলো না বাংলাদেশ দল। ম্যাচের প্রথম দুই দিন প্রথম সেশনে যথাক্রমে ৫টি ও ৪টি উইকেট নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশও নিয়েছিল দুই উইকেট। কিন্তু আজ আর তা হলো না। টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়ে নির্বিঘ্নে পুরো সেশন কাটিয়েছে সফরকারীরা।
মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে ১৩০ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৬৯ রান। বাংলাদেশের ৩৬৫ পেরিয়ে এরই মধ্যে ৪ রানের লিড নিয়েছে তারা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ৯৩ ও দিনেশ চান্দিমাল ৬১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এ দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এসেছে ১০৩ রান।
আগের দিন ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিন প্রায় তিন ঘণ্টা নষ্ট হওয়ায়, আজ ত্রিশ মিনিট আগে শুরু হয়েছে খেলা। দিনের প্রথম বলটিই পায়ের ওপর করেন এবাদত হোসেন। যেখান থেকে দুই রান নিয়ে নেন চান্দিমাল।
এমন শুরুর আর তেমনভাবে দুই অভিজ্ঞ লঙ্কানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের বলে বিচ্ছিন্ন কিছু আবেদন হলেও উইকেট তোলার মতো বোলিং করতে পারেননি তারা। ফলে অনায়াসেই কেটেছে লঙ্কানদের প্রথম ঘণ্টা।
পানি পানের বিরতির পর আক্রমণে আসেন খোদ অধিনায়ক মুমিনুল হক। সেই ওভারেই চতুর্থ বলে পরাস্ত হন চান্দিমাল। বল জমা পড়ে লিটন দাসের গ্লাভসে। বোলার-ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ারও। কিন্তু চান্দিমাল রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে লাগেনি সেই বল। ফলে মেলেনি উইকেট।
পরের ওভারে চান্দিমালের বিপক্ষে স্ট্যাম্পিংয়ের সুযোগ তৈরি করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। রিপ্লে’তে এক পাশ থেকে মনে হচ্ছিল দাগের ভেতরে চান্দিমালের পায়ের কোনো অংশ নেই। তবে অন্য পাশ থেকে যায়, অল্পের জন্য পপিং ক্রিজের ভেতরেই রয়ে গেছেন চান্দিমাল। আবারও আশাহত হয় বাংলাদেশ।
এর বাইরে তেমন একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা। চান্দিমাল ও ম্যাথিউজ মিলে খুব সহজেই কাটিয়ে দিয়েছেন পুরো সেশন। চান্দিমাল নিজের ফিফটি তুলে নিলেও, সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়েই বিরতিতে যেতে হয়েছে তাকে। দ্বিতীয় সেশনে সেঞ্চুরির মিশনে নামবেন এ অভিজ্ঞ ব্যাটার।