নিয়ম না মেনে কীভাবে চলছিল বাসটি?

ছবি সংগৃহীত

 

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরে ইমাদ পরিবহনের বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের ঘটনায় বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, বাসটি একটি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হতো। তাই নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে মামলা না করে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে কার কি দায় বের করবে। বাসটির চালক, সুপারভাইজার, সহকারী দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোরে খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় এলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নিচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট স্থগিত ছিল। ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বালু বোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি। এতে তিন যাত্রী প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন আটজন। এরপর ওই গাড়ির কাগজপত্রের অনুমোদন স্থগিত করা হয়। সবশেষ ১৮ জানুয়ারি ওই বাসের গাড়ির ফিটনেস সনদের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়। তবে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মালিকরা বাসের ফিটনেস নবায়ন করেননি। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে একই কোম্পানির অন্য আরেকটি বাস মাদারীপুরের শিবচরে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কমপক্ষে তিনজনের প্রাণ কেড়ে নেয়। সেই দুর্ঘটনায় শিবচর থানায় মামলাও হয় কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলা তুলে নেয় নিহতের পরিবার। বিআরটিএ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের এই বাসটি তৈরি করে। নিবন্ধন নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী বাসটি ৪০ আসনের। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক। তিনি জানান, নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাসটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

 

দ্রুতগতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা : পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের আশীর্বাদ। তবে এই সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রীদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুয়েক দিন পরপরই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা দ্রুতগতি ও চালকের অদক্ষতাকেই দায়ী করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলে গেছে হাইওয়ে এক্সপ্রেস। এই মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রবিবার ইমাদ পরিবহনের বাস খাদে পড়ে নিহত হন ১৯ জন। জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার কাছে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত হন ছয়জন। শিবচরের চর বাঁচামারা এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনজন। ফেব্রুয়ারি মাসে এক দুর্ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গত এক বছরে এরকম ছোটখাটো ৪০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, এই মহাসড়কে দ্রুতগতি ও চালকের অদক্ষতার কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ মুসা জানান, এই সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রাজা জানান, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা রাখা উচিত। গাড়ির গতি থাকার কথা ঘণ্টায় ৮০ কিমি। অথচ অধিকাংশ সময় গাড়ির গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী একজন চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা একাধারে গাড়ি চালানোর বিধান। এরপর আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আরও তিন ঘণ্টা চালাতে পারেন। তবে একদিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বাস কোম্পানি এই আইন মানে না। এ ছাড়া এই মহাসড়কে অতিরিক্ত গতিতেও গাড়ি চলে। প্রশাসনের উচিত সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা। মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। চেষ্টা করছি সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» হাওরে কৃষকদের বোরো ধানের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা হবে: কৃষিমন্ত্রী

» বাসচাপায় সিএনজি যাত্রী নিহত

» ‌‌‘বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা’

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে

» বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

» রাজধানীর শিশু হাসপাতালের ভবনে আগুন

» শনিবার ২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

» মাদক বিক্রি ও সেবন করার অপরাধে ১০ জন গ্রেফতার

» ‘জীবনে অনেক ভুল করেছি’—হঠাৎ কী হলো পরিণীতির?

» ‘মুস্তাফিজকে কেন পুরো আইপিএল খেলতে দিচ্ছে না বাংলাদেশ’

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নিয়ম না মেনে কীভাবে চলছিল বাসটি?

ছবি সংগৃহীত

 

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরে ইমাদ পরিবহনের বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের ঘটনায় বাস কোম্পানিকে অভিযুক্ত করে শিবচর থানায় মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, বাসটি একটি কোম্পানির অধীনে পরিচালিত হতো। তাই নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে মামলা না করে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে কার কি দায় বের করবে। বাসটির চালক, সুপারভাইজার, সহকারী দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার কারণে মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। রবিবার ভোরে খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তুলে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর সীমানা এলাকায় এলে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নিচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

 

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির রুট পারমিট স্থগিত ছিল। ছিল না ফিটনেস সার্টিফিকেট। ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বালু বোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি। এতে তিন যাত্রী প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন আটজন। এরপর ওই গাড়ির কাগজপত্রের অনুমোদন স্থগিত করা হয়। সবশেষ ১৮ জানুয়ারি ওই বাসের গাড়ির ফিটনেস সনদের মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়। তবে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মালিকরা বাসের ফিটনেস নবায়ন করেননি। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে একই কোম্পানির অন্য আরেকটি বাস মাদারীপুরের শিবচরে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কমপক্ষে তিনজনের প্রাণ কেড়ে নেয়। সেই দুর্ঘটনায় শিবচর থানায় মামলাও হয় কিন্তু রহস্যজনক কারণে মামলা তুলে নেয় নিহতের পরিবার। বিআরটিএ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে ভারতের অশোক লেল্যান্ড ব্র্যান্ডের এই বাসটি তৈরি করে। নিবন্ধন নেওয়া হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী বাসটি ৪০ আসনের। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির কোনো ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক। তিনি জানান, নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাসটির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিক ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

 

দ্রুতগতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা : পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের আশীর্বাদ। তবে এই সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রীদের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুয়েক দিন পরপরই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা দ্রুতগতি ও চালকের অদক্ষতাকেই দায়ী করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলে গেছে হাইওয়ে এক্সপ্রেস। এই মহাসড়কে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রবিবার ইমাদ পরিবহনের বাস খাদে পড়ে নিহত হন ১৯ জন। জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতু টোল প্লাজার কাছে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় নিহত হন ছয়জন। শিবচরের চর বাঁচামারা এলাকায় দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনজন। ফেব্রুয়ারি মাসে এক দুর্ঘটনায় চীনা নাগরিকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গত এক বছরে এরকম ছোটখাটো ৪০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের দাবি, এই মহাসড়কে দ্রুতগতি ও চালকের অদক্ষতার কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা আবু সালেহ মুসা জানান, এই সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ। স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রাজা জানান, গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা রাখা উচিত। গাড়ির গতি থাকার কথা ঘণ্টায় ৮০ কিমি। অথচ অধিকাংশ সময় গাড়ির গতি থাকে ঘণ্টায় ১০০-১২০ কিমি। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী একজন চালকের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টা একাধারে গাড়ি চালানোর বিধান। এরপর আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আরও তিন ঘণ্টা চালাতে পারেন। তবে একদিনে সর্বোচ্চ আট ঘণ্টা গাড়ি চালানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বাস কোম্পানি এই আইন মানে না। এ ছাড়া এই মহাসড়কে অতিরিক্ত গতিতেও গাড়ি চলে। প্রশাসনের উচিত সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা। মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, আমরা গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। চেষ্টা করছি সড়ক পরিবহন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার। সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com