দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে রাতেও ঘরে ফিরতে দেখা গেছে হাজার হাজার যাত্রীদের। সারা দিনের তীব্র তাপদাহের শেষে বৃষ্টি আসে জনমনে স্বস্তি নিয়ে। আর এই স্বস্তির বৃষ্টিই ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা মানুষের জন্য নিয়ে আসে দুর্ভোগ। শনিবার(৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হলে কমে আসে তাপমাত্রা। স্বস্তি আসে সাধারন মানুষের শরীর ও মনে। একই সাথে চরম অস্বস্তি হয়ে দাঁড়ায় ঘরমুখো মানুষের।
বৃষ্টির সাথে বাতাস থাকায় কালবৈশাখীর আশঙ্কায় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে বন্ধ করে দেয়া হয় লঞ্চ চলাচল। হঠাৎ করে লঞ্চ বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পরে ঘাটে আসা হাজারো যাত্রী। এদিকে বৃষ্টির কারণে ফেরির ডেকে থাকা যাত্রীদের দাঁড়িয়ে ভিজতেও হচ্ছে বলে জানা গেছে। উভয় ঘাটে আসা যাত্রীদেরও বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। যানবাহনে উঠতে পরিবার-পরিজন ও মালামাল নিয়ে বিপাকে পরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে নৌযানে থাকা বেশির ভাগ যাত্রীদেরই বৃষ্টি ভিজে ঘাটে এসে নামতে হয়েছে
নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ফেরিতে মোটরসাইকেল আরোহীদের ভিড় বেশি। এছাড়া সন্ধ্যার পর লঞ্চ বন্ধ রাখায় ফেরিতে সাধারণ যাত্রীদের চাপ কিছুটা বাড়ে।
লঞ্চ ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হলে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। ঘাটে এসে নামা যাত্রীদের আকস্মিক বৃষ্টিতে ভিজে টার্মিনালে যেতে হয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীদের সাথে একাধিক ব্যাগ-ব্যাগেজ থাকায় বৃষ্টি শুরু হলে বিপাকে পড়তে হয় তাদের।
বিআইডব্লিউটিএ’র বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান,’ঘরমুখো যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রাতেও ফেরি চলছে। তবে ঝড়ের মৌসুম থাকায় অধিক সর্তকতা অবলম্বন করতে হচ্ছে।’ সূএ: মানবজমিন