আদাবরে দুই ভাই-বোনকে কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ভগ্নিপতি আলাউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আলাউদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে সাভার থেকে আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকার আদাবরে সুনিবিড় হাউজিংয়ের একটি বাসা থেকে মঙ্গলবার মিতু (১০) ও বাপ্পিকে (৫) অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানায়, পেশায় রিকশাচালক আলাউদ্দিনের দুই স্ত্রী। পোশাককর্মী বড় স্ত্রীকে নিয়ে সুনিবিড় হাউজিংয়ে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রী মৌ থাকেন কাছাকছি আরেকটি ঘরে, তিনিও পোশাককর্মী।
অগ্নিদগ্ধ শিশু দুটি মৌয়ের ছোট ভাই-বোন। সন্তানদের নিয়ে মৌয়ের কাছেই আরেক ঘরে থাকেন তাদের মা। তিনি বাসা-বাড়িতে কাজ করেন, আর এই শিশুদের বাবা থাকেন গ্রামে।
পুলিশ জানায়, পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে ‘শিক্ষা দিতে’ ওই শিশুদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেন আলাউদ্দিন।