চলচ্চিত্র বা টেলি সিরিয়ালের জগতে কাস্টিং কাউচের উপস্থিতি। সত্যি নাকি নিন্দুকদের বানানো? এই নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছে, হচ্ছে। তারই মধ্যে একাধিকবার একাধিক তারকা তাদের কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তা নিয়ে হইচইও হয়েছে। এবার সেই খাতায় নাম লেখালেন টেলি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দিব্যাঙ্কা শেয়ার করলেন তার কাস্টিং কাউচের অভিজ্ঞতা। আর সেটা নিয়েই হইচই পড়ে গেছে। অকপট দিব্যাঙ্কা বলেন, একটা শো শেষ হওয়ার পর নতুন করে স্ট্রাগল শুরু হয়।
একটা সময় ছিল যখন আমার হাতে কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। সংসার চালানোর খরচ লাগতো, ইএমআই দেয়ার ছিল। ভীষণ চাপে ছিলাম। তখনই একটি প্রস্তাব আসে। আমাকে বলা হয়, এই পরিচালকের সঙ্গে তোমাকে থাকতে হবে, তাহলেই বড় ব্রেক পাবে। কিন্তু আমি কেন? এই প্রশ্ন করেছিলাম। উত্তরে আমাকে বলা হয়েছিল, আমি নাকি ভীষণ বুদ্ধিমতী, এটা-সেটা। আর এমনটা নাকি সবাইকেই করতে হয়। দিব্যাঙ্কা এও জানান, ‘মিটু’ ক্যাম্পেইন শুরুর আগের ঘটনা এটি। কিছু লোক ইন্ডাস্ট্রিতে এমন আছেন, যারা যেভাবেই হোক নায়িকাদের কনভিন্স করার চেষ্টা চালান।
মনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চান, যদি পরিচালক বা প্রযোজকের ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে ক্যারিয়ারে কিচ্ছু করতে পারবো না। কিন্তু আমি এইসবকে পাত্তা দিতাম না। আমার প্রথম কাজ যখন প্রতিভার জোরে পেয়েছি, নিশ্চিত ছিলাম দেরি হলেও পরের কাজও ট্যালেন্টের জোরেই পাবো। দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠীর বিনোদন জগতে পা রাখা রিয়ালিটি শোয়ের হাত ধরেই। সেই শো শেষ হওয়ার পরই তার প্রথম সিরিয়াল ‘বানো মেরি তেরি দুলহান’-এর প্রস্তাব আসে। এ ছাড়াও তাকে দেখা গিয়েছে একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি ধারাবাহিকে। টেলিভিশনের আরও এক তারকা রাজীব খন্ডেলওয়ালের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ওয়েব সিরিজেও। তাকে শেষ দেখা গেছে ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর-১১’ সিজনে।
ভয়কে জয় করে প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন দিব্যাঙ্কা। সূএ:মানবজমিন