দিনে সবজি বিক্রেতা রাতে ডাকাত

দিনে তারা ডাব বা সবজি বিক্রেতা। রাতে তারাই আবার ভয়ঙ্কর ডাকাত চক্রের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন গণপরিবহনে ডাকাতি করে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলামের বাসে ডাকাতির শিকার হওয়ার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরবর্তীতে এমন একাধিক চক্রের সন্ধান মিলেছে গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। রাজধানী এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোতে এমন একাধিক ডাকাত চক্রের সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৪ বাস ডাকাতকে গ্রেপ্তার শেষে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই ডাকাতির কাজে মূল নেতৃত্বে থাকে নাইমুর রহমান ও আল-আমিন এবং কাজল।

 

ডাকাত চক্রের এই সদস্যরা দিনের বেলায় অলিগলিতে ডাব বিক্রি, কখনো সবজি বিক্রি করে। কখনো দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে দৈনন্দিন কাজ করে।

প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় আটক মোট ১৪ ডাকাত গত এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করেছে। চক্রের সদস্যরা কখনো পিকনিকের নামে বাস ভাড়া করে বাসের চালক এবং হেলপার সেজে ডাকাতি করে। কখনো গণপরিবহনের যাত্রীবেশে বাসে উঠে ডাকাতি করে। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানায়, গত ৬, ৯ ও ১৪ই জানুয়ারি সাভার, চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ২১শে জানুয়ারি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসে টাঙ্গাইলের এক চিকিৎসকের ডাকাতির ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসার পর অভিযানে নামে পুলিশ। প্রত্যেকটি ডাকাতির ক্ষেত্রে একটির সঙ্গে অপর ঘটনার মিল পাওয়া গেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী চিকিৎসক যে বাসে ডাকাতির শিকার হন সেই ‘আরবি পরিবহন’ বাসটিতে ডাকাতির নেতৃত্ব দেয় কাজল, নাইমুর রহমান ও আল-আমিন। আল-আমিনসহ চক্রের একাধিক সদস্য এর আগে একটি বাস ডাকাতির সময় লস্কর রবিউল নামে এক যাত্রীকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ২০২১ সালে পিবিআইয়ের হাতে তারা গ্রেপ্তার শেষে কারাগারে গেলেও পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবার একই কাজ শুরু করে। প্রথম ৮ জন এবং পরে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার শেষে রিমান্ডে তারা চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাসে যাত্রী ওঠার সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বাসের একদম পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় যাত্রীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করতে প্রথমে তাদের চোখ এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। ছুরিসহ বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো হয়। এবং বলা হয় বাসে যারা আছে সকলেই ডাকাত। এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর মনে এক ধরনে অসহায়ত্ব চলে আসে। এরপর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয়া হয়। অনেক যাত্রী আছে যাদেরকে হাত-পা বাঁধার আগেই সঙ্গে যা আছে স্বেচ্ছায় সব দিয়ে দেন।
এদিকে চক্রের অন্যতম হোতা ডাকাত দলের দুই শীর্ষ নেতা আল-আমিন ও কাজল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আল-আমিন জানায়, গত ৭ বছর ধরে সে বাস দিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। এর আগে ১০-১২ বছর সে ঢাকা-আরিচা রুটের বিভিন্ন গাড়িতে চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল। গাড়ির হেলপারি করতে গিয়েই তার ডাকাত দলের সঙ্গে পরিচয় হয়। জড়িয়ে পড়ে ডাকাতির কাজে। এরপর সে নিজেই বাস নিয়ে ডাকাতি শুরু করে। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার বাজিগরখণ্ড এলাকায়। ২০২০ সালে একটি বাসে ডাকাতি করতে গিয়ে রবিউল নামে এক যাত্রীকে আল-আমিনদের লোকজন মেরে ফেলে। ওই মামলায় একই বছরের ১৩ই অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের ২১শে ডিসেম্বর ওই মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে আসে সে। জামিনে বের হয়ে সেলফি পরিবহনের একটি গাড়িতে সে চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ডাকাত দলের নেতা কাজলের কারণে আবারো সে পুরনো পেশায় ফিরে যায়। কাজলের সঙ্গে সে গত ৯ই জানুয়ারি এবং ২০শে জানুয়ারি আরকেআর এবং আরবি পরিবহনের দু’টি বাস ভাড়া নিয়ে দলবলসহ ডাকাতি করে। সম্প্রতি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা  বলেন, ডাকাত চক্রের অন্যতম সদস্য আল-আমিন এর আগে আরও একাধিক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাসে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে বেরিয়ে পুনরায় ডাকাতির কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা সোমা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে আল-আমিনের একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, আল-আমিনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। বাসে ডাকাতি চক্রের আরও একাধিক সদস্যের তথ্য মিলেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে সঠিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো এ ধরনের অপরাধের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।সূএ:মানবজমিন
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বৃষ্টি কামনায় বায়তুল মোকাররমে ইসতিসকার নামাজ আদায়

» মেটার স্মার্ট সানগ্লাসে দিয়ে করা যাবে ভিডিও কল

» গরমে ট্রাফিক পুলিশ কীভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে?

» জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

» পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলের চালক নিহত

» বাস-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংর্ঘষে ইজিবাইক চালক নিহত,আহত ৩

» বিএনপি নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ক্ষমতায় আসতে মরিয়া: কাদের

» শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকীতে আ.লীগের কর্মসূচি

» দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী

» ‘উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে’

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

দিনে সবজি বিক্রেতা রাতে ডাকাত

দিনে তারা ডাব বা সবজি বিক্রেতা। রাতে তারাই আবার ভয়ঙ্কর ডাকাত চক্রের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন গণপরিবহনে ডাকাতি করে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলামের বাসে ডাকাতির শিকার হওয়ার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরবর্তীতে এমন একাধিক চক্রের সন্ধান মিলেছে গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। রাজধানী এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোতে এমন একাধিক ডাকাত চক্রের সন্ধান পেয়েছে মহানগর গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ। এ ঘটনায় রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৪ বাস ডাকাতকে গ্রেপ্তার শেষে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, এই ডাকাতির কাজে মূল নেতৃত্বে থাকে নাইমুর রহমান ও আল-আমিন এবং কাজল।

 

ডাকাত চক্রের এই সদস্যরা দিনের বেলায় অলিগলিতে ডাব বিক্রি, কখনো সবজি বিক্রি করে। কখনো দিনের বেলায় ফেরিওয়ালা সেজে দৈনন্দিন কাজ করে।

প্রথম এবং দ্বিতীয় দফায় আটক মোট ১৪ ডাকাত গত এক মাসের বেশি সময় ধরে রাজধানীর আশেপাশের এলাকায় অপরাধ সংঘটিত করেছে। চক্রের সদস্যরা কখনো পিকনিকের নামে বাস ভাড়া করে বাসের চালক এবং হেলপার সেজে ডাকাতি করে। কখনো গণপরিবহনের যাত্রীবেশে বাসে উঠে ডাকাতি করে। রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের সদস্যরা জানায়, গত ৬, ৯ ও ১৪ই জানুয়ারি সাভার, চন্দ্রা ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাস ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ২১শে জানুয়ারি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বাসে টাঙ্গাইলের এক চিকিৎসকের ডাকাতির ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচনায় আসার পর অভিযানে নামে পুলিশ। প্রত্যেকটি ডাকাতির ক্ষেত্রে একটির সঙ্গে অপর ঘটনার মিল পাওয়া গেছে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী চিকিৎসক যে বাসে ডাকাতির শিকার হন সেই ‘আরবি পরিবহন’ বাসটিতে ডাকাতির নেতৃত্ব দেয় কাজল, নাইমুর রহমান ও আল-আমিন। আল-আমিনসহ চক্রের একাধিক সদস্য এর আগে একটি বাস ডাকাতির সময় লস্কর রবিউল নামে এক যাত্রীকে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ২০২১ সালে পিবিআইয়ের হাতে তারা গ্রেপ্তার শেষে কারাগারে গেলেও পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবার একই কাজ শুরু করে। প্রথম ৮ জন এবং পরে ৬ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার শেষে রিমান্ডে তারা চাঞ্চল্যকর এ তথ্য দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, বাসে যাত্রী ওঠার সর্বোচ্চ তিন থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে বাসের একদম পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় যাত্রীদের মনে আতঙ্ক তৈরি করতে প্রথমে তাদের চোখ এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। ছুরিসহ বিভিন্ন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখানো হয়। এবং বলা হয় বাসে যারা আছে সকলেই ডাকাত। এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর মনে এক ধরনে অসহায়ত্ব চলে আসে। এরপর সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নেয়া হয়। অনেক যাত্রী আছে যাদেরকে হাত-পা বাঁধার আগেই সঙ্গে যা আছে স্বেচ্ছায় সব দিয়ে দেন।
এদিকে চক্রের অন্যতম হোতা ডাকাত দলের দুই শীর্ষ নেতা আল-আমিন ও কাজল রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আল-আমিন জানায়, গত ৭ বছর ধরে সে বাস দিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। এর আগে ১০-১২ বছর সে ঢাকা-আরিচা রুটের বিভিন্ন গাড়িতে চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল। গাড়ির হেলপারি করতে গিয়েই তার ডাকাত দলের সঙ্গে পরিচয় হয়। জড়িয়ে পড়ে ডাকাতির কাজে। এরপর সে নিজেই বাস নিয়ে ডাকাতি শুরু করে। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা থানার বাজিগরখণ্ড এলাকায়। ২০২০ সালে একটি বাসে ডাকাতি করতে গিয়ে রবিউল নামে এক যাত্রীকে আল-আমিনদের লোকজন মেরে ফেলে। ওই মামলায় একই বছরের ১৩ই অক্টোবর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে। গত বছরের ২১শে ডিসেম্বর ওই মামলা থেকে জামিনে বের হয়ে আসে সে। জামিনে বের হয়ে সেলফি পরিবহনের একটি গাড়িতে সে চালকের সহযোগী হিসেবে কাজ করে। ডাকাত দলের নেতা কাজলের কারণে আবারো সে পুরনো পেশায় ফিরে যায়। কাজলের সঙ্গে সে গত ৯ই জানুয়ারি এবং ২০শে জানুয়ারি আরকেআর এবং আরবি পরিবহনের দু’টি বাস ভাড়া নিয়ে দলবলসহ ডাকাতি করে। সম্প্রতি রাজধানীর আমিনবাজার এলাকা থেকে আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা  বলেন, ডাকাত চক্রের অন্যতম সদস্য আল-আমিন এর আগে আরও একাধিক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাসে ডাকাতি করতে গিয়ে হত্যার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে বেরিয়ে পুনরায় ডাকাতির কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা সোমা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে আল-আমিনের একাধিক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে, আল-আমিনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। বাসে ডাকাতি চক্রের আরও একাধিক সদস্যের তথ্য মিলেছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদেরকে সঠিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো এ ধরনের অপরাধের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।সূএ:মানবজমিন
Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com