কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখি থাকলেও কমতে পারে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের মধ্যেই ডিম ও পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
বাজারে বর্তমানে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিমের ডজন ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা আর পাকিস্তানি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. শরিফ বলেন, ডিমের দাম অনেক বেড়েছে। আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। ডিমের দাম কবে কমবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে কমবে। হাঁসের ডিমের দাম সোমবার (১৫ আগস্ট) ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। এর আগে, জ্বালানি তেলের অজুহাত দিয়ে অনেক বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে হাঁসের ডিম বিক্রি করেছেন।
এছাড়া এই বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪৫ টাকা।
বাজারের পেঁয়াজ-আলু বিক্রেতা মো. মাহফুজ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের একটু পরিবহন খরচ বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। আর ভারতীয় পেয়াঁজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম তুলনা করে মাহফুজ বলেন, ১৫ থেকে ১০ দিন আগে দেশি পেঁয়াজের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি ছিল। অতীতে কাঁচা মরিচের দামও অনেক বেড়ে কেজি হয়েছিল ৩০০ টাকা। চারদিন আগে এর কেজি ছিল ২৬০ টাকা। এখন বিক্রি করছি ২০০ টাকায়। বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। এর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশেরও বাড়ানো হয়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে প্রতি লিটার ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ