সংগৃহীত ছবি
অনলাইন ডেস্ক : সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশটি মূলত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করা, এনসিপিকে শক্তিশালী করা এবং জামায়াত যেভাবে চায়, সেভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া অথবা সেভাবে নির্বাচন করা জন্য সরকারের যে ইচ্ছা রয়েছে, সে ইচ্ছাকে আরো বেগবান করার ক্ষেত্রে একটা চাপ তৈরি করবে।’
শনিবার (১৯ জুলাই) তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জুলুম-অত্যাচারের মধ্যে জামায়াত এত লোক, এত নেতাকর্মী কিভাবে তৈরি করেছে, সৃষ্টি করেছে, দাওয়াতি কর্মকাণ্ড কিভাবে চালিয়েছে, যারা রাজনৈতিক দার্শনিক, তাদের এটা শিক্ষার বিষয়।’
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এভাবে এত বড় একটা সমাবেশ করা বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পক্ষে আসলে সম্ভব নয়।
কারণ জামায়াতের নেতারা এখানে খাওয়ার আয়োজন করেনি। কর্মীদের বলেছে, তারা যার যার বিবি-বাচ্চাদের হাতে তৈরি করা খাবার নিয়ে এখানে এসেছেন। অন্যদিকে ট্রাকের পর ট্রাক বিরিয়ানি এনে, গেঞ্জি দিয়ে, সব কিছু দিয়েও আমাদের প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলো এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের তিন ভাগের এক ভাগ অতীতে কখনো ভরতে পেরেছে, আমি এটা দেখিনি গত ১৫-২০ বছরে।’
আরো পড়ুন
তিনি আরো বলেন, ‘সেদিক থেকে জামায়াতের এই অনুষ্ঠানটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিএনপি রাগ হয়ে এ রকম একটা বড় অনুষ্ঠান করবে বা তার চেয়ে বড় করবে, পুরো ঢাকাকে অচল করে দিয়ে একেবারে গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য করে ফেলবে এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই অঞ্চল পুরো অচল থাকবে, এটা এখন সম্ভব নয়।
১০০০ কোটি টাকাও যদি বিএনপি খরচ করে, এটা সম্ভব হবে না। এখানে শুধু বিরিয়ানির প্যাকেট দিতে, পানির বোতল দিতে, এগুলোতেই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যাবে। কে আগে স্লোগান দেবে, কে আগে আসবে, কে পরে আসবে, এগুলো নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হবে। কিন্তু জামায়াতের এই জিনিসগুলো বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটা টুঁ শব্দ হয়নি।’
এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘এটা বিএনপিকে রীতিমতো একটা চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। যাকে বলে ডিমনিটাইজ ডিসেন্ট্রালাইজেশন। ডিমনিটাইজ মানে তারা যে সাদা সাদা বিভিন্ন জায়গাতে কালেকশন সিলেকশন করত, জামায়াতের শক্তিমত্তার পরে অনেকে এখন আর বিএনপির লোকদের পাত্তা দেবে না, চাঁদাও দেবে না। ফলে এটা অনেকটা ডিমনিটাইজ হয়ে গেল। দুই নম্বর হলো, তারা যে বড় বড় কথা বলত, সরকারকে দাপট দেখাত।
আমরা এটা করতে পারি ওটা করতে পারি। এক ঘণ্টায় সরকারকে ফেলে দিতে পারি। তখন তারা এর পর থেকে এই কথাগুলো আর ওইভাবে বলতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের এই অনুষ্ঠানে অন্য ইসলামপন্থী দলগুলো সংহতি জানিয়েছে, কিন্তু এভাবে তারা আসেনি। যদি তারা সবাই আসত বা আসে, তাহলে এটা বিরাট একটা রূপ ধারণ করবে এবং এর মাধ্যমে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শক্তিশালী করছে, এনসিপিকে শক্তিশালী করছে, তার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য যে রাজনৈতিক দল ইসলামপন্থী যে রাজনৈতিক দল তাদেরও জামায়াত জানান দিল যে সত্যিকার অর্থে তাদের সাংগঠনিক ক্ষমতা কত বেশি।