জন্মদিনে বাড়তি আনন্দ এনে দিলো আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ

জাপানের কিয়োটোতে এক ব্যক্তি তার বড় ছেলের জন্মদিনে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙের সন্ধান পান। নিজের ধানক্ষেতে ওই ব্যক্তি খুঁজে পান বাহারি রঙের ব্যাঙটি। ছেলের জন্মদিনে তাই বাড়ি আনন্দ যোগ করতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি।

 

৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ৪ সেপ্টেম্বর ধান কাটতে গিয়ে আবিষ্কার করেন ব্যাঙটিকে। জাপানি গেছো ব্যাঙ সাধারণত সবুজ হয়, তবে এটির শরীরে জন্মগতভাবে হালকা হলুদ রঙের মিশেলে নীল রঙ হয়ে গেছে বলে মনে হয়।

গেছো ব্যাঙের দেহ সব সময় ভেজা থাকে। ফুফফুস থাকলেও সে তার ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়। গেছো ব্যাঙ গাছে চড়লেও পড়ে যায় না। কারণ তখন তার পায়ের পাতা প্যাডের মতো কাজ করে। তাই সে টিকটিকির মতো বেয়ে গাছের উপরে ও নিচে নামতে পারে। গেছো ব্যাঙের পায়ের আঙুল লম্বা ও নরম। তাই সে গাছের ডাল কিংবা পাতায় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে বা হাঁটতে পারে। তাছাড়া, গেছো ব্যাঙ তার গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। আশপাশের পরিবেশ বা শত্রুর আক্রমণ থেকে লুকোতে সে এই কাজ করে।

 

যদিও ব্লুবার্ড বিশ্বের বহু সংস্কৃতিতে আনন্দের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে ওই ব্যক্তি বলেন যে তিনি মনে করেন, নীল ব্যাঙটি তার এবং তার ছেলের জন্য সুখ বয়ে এনেছে।

 

কাকতালীয়ভাবে, লোকটি তার এই ব্যাঙ আবিষ্কারের আগের দিন, হায়োগো প্রিফেকচারের কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ড পরিদর্শন করার সময় কেবলমাত্র একটি নীল জাপানি গেছো ব্যাঙ দেখেছিলেন।

 

তিনি বলেন, ‘আমি অভিভূত যে এটি এখন আমার ক্ষেতে রয়েছে’। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের জন্মদিনে, এটি আসলে ভালো কিছু বার্তা নিয়ে এসেছে’।

৫ সেপ্টেম্বর লোকটির ছেলে ব্যাঙটিকে তার নার্সারিতে নিয়ে গেলে বাচ্চারা আনন্দে উল্লাস করতে থাকে। তবে এসব ব্যাঙ লালন-পালন করা অপেশাদারদের পক্ষে কঠিন এবং নীল ব্যাঙের শরীর কালো হতে শুরু করায়, লোকটি এটিকে আবার ছেড়ে দেয়। যেখানে তিনি এটি খুঁজে পেয়েছেন সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙটি।

 

কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ডের প্রজনন ব্যবস্থাপক বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এবং একটি অপরিচিত পরিবেশের কারণে এটি কালো হতে পারে। তাই যদি লোকেরা তাদের খুঁজে পায় তবে তাদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত’।

 

পৃথিবীতে মোট চার হাজার তিনশ ষাট প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কতোগুলো ব্যাঙের অদ্ভূত নামও রয়েছে। যেমন, যাই যাই ব্যাঙ, বামন ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, পটকা ব্যাঙ, ভেঁপু ব্যাঙ, ঝিঝি ব্যাঙ, পানা ব্যাঙ ও সকির ডাকা ব্যাঙ।   সূত্র: কিয়োডো সংবাদ সংস্থা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে – ভূমিমন্ত্রী

» বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

» ইসলামপুরে কৃষকরা পেল উন্নত মানের বীজ

» ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টোডিয়াল সার্ভিস চুক্তি

» এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

» ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

» ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম বিধ্বস্ত

» প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল

» আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

» এক শহরের মধ্যে দুই দেশ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জন্মদিনে বাড়তি আনন্দ এনে দিলো আকাশি নীল রঙের ব্যাঙ

জাপানের কিয়োটোতে এক ব্যক্তি তার বড় ছেলের জন্মদিনে আকাশি নীল রঙের ব্যাঙের সন্ধান পান। নিজের ধানক্ষেতে ওই ব্যক্তি খুঁজে পান বাহারি রঙের ব্যাঙটি। ছেলের জন্মদিনে তাই বাড়ি আনন্দ যোগ করতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি।

 

৪১ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গত ৪ সেপ্টেম্বর ধান কাটতে গিয়ে আবিষ্কার করেন ব্যাঙটিকে। জাপানি গেছো ব্যাঙ সাধারণত সবুজ হয়, তবে এটির শরীরে জন্মগতভাবে হালকা হলুদ রঙের মিশেলে নীল রঙ হয়ে গেছে বলে মনে হয়।

গেছো ব্যাঙের দেহ সব সময় ভেজা থাকে। ফুফফুস থাকলেও সে তার ত্বকের সাহায্যে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়। গেছো ব্যাঙ গাছে চড়লেও পড়ে যায় না। কারণ তখন তার পায়ের পাতা প্যাডের মতো কাজ করে। তাই সে টিকটিকির মতো বেয়ে গাছের উপরে ও নিচে নামতে পারে। গেছো ব্যাঙের পায়ের আঙুল লম্বা ও নরম। তাই সে গাছের ডাল কিংবা পাতায় উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে বা হাঁটতে পারে। তাছাড়া, গেছো ব্যাঙ তার গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে পারে। আশপাশের পরিবেশ বা শত্রুর আক্রমণ থেকে লুকোতে সে এই কাজ করে।

 

যদিও ব্লুবার্ড বিশ্বের বহু সংস্কৃতিতে আনন্দের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়। তবে ওই ব্যক্তি বলেন যে তিনি মনে করেন, নীল ব্যাঙটি তার এবং তার ছেলের জন্য সুখ বয়ে এনেছে।

 

কাকতালীয়ভাবে, লোকটি তার এই ব্যাঙ আবিষ্কারের আগের দিন, হায়োগো প্রিফেকচারের কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ড পরিদর্শন করার সময় কেবলমাত্র একটি নীল জাপানি গেছো ব্যাঙ দেখেছিলেন।

 

তিনি বলেন, ‘আমি অভিভূত যে এটি এখন আমার ক্ষেতে রয়েছে’। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের জন্মদিনে, এটি আসলে ভালো কিছু বার্তা নিয়ে এসেছে’।

৫ সেপ্টেম্বর লোকটির ছেলে ব্যাঙটিকে তার নার্সারিতে নিয়ে গেলে বাচ্চারা আনন্দে উল্লাস করতে থাকে। তবে এসব ব্যাঙ লালন-পালন করা অপেশাদারদের পক্ষে কঠিন এবং নীল ব্যাঙের শরীর কালো হতে শুরু করায়, লোকটি এটিকে আবার ছেড়ে দেয়। যেখানে তিনি এটি খুঁজে পেয়েছেন সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাঙটি।

 

কিনোসাকি মেরিন ওয়ার্ল্ডের প্রজনন ব্যবস্থাপক বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি এবং একটি অপরিচিত পরিবেশের কারণে এটি কালো হতে পারে। তাই যদি লোকেরা তাদের খুঁজে পায় তবে তাদের একা ছেড়ে দেওয়া উচিত’।

 

পৃথিবীতে মোট চার হাজার তিনশ ষাট প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কতোগুলো ব্যাঙের অদ্ভূত নামও রয়েছে। যেমন, যাই যাই ব্যাঙ, বামন ব্যাঙ, কটকটি ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, সোনা ব্যাঙ, পটকা ব্যাঙ, ভেঁপু ব্যাঙ, ঝিঝি ব্যাঙ, পানা ব্যাঙ ও সকির ডাকা ব্যাঙ।   সূত্র: কিয়োডো সংবাদ সংস্থা

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com