ছবি সংগৃহীত
ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে রোমান্টিক রেভুলেশন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র জনতার যে বিপ্লব হয়েছে আমি বিশ্বাস করি এই বিজয় একটি রোমান্টিক রেভুলেশন।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশ বরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদ এর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণ সভার আয়োজন করেছেন ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ।
মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র-জনতার যে বিপ্লব হয়েছে আমি বিশ্বাস করি এই বিজয় একটি রোমান্টিক রেভুলেশন। এ কথা বলার কারণ হলো, ছাত্রদের এই জনবল আপাত দৃষ্টিতে আড়াই মাসে কিছু জায়গায় বিভেদ, সাম্য, ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে আমরা যে প্রক্রিয়ার ভেতরে আছি, সত্যিকার মুক্তির জন্য মানুষ যেভাবে জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন; আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন সে আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আজকে এসে আমার মনে হয়েছে আমরা সেই রোমান্টিক রেভুলেশনের ধারাবাহিকতাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের মানুষ লড়াই করে স্বৈরাচারকে হারিয়েছে। দেশ আজকে এমনভাবে পঁচে গেছে সে জন্য সংস্কার করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুরোনো প্রতিহিংসায় বাংলাদেশের রাজনীতি আর ফিরবে না। কোনো সাম্রাজ্যবাদীর কাছে এ জাতি আর মাথা নত করবে না। গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে আমাদের ধারণ করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, অলি আহাদ সাহেব বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার এখনো পতন হয়নি। এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে। দেশকে এখন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এই নেতা।
স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কবি আব্দুল হাই সিকদার, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।