ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বর্ধিত সভা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ সভা শুরু হয়।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সভার সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সভায় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য শুনবেন এবং নতুন বার্তা দেবেন বলে জানা গেছে।
দলের বিভিন্ন স্তরের সাড়ে তিন হাজার নেতা এই বর্ধিত সভায় অংশ নিচ্ছেন। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি চেয়ার সংরক্ষিত রয়েছে বর্ধিত সভার মঞ্চে। তিনিই এ সভার প্রধান অতিথি বলে মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে বর্ধিত সভার বিষয়ে গত সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সভার মূলবিন্দুতে থাকবেন তৃণমূল নেতারা। তাদের কথা শুনেই নির্ধারিত হবে বিএনপির আগামীর পথচলা। এতে বক্তব্য রাখবেন জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা ও পৌরসভা বিএনপির সভাপতি/আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা। সভায় বিগত আন্দোলনের একটি চিত্র তুলে ধরা হবে।
বিএনপি মহাসচিব একটি সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরবেন। এতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ত্যাগ ও সফল নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ দেওয়া হবে। যেহেতু দেশের মানুষ ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করছে ভোটাধিকারের জন্য, তাই বিএনপি বার্তা দেবে যে স্থানীয় নয় জাতীয় নির্বাচনই জাতির প্রত্যাশা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েও চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি, অর্থাৎ প্রার্থী নন কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকেন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তারাও বর্ধিত সভায় থাকবেন। এছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব; থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়।
বিএনপি ছাড়া ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন। সব মিলিয়ে বর্ধিত সভায় সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নেতা অংশ নেবেন।