মিরাজ হোসেন (৫৬)। বাহারি পোশাক তার শরীরে। লিকলিকে মাঝারি গরনের শরীর। বহন করে চলছেন একটি টিনের পাত্র। পাত্র ভর্তি চিড়ে ভাজা। ভিতরে একটি ঘটি বসানো। তাতে জ্বলছে আগুন।
গরমে মানুষ যখন অতিষ্ঠ, তখন মিরাজ হোসেন আগুন নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাঙ্গা পৌর শহরের বাজার, বাসস্ট্যান্ড, অফিস আদালতের সামনে দিয়ে হাসি মুখে ছুটে চলছেন। দিনে রাতে বিরামহীন ছুটে চলা। ক্লান্তি নেই তার। বিচিত্র সুরের গানের তালে নাচছেন, গাইছেন। আর ঘটিগরম বিক্রি করে চলছেন।
গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভাঙ্গা থানার সামনে দেখা যায়, জনা বিশেক লোক তাকে ঘিরে রেখেছেন। তিনি নেচে চলছেন ‘আলতা রাঙা পায়, আবার নূপুর পড়ছে- -‘গানের তালে নাচ দেখে উপস্থিত সকলেই খুশি। এরপর তার গরম চিড়ে ভাজা বিক্রি শুরু। একে একে উপস্থিত প্রায় সকলেই কিনলেন। দুই শত টাকার উপরে বিক্রি হলো তার।
তিনি বলেন, ভাঙ্গা পৌরসভার দাড়িয়ার মাঠ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বনগ্রাম। তবে ভাঙ্গাতেই কাটে বছরের অধিকাংশ সময়। ১৭ বছরের বেশি সময় এ পেশায় আছেন। অধিকাংশ লোক তাকে ‘ঘটিগরম ‘ ভাই অথবা চাচা বলে ডাকেন। এ পেশায় তার সংসার ভালোই চলছে। কোনো কোনো দিন হাজারের উপরে লাভ হয়। শীতের দিনে বিক্রি বেশি হয়।
উপস্থিত সকলেই জানান, তার এ ঘটিগরমের স্বাদ অনেক ভালো। ভাঙ্গা উপজেলা শহরের পরিচিত মুখ তিনি।
মিরাজ হোসেন জানান, তার কাজটি পরিশ্রমের হলেও তার ক্লান্তি নেই। মানুষ তাকে পেয়ে হাসি তামাশা করে। এতেই তার ক্লান্তি দূর হয়। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিনন