গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রথম বর্ষের এক শিক্ষর্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে জেলা প্রশাসন স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে গোপালগঞ্জের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় আট কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ভোর ৬টা থেকে মহাসড়ক অবরোধে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বেলা ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছে অবরোধ।
এর আগে রাতে অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সদর থানা ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার সহপাঠীর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদরের নবীনবাগ হেলিপ্যাড থেকে হেঁটে মেসে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সাত-আটজন মিলে তাদের গোপালগঞ্জ জেলা স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীকে মারধর করে এবং ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, এ খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমি নিজে এ ঘটনায় বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছি।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। তার বন্ধুর সঙ্গে রাতে হেলিপ্যাডে ঘোরাফেরা করার সময় দুর্বৃত্তরা ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।