গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ির বাইমাইল এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত স্বামী পালিয়ে গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আজ (২৯ জানুয়ারি) ভোরে স্থানীয় চান্দু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইকেল বনিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম আরজিনা এলাইচ লিজা (৩০)। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার মো. মাসুদ রানার স্ত্রী। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে এসআই মাইকেল বনিক জানান, গোপালগঞ্জ থানার আলমনগর এলাকার শুপু মিয়ার ছেলে মো. মাসুদ রানার সঙ্গে একই থানার আনছার আলীর মেয়ে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর কোনাবাড়ির বাইমাইল এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মাসুদ রঙ মিস্ত্রী ও লিজা পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তবে অভিযুক্ত মাসুদ প্রায় কোনো কাজ কর্ম করতেন না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। এরই জেরে রোববার ভোরে ধারালো চাকু দিয়ে লিজার গলা কেটে তার স্বামী মাসুদ পালিয়ে যান।
এসময় ওই ভাড়া বাসার অন্যান্য লোকজন লিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে লিজাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এসআই মাইকেল বনিক আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারসহ পরবর্তী