কালের বিবর্তন ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মহিষের গাড়ি। একসময় মহিষের গাড়িতে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত, সামাজিক অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণির মানুষ যাতায়াত করত। বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে প্রত্যন্ত গ্রাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বহিপাড়া মহল্লার অন্য এক রূপে দেখা মিলল মহিষের গাড়ির। এতে দেখা যায় কিছু যুবক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে গান-বাজনা ও আনন্দ উল্লাস করে মহিষের গাড়িতে করে যাচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় হঠাৎ করে তাদের এমন ভ্রমণের উদ্দেশ্য কি? তারা বলেন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া মহিষের গাড়ি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার আর সহজলভ্যতায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে তাদের এই আয়োজন।
গরু বা মহিষের গাড়ির ৮০-৯০ দশকের দিকে প্রচলন থাকলেও বর্তমানে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ এখন মহিষের গাড়ি রেখে নসিমন, করিমন, ট্রেন, বাস, বিমান ও ট্রাকের সাথে উন্নততর জীবন যাপন করছেন। মহিষের গাড়িতে যেখানে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাতায়াত করতে দিন পেরিয়ে যেত। সেখানে এখন আধুনিক পরিবহন ব্যবহারে সময় লাগে মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এর ফলে মহিষের গাড়ি তেমন আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
কথা হয় ভ্রমণকারী কয়েকজন যুবকের সাথে। তারা জানান তার দুঃখ-দুর্দশার কথা বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবার সাথে এই মহিষের গাড়ি চালাতে মহিষগুলোকে আপন করে নিয়েছি। বর্তমানে তেমন আয় রোজগার না থাকলেও গভীর মায়া আর শখের বসেই বর্তমানে এই কাজ করে আসছি। গরু মহিষের গাড়ি কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রেসক্লাব গোমস্তাপুর এর সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আহমদ বলেন, জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু-মহিষের পালন করতে দেখা তেমন যাচ্ছে না।
তাছাড়া নিজেরা না খেয়ে থাকলেও অবলা এই প্রাণীদের প্রতিদিন ঠিকই খাবার দিতে হয়।তাই গরু-মহিষের গাড়ি হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আর সহজলভ্যতায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শুধু পাঠ্যবই পড়ে জানতে পারবে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।ঐতিহ্যবাহী ভ্রমণের আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের চন্দনা গ্রামের যুবকেরা। সূএ:বিডি২৪লাইভ ডট কম’