গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে কেন জানেন কী?

গরু বা মহিষ গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রাণী। তবে এখন মহিষ একটু কম দেখা যায়। এই গরু বা মহিষ কিছু খুবই শান্ত থাকে। আবার কিছু প্রাণী কাছে গেলে রেগে তেড়ে আসে। আর এটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে জানেন কি গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে কেন?

গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে, এর বৈজ্ঞানিক কারণ জানলে চমকে যাবেন! ষাঁড়ের লড়াই বা ‘বুলফাইটিং’ সম্পর্কে সবাই জানি। ষাঁড়ের চোখের সামনে এক সাহসী মানুষ বা ম্যাটাডোর লাল রঙের একটুকরো কাপড় নাড়াচাড়া করেন আর তা দেখে ষাঁড় তেড়ে আসে! এবার প্রশ্ন হলো, ষাঁড় কেন লাল কাপড় দেখে তেড়ে আসে?

 

ষাঁড়ের লড়াই বা বুলফাইটিংয়ে লাল রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয় বলেই সবাই ধরে নেয়, ষাঁড় লাল রং দেখলে রেগে যায়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। তৃণভোজী প্রাণীরা লাল রং দেখতে পায় না। অর্থাৎ ওরা বর্ণান্ধ। গরুও তাই। যেহেতু গরু বা মহিষ লাল রং দেখতেই পায় না, তাই তা দেখে রেগে যাওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।

 

গবাদিপশুদের চোখের রেটিনায় লাল রং গ্রহণ করার মতো ‘রিসেপ্টর’ নেই, অর্থাৎ, লাল রং গ্রহণ করার মতো ক্ষমতা ওদের চোখের রেটিনায় নেই প্রাকৃতিকভাবেই। গরু বা মহিষরা শুধু হলুদ, সবুজ, নীল ও বেগুনি রং দেখতে পায়। লাল রং শনাক্তের ‘কোন সেল’ না থাকায় এরা লাল রংটি দেখতে পায় না। এ অবস্থাকে বলা হয় প্রোটানোপিয়া। যার ফলে লাল রঙের কাপড়কে ওরা অনেকটা হলুদাভ ধূসর রঙের দেখে।

 

গরু বা মহিষের সামনে লাল রঙের কাপড় নাড়াচাড়া করলে তাদের চোখের সামনে আসলে হলুদাভ ধূসর রঙের এক কাপড়ই নড়ে ওঠে। এতে ষাঁড়ের মনে একধরনের বিভ্রম তৈরি হয়। কাপড়ের নড়নচড়ন ওদের রাগিয়ে তোলে, সেটা যে রঙের কাপড়ই হোক না কেন।

সূত্র: নিউজ ১৮

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ম্যাপ সংযুক্ত মালিকানা ভিত্তিক খতিয়ান চালু করা সম্ভব হবে – ভূমিমন্ত্রী

» বিএটি বাংলাদেশের ৫১তম এজিএম অনুষ্ঠিত

» ইসলামপুরে কৃষকরা পেল উন্নত মানের বীজ

» ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের কাস্টোডিয়াল সার্ভিস চুক্তি

» এপেক্স ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট কাউন্সিল”এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কমিটি গঠিত

» ২ লাখ টাকার ফ্যামিলি ট্রিপের সেরা ঈদ অফার দিচ্ছে রিয়েলমি

» ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম বিধ্বস্ত

» প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আগামীকাল

» আইপিইউর এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেন স্পিকার

» এক শহরের মধ্যে দুই দেশ

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে কেন জানেন কী?

গরু বা মহিষ গৃহপালিত প্রাণীদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রাণী। তবে এখন মহিষ একটু কম দেখা যায়। এই গরু বা মহিষ কিছু খুবই শান্ত থাকে। আবার কিছু প্রাণী কাছে গেলে রেগে তেড়ে আসে। আর এটা হওয়া স্বাভাবিক। তবে জানেন কি গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে কেন?

গরু বা মহিষ লাল রং দেখলেই রেগে তেড়ে আসে, এর বৈজ্ঞানিক কারণ জানলে চমকে যাবেন! ষাঁড়ের লড়াই বা ‘বুলফাইটিং’ সম্পর্কে সবাই জানি। ষাঁড়ের চোখের সামনে এক সাহসী মানুষ বা ম্যাটাডোর লাল রঙের একটুকরো কাপড় নাড়াচাড়া করেন আর তা দেখে ষাঁড় তেড়ে আসে! এবার প্রশ্ন হলো, ষাঁড় কেন লাল কাপড় দেখে তেড়ে আসে?

 

ষাঁড়ের লড়াই বা বুলফাইটিংয়ে লাল রঙের কাপড় ব্যবহার করা হয় বলেই সবাই ধরে নেয়, ষাঁড় লাল রং দেখলে রেগে যায়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা। তৃণভোজী প্রাণীরা লাল রং দেখতে পায় না। অর্থাৎ ওরা বর্ণান্ধ। গরুও তাই। যেহেতু গরু বা মহিষ লাল রং দেখতেই পায় না, তাই তা দেখে রেগে যাওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।

 

গবাদিপশুদের চোখের রেটিনায় লাল রং গ্রহণ করার মতো ‘রিসেপ্টর’ নেই, অর্থাৎ, লাল রং গ্রহণ করার মতো ক্ষমতা ওদের চোখের রেটিনায় নেই প্রাকৃতিকভাবেই। গরু বা মহিষরা শুধু হলুদ, সবুজ, নীল ও বেগুনি রং দেখতে পায়। লাল রং শনাক্তের ‘কোন সেল’ না থাকায় এরা লাল রংটি দেখতে পায় না। এ অবস্থাকে বলা হয় প্রোটানোপিয়া। যার ফলে লাল রঙের কাপড়কে ওরা অনেকটা হলুদাভ ধূসর রঙের দেখে।

 

গরু বা মহিষের সামনে লাল রঙের কাপড় নাড়াচাড়া করলে তাদের চোখের সামনে আসলে হলুদাভ ধূসর রঙের এক কাপড়ই নড়ে ওঠে। এতে ষাঁড়ের মনে একধরনের বিভ্রম তৈরি হয়। কাপড়ের নড়নচড়ন ওদের রাগিয়ে তোলে, সেটা যে রঙের কাপড়ই হোক না কেন।

সূত্র: নিউজ ১৮

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com